ফ্রীল্যান্সিং করে আয়
ফ্রিল্যান্সিং একটি ব্যক্তি পেশা, এটা কোনো প্রতিষ্টানের স্থায়ী চাকরি নেই, যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তারা বিভিন্ন প্রকারের কাজ করে আয় করতে পারেন এবং নিজেই নিজের কাজের সময় নির্ধারণ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়:
কৌশল ও পেশা নির্বাচন:
আপনি যে কোনও সাইটে কাজ পারেন, কিন্তু আপনি যে সাইটেই কাজ করতে চান আপনার সেই সাইট সম্পর্কে কাজের কৌশলের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন:
আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি নির্বাচন করতে পারেন। আপনি আপনার প্রোফাইলটি আকর্ষণীয় এবং পেশাদার করার চেষ্টা করুন।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করুন:
গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন এবং তাদের কাছে আপনার দক্ষতা এবং পেশাদার করার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করুন।
সময় পরিচালনা করুন:
ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনার সময় ঠিকমত পরিচালনা করুন এবং আপনার কাজের জন্য যথেষ্ট সময় বিনিয়োগ করুন।
একজন ফ্রিল্যান্সার এর আয় কত?
বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার বাড়ছে, বাড়ছে তাঁদের চাহিদা। একই সঙ্গে তাঁদের আয়ও বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান পেওনিয়ারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে যাঁদের স্নাতক ডিগ্রি আছে, তাঁরা ঘণ্টাপ্রতি গড়ে ২০ ডলার আয় করেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা এ কাজের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অবস্থান করে নিতে পেরেছেন। এখন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ও প্রোগ্রামিংয়ের কাজে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কার মধ্যেও বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কাজের চাহিদা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এই প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে যে ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা আরও বাড়বে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে কিভাবে আয় করা যায়?
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। এটি হতে পারে ব্যক্তিগত কাজ বা একটি ব্যবসায়ের জন্য। নিম্নলিখিত উপায়গুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে:
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: অনকেই প্রশ্ন করেন যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হলো ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন, পিনটারেস্ট ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে মাধ্যম নিজেদের পণ্য বা সেবার প্রচার করা।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইট এবং কনটেন্টগুলি সার্চ ইঞ্জিনে সঠিকভাবে কার্যকর করতে সাহায্য করে এবং আরও বেশি লোককে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে।
ইমেইল মার্কেটিং: ইমেইল মার্কেটিংয়ের সুবিধা অনেক। ইমেইল মার্কেটিং একটি প্রভাবশালী ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া যা ব্যবসারা ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য অনেক সুবিধা আনতে সক্ষম। এর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান তাদের মাদক কাস্টমার সাথে সংযোগ করতে এবং তাদের প্রোডাক্ট ও সেবার প্রমোশন করতে পারে। ইমেইল মার্কেটিং মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমারদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি আপনার কাস্টমারদের প্রতি ব্যক্তিগতভাবে অনুভূতি দেওয়ার এবং তাদের সাথে একটি সম্পর্ক তৈরি করার জন্য সুযোগ প্রদান করতে সাহায্য করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করেই কেনো আয় করবেন?
হ্যাঁ এটা কিন্তু খুবই ভালো প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি, ডিজিটাল মার্কেটিং করার ধাপ গুলোতে কোন পরিবর্তন হয় না। আপনি যদি একটু কষ্ট করে শিখতে পারেন তাহলে সব সময় আপনি একই পদ্দতিতে কাজ করতে পারবেন। আবার বলতে পারেন গ্রাফিক্স বেশি সহজ, কেন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন? এ বিষয়ে আমি বলতে চাই, মনে রাখবেন সবসময় কিন্তু ডিজাইন এর পরিবর্তন হয়। ডিজাইন এর প্রতিযোগীও বেশি। তাছাড়া আপনি যদি creative ডিজাইন তৈরি করতে না পারেন, তাহলে অনেক পিছিয়ে যাবেন। তাই আমি বলব গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটা অনেক সহজ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করার পদ্দতি একই থাকে, এটার কোন পরিবর্তন হয় না।
মনে রাখতে হয় যে, ফ্রিল্যান্সিং করতে সফল হতে হলে আপনার প্রতিশ্রুতি এবং কাজের মাধ্যমে দক্ষতা দেখাতে হবে। অধিকাংশ মানুষই যে ভুলটা করে সেটা হলো অল্পতে হাল ছেড়ে দেয়। অল্পতে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। আপনি অল্পতে হাল ছেড়ে দিলে নিজের কাঙ্ক্ষিত সফল্যে পৌঁছাতে পারবেন না। তাই নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখে এবং নিজের উপর ভরসা রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যান।
আমি Pranto। Office Stuff, Growmek IT, Khulna। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।