সাধারনভাবে বলা হয়ে থাকে ডাটা এন্ট্রি অনলাইনে করা কাজগুলির মধ্যে সবচেয়ে সহজ। দেখে দেখে টাইপ করতে পারলে একাজ করা যায়। কথাটা ঠিক। কিন্তু টাইপ করার কাজকে যত সহজ মনে করা হয় বাস্তবে ততটা সহজ না। অন্তত একাজ যদি আগে না করে থাকেন।
টাইপ করার জন্য কমপক্ষে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মত কোন সফটঅয়্যার ব্যবহারের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সেইসাথে টাইপিং কাজে দক্ষতা। আপনাকে টাইপ করতে হবে নির্ভুলভাবে। সেইসাথে যত দ্রুত টাইপ করবেন তত বেশি আয় করা সম্ভব। পেশাদার ডাটা এন্ট্রির জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য যা করনীয় সেগুলি নীচে তুলে ধরলাম জেনে নিন।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড শিখুনঃ ওয়ার্ড প্রসেসিং এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রায় সমার্থক শব্দ। খুবই সম্ভাবনা আপনাকে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। ওয়ার্ডের সাধারন কাজগুলি শিখে নিন।
টাইপিং প্রাকটিস করুনঃ দেখে দেখে টাইপ করা বিষয়টি খুব সহজ না। সরাসরি কাজের জন্য যোগাযোগ করার আগে নিজেকে যাচাই করুন আপনি কতটা নির্ভুলভাবে টাইপ করতে পারেন এবং কত দ্রুত টাইপ করতে পারেন। নির্ভুল টাইপ বেশি গুরুত্বপুর্ন কারন ভুল করলে আপনি টাকা পাবেন না। প্রথমে সেদিকে দৃষ্টি দিয়ে দ্রুততা বাড়ানোর চেষ্টা করুন।
নিয়ম মেনে টাইপ করুনঃ পেশাদার টাইপিংদের ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই লক্ষ করেছেন তারা যে লেখা টাইপ করছেন সেদিকে তাকিয়ে কাজ করেন। শুরুতে হয়ত আপনাকে প্রথমে কাগজ দেখতে হবে, এরপর কিবোর্ডের দিকে দেখতে হবে, এরপর স্ক্রিনের দিকে দেখ হবে। স্বাভাবিকভাবেই এতে গতি কমে যায়।
টাইপিং কাজ সহজ করার জন্য কিবোর্ডে অক্ষরগুলি বিশেষভাবে সাজানো। লক্ষ্য করলে দেখবেন এদের মধ্যে F এবং J অক্ষরদুটিতে একটি চিহ্ন আছে যা আঙুল দিয়ে স্পর্শ করে শনাক্ত করা যায়। টাইপের নিয়ম হচ্ছে, দুই হাতের তর্জনী এই দুই অক্ষরের ওপর রাখবেন, বাকি তিনটি আঙুল পাশের তিনটি কি এর ওপর রাখবেন। এদেরকে বলা হয় হোম-কি। আপনার হাত সবসময় এখানেই থা এবং উল্লেখ করা কি দুটি স্পর্শ করে আপনি জানবেন হাত ঠিক আছে কিনা। এরপর হাত না উঠিয়ে বাকি কি-গুলি সহজে ব্যবহার করা যায়।
মোটকথা, টাইপ করার সময় দুহাতের দু’আঙুল ব্যবহার না করে সবগুলি আঙুল নিয়মমত ব্যবহার অভ্যেস করুন। টাইপ শেখার সফটঅয়্যারগুলি একাজে সহায়তা করতে পারে।
বাস্তব কাজ করুনঃ অনেকে টাইপ শেখার সফটঅয়্যার ক্রমাগত ব্যবহার করে যান। বাস্তবতা হচ্ছে আপনি সরাসরি কাগজ দেখে টাইপ না করা পর্যন্ত বাস্তব দক্ষতা লাভ করতে পারেন না। টাইপিং শেখার সফটঅয়্যার কিছুক্ষন ব্যবহার করার পর সামনে কোন কাগজ রেখে সেটা দেখে টাইপ করুন।
নিউমেরিক কিপ্যাড ব্যবহারে অভ্যেস করুনঃ কিবোর্ডের ডানদিকে ক্যালকুলেটরের মত সাজানো নিউমেরিক কি-প্যাড দেয়া হয় সংখ্যা টাইপ করার জন্য। যদি মুলত সংখ্যা টাইপ করা প্রয়োজন হয় তাহলে এখানে তুলনা মুলক দ্রুত টাইপ করা যায়। কাজের ধরন অনুযায়ী পৃথক ভাবে এটা ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ান।
জব সাইটে কাজগুলি নিয়মিত দেখুনঃ ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্ক, এলাঞ্চ, গুরু, এর মত সাইটে যে কাজগুলি দেয়া হয় সেগুলির দিকে নিয়মিত দৃষ্টি দিন। কাজের ধরন, বর্ননা, টাকার পরিমান, অন্যদের প্রস্তাব ইত্যাদি দেখে অভিজ্ঞতালাভ করুন এবং সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন।
যদি ডাটা এন্ট্রি করতেই চান তাহলে প্রস্তুতি নিয়েই করুন। একাজের চাহিদা আগে ছিল, বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।
আমি কামাল হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 53 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সময় পরিবর্তনের সাতে সাতে জীবন জীবীকার ধারনাটা ও পরিবর্তন হয়। বর্তমান সময় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমাদের দেশের তরুণরা খোঁজ করে নিচ্ছে নিজেরদের ভাগ্য পরিবর্তন এর চাকা। আর সেটা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে সম্ভহব হরচ্ছে।
😀