সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের দিনের টিউন। আজকের টিউনে আপনাদেরকে টিউটোরিয়াল হিসাবে দেখাব বিশ্বের ১ নং পিটিসি সাইট ক্লিকসেন্স সাইটে কিভাবে একাউন্ট ওপেন করবেন, কাজ করবেন ও ইনকাম বৃদ্ধি করা সহ এ টু জেড আলোচনা!
মূলত ফ্রিল্যান্সিং থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে আয়ের বহু বিষয় উল্লেখ করা হলেও অনেকের কাছে প্রশ্ন, আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই। আমি কিভাবে কাজ শুরু করব। এই মুহুর্তে আয় করতে পারেন এমন একটি পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে। বর্তমানে সময়ের সাথে আয়ের জন্য পিটিসি বেশ জনপ্রিয় পদ্ধতি। এজন্য আপনার কিছুই জানা প্রয়োজন নেই। তাদের ফরম পুরন করে সদস্য হবেন, তাদের সাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করবেন এবং কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করবেন। সাথে সাথেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার নামে সেই ক্লিকের জন্য বরাদ্দ টাকা জমা হয়েছে। মূল কথা যারা ইন্টারনেটে কোন কাজই জানেন না তাদের জন্য ইনকামের মামুলি এই পিটিসি সাইট গুলো হতে পারে।
ব্যক্তিগত ধারনা clixsense এর জন্ম না হলে ptc সাইটই আসত না। তাই আমি clixsense কে Father of all ptc site বলছি। আসলে clixsense এর মাধ্যমেই ptc সাইট চালু হয় ২০০৭ সালে। আপনি যেনে অবাক হবেন যে Clixsense ই একমাত্র company যারা আমেরিকাতে tv তে পর্যন্ত অ্যাড দেয়।clixsense থেকেও হাজার হাজার ডলার কামানো যায়।কিন্তু clixsense এর একটি প্রব্লেম হল এরা RENTED REFERRAL বিক্রি করে না।আপনাকে যা কামাতে হবে সব Direct Referral এর মাধ্যমে। clixsense এর বর্তমানে মেম্বার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। একবার চিন্তা করেন একটা ptc সাইট এর মেম্বার প্রায় ১ কোটি। এবং ২০০৭ সাল হইতে পে করে যাচ্ছে। প্রতিদিনে তাদের পে এর পরিমান প্রায় ৮০ কোটির বেশী ট্রানজেকশন হয়ে থাকে। এবং এটি ইউকে কর্তৃক একটি রেজিঃ কোম্পানী। সাধারনত পিটিসি সাইটগুলির বিরুদ্ধে নানাধরনের অভিযোগ থাকে, এই সাইট সেতুলনায় সুনামের সাথে কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। আর এখান থেকে টাকা পাওয়ার পদ্ধতিও সহজ। পেপল, পেইজা এসবের সাথে সাথে আপনার নামে ব্যাংকচেক পাঠাবে। উল্লেখ করা যেতে পারে জনপ্রিয় এই সাইট বাংলাদেশের জন্য বন্ধ ছিল দীর্ঘদিন। সম্প্রতি নতুনভাবে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এবং তা ইন্টারন্যাশনাল ভাবে চলছে। ব্লগে অনেক লেখকই ভূয়া ভাবে বহু পিটিসির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সেখানে এক সময সব কিছুই বিফলে যাই। তবে এই কথা অনস্বীকার্য যে, পিটিসি আয়ের সাথে সাথে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখাটা ভালো।
১। আজকাল প্রতিনিয়তই অনেক পিটিসি সাইট তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন পেমেন্ট করার পর স্ক্যাম হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু clixsense এই থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ২০০৭ সন হতে পেমেন্ট করে আসছে।
২। অন্য পিটিসি সাইটের বেশী অ্যাডে ক্লিক করতে হয় যেমন: কোন অ্যাডে ক্লিক করতে ৫ সেকেন্ড, কোনটি ৩০ সেকেন্ড, কোনটি ১ মিনিট এইভাবে প্রায় ৫০ টির বেশী অ্যাডে ক্লিক করতে হয় যা পেমেন্ট কম এবং সময় প্রায় ৩০ মিনিটের বেশী লাগে। কিন্তু ক্লিকসেন্স এ- তেমন সময় লাগেনা। প্রায় ৫-৮ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ। একটি মাত্র অ্যাড ব্যতিত বাকি সকল অ্যাডের সময় ৫ সেকেন্ড।
৩। ১ম দিকে একটু কম অ্যাড পাওয়া যাবে যেমন ৫ টি কিংবা ১০ টি। যখন নিয়মিত হবেন তখন ১৫ টি পাবেন। আসলে আপনি এই সাইটে কাজে মনোযোগী কিনা তা ক্লিকসেন্স যাচাই করবে। তবে প্রতিদিন ২৪ টির বেশী অ্যাড দেয়না। প্রতি অ্যাডের সময় ০.৫ সেকেন্ড।
৪। প্রয়োজনে আপগ্রেড করে এবং রেফার করেও আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন। এখানে আনলিমিটেড রেফার করতে পারবেন। এই জন্য শর্ত প্রযোজ্য হিসাবে আপনাকে একাউন্ট করতে হলে রেফার হিসাবে একটি একাউন্ট ওপেন করতে হবে। অতপর ২০০ সেন্ট জমা হবার পর অন্য কাউকে আপনার আইডি দিয়ে রেফার করতে পারবেন।
পূুর্ববর্তী বেশ কয়েকটি টিউনে উল্লেখ করেছিলাম ব্যক্তিগত হিসাবে পূর্বে প্রায় ৩ বছর পূর্বে এই সকল পিটিসি সাইটে কাজ করে মামুলি কিছু অর্থ আয় করেছি। বর্তমানে নিজের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ব্লগিং, ছোটখাট ফ্রিল্যান্স এবং অন্যান্য ব্যস্ততার কারনে পিটিসি সাইটে কাজ করার সময় পাইনা। তবে তিন বছর পূর্বে ক্লিকসেন্স একাউন্ট ক্রিয়েট করেছিলাম সেখান হইতে বর্তমানে কোন কাজ না করে প্রতিদিনে প্রায় ১.৮০-২.২০ ডলার পর্যন্ত আয় পাচ্ছি। অনেকেই হয়ত কল্পনা ভাবছেন! কোন কল্পনা নই। আসল রহস্যর কথা বলছি- যে কোন লিগ্যাল পিটিসি সাইটে কাজ করতে হলে প্রথমত আপনাকে ৭-৮ মাস কষ্ট করে নিয়মিতভাবে কাজ করতে হবে। সেই হিসাবে ক্লিকসেন্স সাইটে আমি যখন একাউন্ট ওপেন করি ২০১৩ সনে। তখন ইনকাম স্বল্প হত যেমন মানে ২-৩ ডলার। অতপর একটানা ৮ মাস নিয়মিতভাবে কাজ করতে থাকি। এবং বেশ কিছু টিপস অনুসরন করি যেমনঃ দেশী ও বিদেশী ব্লগ সাইটে রেফার লিংক শেয়ার করা, অ্যাডভাইজিং করা, সোস্যাল সাইটে শেয়ার করন ইত্যাদি। তারফলে ৩য় মাস হইতে প্রতিদিন আয় প্রায় ০.২৫ ডলার হইতে শুরু করল এবং অদ্যবধি হচ্ছেই। এই পর্যন্ত প্রায় ১৩০ ডলারের মত উইথড্র করতে পেরেছি। বর্তমানে আমার রেফারেল সংখ্যা প্রায় ৯০০ এর মত।
সেখান হইতে সাইনআপে ক্লিক করুন> নিম্নরুপ চিত্র আসবে > যাবতীয় তথ্যাদি পূরন করুন
First name অংশে নিজের আসল নামের First name পূরন করে Last name দেন। Signup করার পর আপনার ইমেইল একটি লিঙ্ক পাঠাবে।আপনাকে ইমেইল এ গিয়ে ঐ লিঙ্ক কে ক্লিক করে তা অ্যাক্টিভ করতে হবে।তার পর আপনি login এ ক্লিক করে login কারার পর একটি page আসবে। ঐ খানে আপনাকে কিছু তথ্য পুরন করতে হবে। payment email অংশে যে ইমেইল দিয়ে Signup করেছেন সে ইমেইল ই দেন। যেহেতু বাংলাদেশ এ paypal নাই শুধু payza আছে সেহতেু সেখানে পেইজা এড্রেস দিতে পারেন।
সেখানে লিংকে ক্লিক করে আপনার ইমেইল নিষ্চিত করুন। সাথেসাথে আপনি তাদের সদস্য। আপনার লগিন নেম, পাশওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন।
নিচের ছবির মত দেখতে পাবেন
আমি এএমডি আব্দুল্লাহ্। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 157 টি টিউন ও 1046 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
সম্মানীয় ভিজিটর বন্ধুগন! সবাইকে আন্তরিক সালাম ও ভালবাসা। আশা করি ভাল আছেন। পর সংবাদ যে, আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছি। সাইটটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম শিক্ষা ও প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তি, শিক্ষা, কম্পিউটার বিষয়ক যেমনঃ অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, টিউটোরিয়াল, মুভি, গেমস, সফটওয়্যার, ভ্রমন, ইতিহাস, ভূগোল, কার্টুন, ধর্ম, টেক সংবাদ, এবং সংবাদপত্র ফিউচার...
২০১২ সালে ক্লিকসেন্সে আমি একটি একাউন্ট খুলেছিলাম । তখন পিটিসি সাইট গুলোর প্রতারণার কথা জানলেও এই সাইটটিকে আমার বিশ্বস্থই মনে হয়েছিল । এই সাইটে একাউন্ট রেজিস্ট্রি গিয়ে তাদের দেওয়া সকল অপশনের তথ্য পূরণ করে যখন রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করলাম, তখনই আমার দেওয়া তথ্য হতে আমার ব্যাংক একাউন্ট নম্বরটি ভুল হিসাবে উপস্থাপন করে রেজিস্টার করলো না । আমি আবার ব্যাংক একাউন্ট নম্বরটি সঠিক দিলাম কিনা যাচাই করে পুনরায় রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করলাম, ফলাফল তথৈবচ । তখন এখানে একাউন্ট অপেন হচ্ছেনা দেখে কিভাবে একাউন্ট অপেন হয় তার জিদ চাপলো মনে ।তাই আমার একাউন্ট নম্বরের সাথে আগে-পিছে আরো কয়েক ডিজিট যুক্ত করে রেজিস্টার দিলাম, এবার হয়ে গেল । ভুয়া একটি ব্যাংক একাউন্ট নম্বর দিয়ে ক্লিকসেন্স একাউন্ট অপেন হওয়াতে মনে দুঃখ পেলাম । এখানে কি কাজ কিভাবে করে তা দেখার জন্য দুদিন একান্টে প্রবেশ করেছি এবং এডগুলোতে ক্লিক করে কিছু পয়সাও জমিয়েছি, আর মনে মনে ভাবছি ভুয়া একাউন্টে (ব্যাংক একাউন্ট) টাকা জমিয়ে কি লাভ, জীবনেও তো এই টাকা উঠাতে পারবো না । ঐ দুদিন পরে আর ক্লিকসেন্সে প্রবেশ করি নাই ।