যারা ইন্টারনেটে আয় নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ তাদের প্রথম পছন্দ পিটিসি (Paid to click)। আপনি নিদিষ্ট লিংকে ক্লিক করবেন আর ক্লিক প্রতি টাকা পাবেন। কোন কিছু জানা প্রয়োজন নেই, কোন দক্ষতা প্রয়োজন নেই। বলা হয় এভাবে আপনি হাজার হাজার ডলার আয় করার সুযোগ পাবেন।
এই বক্তব্য এবং মুল কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মুলত আপনাকে আকৃষ্ট করার জন্যই এভাবে লোভনীয় কথা গুলি বলা হয়। আবার একেবারে অসত্য বলে উড়িয়ে দেয়ার উপায়ও নেই। পিটিসি ঠিক কিভাবে কাজ করে জানার আগে একবার জেনে নেয়া যাক ক্লিক করলে আপনাকে টাকা দেবে কেন।
ব্যবসা প্রতিস্ঠানে বা দোকানে যত বেশি ক্রেতা আসেন সেই প্রতিস্ঠানের বিক্রি তত বেশি, এটা সাধারন নিয়ম। ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যবসা যারা করেন তারাও আশা করে তাদের কাছে প্রচুর ক্রেতা (ভিজিটর) আসবেন। ভিজিটর বেশি পাওয়ার একটি উপায় সার্চ ইঞ্জিন। তাদের বিষয়ে কোনকিছু সার্চ করলে যদি তাদের নাম সার্চ রেজাল্টে ওপরের দিকে থাকে তাহলে বেশি ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা। সাধারনত ভিজিটররা সার্চ রেজাল্টের প্রথম পৃষ্ঠার পর আর দেখা প্রয়োজন বোধ করেন না। কাজেই তাদের প্রথম লক্ষ্য সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় যায়গা পাওয়া, তারপর সেখানে ওপরের দিকে থাকা।
সার্চ ইঞ্জিনগুলি তাদের লিষ্টে সেই সাইটকে প্রাধান্য দেয় যে সাইট বেশি মানুষ ব্যবহার করে। যত বেশি মানুষ সার্চ করে কোন সাইট ব্যবহার করে সেই সাইটের নাম ওপরের দিকে এই নিয়মে।
এই সুযোগটাকে কাজে লাগায় ব্যবসা প্রতিস্ঠানগুলি। তারা টাকা দিয়ে তাদের বিষয়ে সার্চ করিয়ে সেকানে ক্লিক করানোর ব্যবস্থা করে। কোন প্রতিস্ঠানকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা তাদের সাইটে এমন একটা লিংক (বাটন) তৈরী করে যেখানে ক্লিক করলে তাদের কাজ হবে। তারপর সেই ক্লিক করানোর জন্য টাকা দেয়।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ করে নেয়া ভাল। সফটঅয়্যার ব্যবহার করে অটোমেটেড ক্লিকের চেষ্টাও করে অনেকে। সার্চ ইঞ্জিন সেটা ধরে ফেলে। সেকারনেই টাকা দিয়ে ক্লিক করানোর ব্যবস্থা। কাজেই ক্লিক করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন এতে ভুল নেই।
একাজে অর্থ দেয়া হয় দুভাবে, আপনি নিজে ক্লিক করলে ক্লিকপ্রতি টাকা পাবেন। আবার অন্য কাউকে যদি সেখানে সদস্য হওয়ার ব্যবস্থা করেন তাহলে তার আয় থেকে কমিশন পাবেন।
এবারে যাকিছু বাড়িয়ে বলা হয় সেটা দেখা যাক।
যেহেতু আরেকজনকে সদস্য করলে নিয়মিত অর্থ পাওয়া যায় কাজেই পিটিসি-র সুবিধে প্রচারের সময় বাড়িয়ে বলা হয়। সম্ভবত হাজার হাজার ডলারের যে প্রচারনাগুলি আপনি দেখেছেন বা শুনেছের তার মুল কারন সেটাই।
বাস্তবে, ক্লিক প্রতি দেয়া অর্থ খুবই কম। ১ অথবা ২ সেন্ট। অর্থাত ১ ডলার আয় করার জন্য আপনাকে ৫০ থেকে ১০০ বার ক্লিক করতে হবে।
আপনি হয়ত তাতেই রাজী, তারপর সমস্যা হচ্ছে আপনি কতগুলি ক্লিক করার সুযোগ পাবেন সেটা নির্দিষ্ট। আপনি ইচ্ছে করলেই শতশত কিংবা হাজার হাজার ক্লিক করার সুযোগ পাবেন না। সাধারনত দিনে ৪ থেকে ৬টি লিংক ক্লিক করার সুযোগ দেয়া হয়, ক্লিকের সংখ্যাও নির্দিষ্ট।
আরেকটি সমস্যা হচ্ছে এই সাইটগুলির নিজেদের স্থায়িত্ব কম। অনেকসময়ই দেখা যায় কিছুদিন পর সাইটগুলি উধাও হয়ে গেছে। আপনি হয়ত কোথাও একটা সাইটের ঠিকানা পেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেন কিন্তু সাইটের দেখা পেলেন না। যে কারনে পিটিসি ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে আপনার টাকা তাদের কাছে জমা রাখবেন না। সাথে সাথে উঠিয়ে নেবেন। তারা অবশ্য খুব কম পরিমান টাকাও সাথে সাথে দিয়ে দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টাকা দেয়া হয় পে-পলের মাধ্যমে।
পিটিসিতে টাকা পাওয়া যায় কিন্তু কখনোই উল্লেখ করার মত পরিমান পাওয়া যায় না। যেকারনে ইন্টারনেটে আয়ের পদ্ধতি গুলির মধ্যে এই বিষয়কে ততটা গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
এই টিউন এর আগে আমার ব্লগে প্রকাশিত হয়। আমার টিউন ভাল লাগলে আমার ব্লগ থেকে গুরে আসার অনুরধ রইলো । আর ফেসবুক পেজ ।
আমি Md Kamal Hossain। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
সময় পরিবর্তনের সাতে সাতে জীবন জীবীকার ধারনাটা ও পরিবর্তন হয়।বর্তমান সময় তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে আমাদের দেশের তরুণরা খোঁজ করে নিচ্ছে নিজেরদের ভাগ্য পরিবর্তনএর চাকা।আর সেটা ইন্টারনেট এর মারধহমে সম্ভহব হরচ্ছে।যার মারধহমে এমন একটি ব্যাপার আমাদের দেশে ঘটে যাচ্ছে,তা আদুর ভবিষ্যৎ এ পোশাক শিল্পের বৈদেশিক মুদ্রার আয়কে ছড়িয়ে যাবে...
তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল। ধন্যবাদ।