যেভাবে শুরু
২০০৯ সালের ঘটনা হাতে ছিলনা ভালমানের কোন মোবাইল আর কম্পিউটার, ল্যাপটপ কেনার কথা তখন মাথায় ছিলনা। মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে তখন খুব সামান্য অভিজ্ঞতা ছিল, শুধুমাত্র ওয়াপসাইট ভিজিট করে ২/১ ফটো ডাউনলোড করতাম আর ভাবতাম ইন্টারনেটে এছাড়া বুজি আর কোন কোন কাজনাই ! হঠাৎ একদিন আমার এক ভাইয়ের কাছে কিছু টাকা উপহার পেলাম মোবাইল কেনার জন্য, ৪৫০০ টাকা দিয়ে কিনলাম নোকিয়া ২৬০০ ক্লাসিক মডেলের মোবাইল সাথে একমাসের আনলিমিটেড ফ্রি ইন্টারনেট প্যাকেজ সহ । ফ্রি ইন্টারনেট পেলাম ৩/৪ ওয়াপসাইট ভিজিট করার পত্রিকা থেকে পেলাম ফেসবুক নামক একটা লিংক নিজেই মোবাইল নাম্বার দিয়ে একটা আকাউনট বানিয়ে ফেললাম ।
তারপর একদিন বাজার থেকে একটি তথ্যপ্রযুক্তি ম্যাগাজিন সিনিউজ কিনে পড়ার পর গুগল অ্যাডসেন্সের কিছু ধারনা পেলাম ইন্টারনেটে ব্লগিং করে ডলার উপার্জন করা যায়। মনে মনে ভাবি এটা আবার কি? ফেসবুক থেকেও কয়েকজন বন্ধুর স্ট্যাটাসে এব্যাপারে কিছু তথ্য নিয়ে এব্যাপারে ঘাটাঘাটি শুরু করলাম ও মনে জেদ চেপে গেল ডলার আমি আয় করবোই ।
প্রতিদিন ১০/১২ ঘণ্টা গার্মেন্টসে কাজ করার রাতের ঘুমহারাম করে শুধু মোবাইল থেকে ঘাটাঘাটি করি । একদিন ব্লগারডটকম থেকে একটি ফ্রি ব্লগ বানালাম ও মোবাইল থেকেই পোস্ট করা শুরু করলাম । পোস্ট করেই যাচ্ছি কোন কুলকিনারা পাচ্ছিনা, একদিকে প্রতিমাসে ১ জিবি নেটএর দাম ৩৫০ খরচ করতেছি অন্য কাজ ফাঁকি দিয়ে ঘাটাঘাটি করেই যাচ্ছি কিন্তু ধৈর্য হারা হচ্ছিনা , সফল আমাকে হতেই হবে । একদিন ফেসবুকে পরিচয় হল বর্তমান পিসি হেল্পলাইন বিডির এডমিন খালেদ মাহমুদ খান ভাইয়ের সাথে । উনার লেখা আগে থেকেই দৈনিক প্রথমআলোর দৈনিক যুগান্তর এর টেকপ্রতিদিন বিভাগে নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসতেছে । উনার সাথে পরিচিত হবার পর আমার আগ্রহের কথা উনাকে জানালাম , উনি আমার ব্লগ দেখে আমাকে জানালেন বাংলাব্লগ থেকে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবেনা । আমি হতাশ ! এতদিনের পরিশ্রম কি ব্যর্থ হবে ? আমার মনে আরও জেদ চাপলো না আমি হাল ছাড়বনা ।
যেভাবে শুরু ডলার উপার্জন
এর মধ্য ফেসবুকে পরিচয় ঘটলো আরেক মহান মানুশ টেকটিউনস এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শাকিল আরেফিন ভাইয়ের সাথে । তখন টেকটিউনস এত জনপ্রিয় ছিলনা , একদিন শাকিল আরেফিন ভাই স্ট্যাটাসে জানালো অনলাইন আয় নিয়ে তার সাইট আরনহেল্প চালু হবে , আমি তার থেকে লিংক নিয়ে শাকিল আরেফিন ভাইয়ের লেখাগুলো পড়লাম
গুগল অ্যাডসেন্স ছাড়াও আরও অনলাইনে আয় করার আরও কিছু উপায় দেয়া ছিল ব্লগে । যেন মেঘের মাঝে একফালি চাঁদ উঁকি দিচ্ছে । আমি ফেসবুকে তারসাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত বললাম , শাকিল ভাই আমাকে আশ্বস্ত করলো উনি সবরকম হেল্প আমাকে করবেন । উনার পরামর্শে কিছু প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনে সেডোতে পার্ক করে রাখলাম , সেখান থেকে কিছু উপার্জন করতে পেরে খুশিতে আত্মহারা এবার কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেলাম অনলাইনে উপার্জন কথাটি ভুয়া নয় । কিন্তু প্রথম যা পেলাম তা কষ্টের ১০০% ভাগের ১ ভাগ নয় । এবার শাকিল আরেফিন ভাই পরামর্শ দিলেন গুগল অ্যাডসেন্স মতই বিডব্রাটাইজার বাংলা ব্লগ সাপোর্ট করে এটা দিয়ে চেষ্টা করে যান। বসালাম বিডব্রাটাইজার এড এবার কিছু কিছু উপার্জন আসা শুরু করলো ।
এবার একটি কম্পিউটার কেনার পালা । ধার করা টাকায় কিনলাম একটি কম্পিউটার, মডেম নেই মোবাইল দিয়ে বানালাম মডেম । সারাদিন গার্মেন্টসে কাজ রাতে ব্লগিং চলছে গ্রামীণফোনের ধীর গতির ইন্টারনেট ও লোডশেডিং (ঢাকার বাইরের অবস্থা) কে নিয়মিত সাথী করে নিয়েই ,এবার আয় আস্তে আস্তে বাড়তেছে ।
প্রতিবন্ধকতা
এবার একমাসে ১০০ ডলার উপরে উপার্জন হল পরে গেলাম সবচেয়ে বড় বিপদে, ডলার উঠাতে পারবো কিন্তু পেপাল লাগবে এখানে বড় সমস্যা হলো বাংলাদেশে পেপাল অনুমোদন নেই. সেটা শাকিল আরেফিন ভাইয়ের সহযোগিতায় আমেরিকায় অবস্থানরত তার এক বন্ধু সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশে আনলাম .পরবর্তী মাসে $১৫০ উপরে আর্ন হলো কিন্তু ঐ পেপালে আর পেমেন্ট দিলনা . কিন্তু পরের মাসেও একই অবস্থা পেমেন্ট করলো না এদিকে আমার ক্লীক ব্যালেন্স হলো $530 আমিতো দিশেহারা কেন পেমেন্ট দিচ্ছেনা ? অবশেষে জানলাম পার্সোনাল পেপাল একাউন্টে মাসে $500 বেশী লেনদেন করা যায়না .তখন বুঝলাম যে আমার অন্য বিজনেজ পেপাল একাউন্ট খোজ করতে হবে .আর বিডি থেকে বিজনেস এক্যাউন্ট পাওয়া প্রায় অসম্ভব । পড়ে অনেক কমিশন দিয়ে একজনের বিজনেস এক্যাউন্ট দিয়ে টাকা উঠালাম ।
এবার বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে পেপাল চালুর দাবীতে বিভিন্ন বাংলা ব্লগে লেখালেখি শুরু করলাম ও পেপ্যাল ভেরিফাই চাই বানালাম। আমাদের পেজে বর্তমানে ১৯৯০ জন পেপাল দাবিতে একজোট হয়েছে।
মূল আলোচনায় আসা যাক, এর মধ্যই অন্য ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রোভ করে ফেলেছি কিন্তু বিপত্তি ঘটলো এখানেও, যখন প্রথম চেক পেলাম বিভিন্ন ব্যাংকে চেক নিয়ে ঘুরতে থাকলাম, কেউ বুঝতে চায় না এটা অনলাইনে উপার্জনের চেক , কোন ব্যাংক বলে ভুয়া , কোন ব্যাংক বলে এটা আমরা পারবোনা বলে তাড়িয়ে দেয়, তার পর নেট ঘাটাঘাটি করে জানলাম ইসলামীব্যাংকে এটা সহজেই ক্যাশ করা যায় , গেলাম গাজীপুর চৌরাস্তা ইসলামী ব্যাংকে, সেখানেও তারা নিতে চাইলনা বলল উত্তরাতে যেতে হবে। পরে অন্য এক অফিসারের নির্দেশে চেক রেখে দিলেন, পরে তাদের মাধ্যমে এখন নিয়মিত ক্যাশ করাই।
ডেমো চেক
সর্বশেষঃ গতমাসে ব্যাংকে গিয়েছি চেক জমা দিতে দেখি আগের অফিসার বদলী হয়েছে, নতুন অফিসার আমাকে এই চেক আর আনতে নিষেধ করলো ও এটাও জমা নিবেনা আমি কারন জানতে চাইলে বলে অবৈধ চেক , পরে আগের অফিসারকে ফোন করে বুঝিয়ে দিলে উনি চেক রেখে , পরে টাকাও পেয়েছি ।
আর বাংলাদেশে পেপাল অনুমোদন না থাকায় বন্ধুবান্ধবের সহযোগিতায় এখনো টাকা উঠাতে হয়।
আমি চেক ক্যাশ করাতে পারলেও ব্যাংক কর্মকর্তা গাফিলতির জন্য আমার পরিচিত রাজশাহীর আশিকের চেক অবৈধ বলে ব্যাংক কর্মকর্তা নষ্ট করে দেয়, খিলক্ষেত এলাকার শাহিন খান ও সাভারের সাইমুন যখন কিছুতেই ২০০০ ডলারের চেক ক্যাশ করাতে পারছিলো না আমি তাদের সহযোগিতা করে ক্যাশ করিয়ে দিয়েছি।
আমার প্রশ্ন গুগল অ্যাডসেন্স চেক অবৈধ হয় কিভাবে?? ব্যাংক গুলোকে ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সচেতন করার দায়িত্ব কার ????
সফলতা
এখন আলহামদুলিল্লাহ্ গার্মেন্টসে চাকরী করিনা
ছোটখাটো একটি ব্যবসা দেখাশোনা করি পাশাপাশি অনলাইনে সময় দেই,আর আজকের পোস্ট নিজের ল্যাপটপ থেকেই লিখছি। টেকটিউনস সহ অন্য ব্লগে কিছু টিউটোরিয়াল লিখেছি ইতিমধ্য ফেসবুকে হাজার হাজার মানুষকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে পেরেছি ।
আমি এখন গুগল ম্যাপের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত গুগল ম্যাপ মেকার ।
ইতিমধ্য আমরা ফ্রিল্যান্সার বন্ধুরা মিলে সামাজিক কর্মকাণ্ডে শরিক হতে পেরেছি।
সরকার, বেসিস ও গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ
সরকারকে বলতে চাই ব্যাংক গুলোকে অভিজ্ঞ করুন ,এভাবে একটি সম্ভবনাময় খাতকে ধবংশ হয়ে যেতে দিবেন না , লোডশেডিং ও কচ্ছপগতির ইন্টারনেট থেকে আমাদের মুক্তি দিন, বাংলাদেশে পেপাল সুবিধা চালু করুন। মানিবুকারস বাংলাদেশে অনুমোদন থাকলেও, সামান্য ছুতায় আমাদের হাজার ডলারের একাউনট পেপাল ও মানিবুকারস বন্ধ করে দিচ্ছে, কূটনৈতিক আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করুন।
বেসিস-এর প্রতি অনুরোধ আমাদের সমস্যা গুলো নিয়ে সরকারের সাথে নিয়মিত আলোচনা করে তার সমাধান করুন, ব্যাংক গুলোকে অভিজ্ঞ করতে চাপ প্রয়োগ করুন।
গণমাধ্যমের প্রতি আগেও প্রিয় ডটকমে এখানে বলেছি আমার আগের সাক্ষাৎকারটি পড়ুন ।
আপনারা যারা অনলাইনে নতুন তাদের প্রতি অনুরোধ কখনো ধৈর্য হারা হবেন না, নিয়মিত চর্চা করে যান সফল হবেন , আর কাজ করে টাকা উপার্জন করার চেষ্টা করবেন। ভুলেও ক্লিকবাজিতে পা দিবেন না ।সমাজের অনেক লোক আছে যারা বিশ্বাস করতে চায় না যে ইন্টারনেট থেকেও ইনকাম সোর্স আছে .আবার অনেকে আছে এ লাইনে পা দিয়ে প্রতারনা শিকার হয়ে ঘরে ফিরে যায় । অনলাইনে আয় মূলত নির্ভর করে প্রচুর ধৈর্য্যর উপর । আমি মনে করি যাদের ধৈর্য্য নেই তারা যেন ইন্টারনেটে আয়ের পথে পা না বাড়ায় । কারন তারা রাতারাতি লাখ লাখ টাকা উর্পাজন করতে এসে অবশেষে প্রতারনা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয় ।আর এ কলংক পুরো ফ্রিল্যান্সার জগতে এসে লাগে ।
কিভাবে আয় করবেন ?
আয় করতে হলে অবশ্যই কাজ জানতে হবে বা শিখতে হবে ।
কি কাজ করবেন ?
আমি মূলত ওয়েবে এড পাবলিশ করে উপার্জন করি । ওয়েবে এড পাবলিশ করে অথবা ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে পারেন ।
দুইটা ধরনের কাজ ফ্রীল্যান্সিং কাজ করতে চাইলে ওয়েব ডিজাইন .গ্রাফিক্স . ও seo বিষয়ে কাজ জানলেই চলবে বাকী কাজগুলো ধীরে ধীরে শিখতে পারবেন । আর এজন্য http://www.freelancer.com বা http://www.odesk.com নিশ্চিতে বিড করে কাজ নিতে পারেন .আর যাই হোক এরা কখনো আপনার উপার্জনের টাকা মেরে খাবেনা ।
এডপাবলিশ করার ক্ষেত্রে মূলত নিজের একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে .আর ওয়েবসাইট টি সুন্দর সুন্দর কন্টেন দিয়ে সাজাতে হবে যাতে ভিজিটরকে আকৃষ্ট করানো যায় নিয়মিত আপনার সাইট ভিজিট করতে .আর এ ক্ষেত্রে Google adsense সবার চাইতে এগিয়ে তারপর যার স্থান সে হলো bidvertiser আরো আছে Adbrite .chitika এরা কখনো আপনার আয়ের টাকা মেরে খাবেনা এ নিশ্চয়তা আছে ।
আর ওয়েবে কিভাবে এডপাবলিশ করবেন তা নিয়ে ইতিমধ্য ধারাবাহিক টিউন লিখছি । আরো কয়েকটি উপায়ে অনলাইনে আয় করতে পারেন যেমন sedo ডোমেইন পার্ক করে উপার্জন করতে পারেন আর এজন্য আপনার নিজস্ব ডোমেইন থাকতে হবে । আর যারা একে বারে নতুন তাদের জন্য আছে microworkers
আমি এতক্ষন যাদের কথা বললাম তারা কোনদিন আপনার উর্পাজনের টাকা মেরে খাওয়া সম্ভবনা নেই ।
তার উত্তর আপনি একটু ভেবে দেখলে পেয়ে যাবেন ।
যেমন ফ্রীল্যান্সার সাইটগুলো কথা বলতে চাই .যেমন একটা ওয়েবসাইট যদি ইউরোপ বা আমেরিকার ডেভলপার দিয়ে করাতে চায় সেখানে খরচ পড়ে ৩ থেকে ৫ হাজার ডলার .আর একই কাজ যদি এশিয়া থেকে মানে বাংলাদেশ.ভারত .পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়া থেকে করানো যায় তবে সর্ব্বোচ ৮০০ ডলার দিলেই তাদের কাজ সম্পন্ন.
আর আমরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই । এতো গেলো ফ্রীল্যান্সাদের গল্প ।
এবার আপনি প্রশ্ন করতে এডপাবলিশ করা থেকে কেনো টাকা দিবে ?
দাদার দাদার আমলে গেছে কলের গান .দাদার আমলে রেডিও .বাবার আমলে গেছে টেলিভিশন আর আমাদের আমলে পৃথিবীটা ছোট হয়ে ইন্টারনেটে সীমাবদ্ধ হয়েছে তাই দাদার আমলে রেডিওতে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে তাহলে আপনার আমলে বিজ্ঞাপন দাতারা ওয়েবসাইটে বিঞ্জপন দিবেনা তা কি করে হয় বলুন ?ওয়েবে বিজ্ঞাপনে একদিকে যেমন তাদের পন্য বিশ্বজুড়ে প্রচার পাচ্ছে তেমনি পেপাল বা ক্রেডিট কার্ডে থাকছে সাথে সাথেই পন্য বিক্রয় করার সুযোগ ।
আর এজন্য সহজ এ মাধ্যম টিকে বেছে নিয়েছে বিজ্ঞাপন দাতারা । তবে বাংলাদেশে পেপাল সুবিধা নেই তাই তারা কোন পন্য বিক্রয় করার সম্ভবনা নেই তাই বাংলাদেশীরা এড ক্লীক করলে খুব একটা দাম পাওয়া যায়না শুধুমাত্র প্রচার মূল্য দেয় ।
কিভাবে বাঁচবেন অনলাইনে আয়ের নামে প্রতারনার হাত থেকে ?
আমি এতক্ষণ যাদের নিয়ে আলোচনা তাদের সফলতা দেখে একশ্রেনীর অসাধুরা ঠিক তাদের মত করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাইট বানায় .
আর রাতারাতি কোটিপতি বানিয়ে দেবার লোভ দেখিয়ে অবৈধ ভাবে কাজ করিয়ে নেয় । তাই যেকোন কাজ করার আগে অনেক সচেতন ব্লগার আছে তাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ শুরু করবেন যেমনঃএই সাইটের এডমিন সহ
শাকিল আরেফিন ভাই .রনি পারভেজ. আরিফুল ইসলাম শাওন .সালেহ আহমেদ .মেহেদী আকরাম .মাহবুব টিউটো .জাকির ভাই সহ আরো কিছু ব্লগার আছে তাদের খুজে বের করে ফেসবুকে বন্ধুবানিয়ে নিন । আমার বিশ্বাস তারা কখনো আপনাকে স্ক্যাম বা পিটিসি সাইটে কাজ করার অনুমোদন দেবেন না।
বর্তমানে কিছু MLM সিষ্টেমে সাইট এসেছে সাথে নিয়ে এসেছে একঝাঁক দালাল যারা আপনাকে ইবলিশের মত স্ক্যাম সাইটে কাজ করার জন্য তোষামোদ করবে ।
কিছু দিন আগের একটা কথা বলি একটা mlm সাইটে ফেক আইডি বানানোর খুব তোড়জোড় চলছিল আমার কাজ বিভিন্ন ভাবে বলতে লাগলো ফোনে যখন আমাকে বলছিলো আমি উত্তর দিয়েছিলাম আপনি আমাকে ভূয়া কাজের অফার দিচ্ছেন আপনার পেমেন্ট সিষ্টেম সঠিক তার নিশ্চয়তা কি তিনি জবাব দেননি ।
একজন আমার পেজে লিংক দিল তার সাইটে একই অবস্থা যখন তাকে কয়েকটা প্রশ্ন করলাম ক্ষমা চেয়ে পোষ্টটি ডিলেট করেছিল ।
কেউ কেউ বিনিয়োগের অফার দিয়ে হাতিরঝিল বা মতিঝিলে অফিস দেখায় আমি যখন প্রশ্ন করি তোমাদের অফিস আগামী ৬মাস পরে এখানে থাকবে তার কোন গ্যারান্টি পারবে ? কোন জবাব থাকেনা ।
আমার পরামর্শ বিনিয়োগ করলে সরকার অনুমোদিত শেয়ারবাজারে করুন বিক্ষোভের পর টিভি বা পত্রিকায় ছবি আসলেও আসতে পারে । কিন্তু এরকম ভিত্তিহীন অফিসে বিনিয়োগ না করাই নিরাপদ আর আপনি যে স্ক্যাম সাইটে বিনিয়োগ করছেন তা ডাউন হতেই বা কতক্ষণ লাগবে ?
অনেকে অনলাইন আয়ের উপর কর্মশালা করে . এখানেও ভিন্নমত রয়েছে। ইদানিং নাকি কিছু ব্যক্তি শুধু টাকা খাওয়ার জন্য কর্মশালা করে শুনেছি.তারা নিজেরাই অনলাইনে আয়ে পারদর্শী নয়। তবে সবাই একরকম নয় । সর্বোপরি অনলাইনে আয় করতে হলে ভেবে চিন্তে পা বাড়ান ।
সর্বশেষ অনলাইনে আয় করে নিজের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলুন । অনলাইনে কাজ করতে আমাদের সবচেয়ে বেশী দরকার পেপাল .কিন্তু সব সরকার নিজেদের প্রয়োজনে অনেক আইনের পরিবর্তন আনলেও হাজার তরুনের কর্মসংস্থানের জন্য মানি লন্ডারিং আইনে কোন পরিবর্তন আনছেনা ।
আসুন সবাই একসাথে দাবী করি বাংলাদেশে পেপাল চাই, দিতে হবে দিতে হবে ।
ইমেইলঃ [email protected]
ফেসবুকে আমিঃ এখানে
আমি MD. RUBEL AHMED। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 66 টি টিউন ও 588 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইন্টারনেট থেকে নতুন জিনিস শিখতে ও শেয়ার করতে ভালবাসি ।
অসাধারণ,