Skills বা দক্ষতা যা মানুষকে অন্যদের থেকে ইউনিক করে তোলে। যা মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে।
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক! আমি রিফাত, আপনার সাথে আলোচনা করব সেই সকল স্কিল নিয়ে যেগুলো আপনার ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে চলেছে। আর যা এখন থেকে শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিঃসন্দেহে একজন দক্ষ মানুষের চাহিদা অনেক। এই প্রতিযোগিতার ভিড়ের মধ্যে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে হলে অনেক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
আমি অনেক বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করে, ইন্টারনেট থেকে রিসার্চ করে, বড় ব্যক্তিত্বের মতামত নিয়ে আপনাদের সাথে এমন কয়েকটি স্কিলস এর কথা শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এমন অনেক দক্ষতা রয়েছে যেগুলো আপনাকে উন্নত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদার মধ্যে কিছু প্রযুক্তি, ডেটা এবং critical thinking সম্পর্কিত।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial intelligence):
AI (artificial intelligence) হল মানুষের বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাশক্তিকে মেশিন দ্বারা পরিচালিত করা অর্থাৎ মেশিনকে এমনভাবে ক্ষমতায়ন করা যাতে করে মেশিন মানুষের মতো করে চিন্তা করতে পারে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে পারে।
যেমন বক্তৃতা শনাক্তকরণ (speech recognition), চিত্র বিশ্লেষণ (image analysis), প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (natural language processing) এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া (decision making) ইত্যাদি।
AI অনেক শিল্পকে পরিবর্তন করেছে, কর্মক্ষেত্র রূপান্তর করেছে। একদিকে যেমন অনেক কর্মক্ষেত্র উধাও হয়ে গিয়েছে ঠিক তেমনি নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রের আবির্ভাব হয়েছে।
অনেক কাজ হয়েছে শ্রম ও সময় সাশ্রয়ী। এর জন্য কর্ম ক্ষেত্র যেমন অনেক সংকীর্ণ হয়ে এসেছে তেমনই নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।
এই পরিবর্তনকে মানিয়ে নিতে হলে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর যাবতীয় টুল এবং সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগানোর দক্ষতা অর্জন করতে হবে যা টিকে থাকতে হলে আবশ্যক।
এর ওপর আরো কিছু যুক্তিসম্পন্ন কথা তুলে ধরতে চাই, , একসময় মানুষ বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করত, অনেক কিছু শিখতো। উদাহরণস্বরূপ প্রায় সব কিছুই। এজন্য আমাদেরকে অন্য কিছুর উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। গত বছরেও যেগুলোর ডিমান্ড খুবই হাই ছিল এখন তার কোন ডিমান্ডই নেই! এজন্য আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
Data literacy:
Data literacy হল কার্যকরভাবে ডেটা access, analyze এবং communicate করার ক্ষমতা। ডেটা এখন ব্যবসার জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলির মধ্যে একটি, এবং তাদের এমন লোকেদের প্রয়োজন যারা সমস্যা সমাধান করতে, সিদ্ধান্ত নিতে এবং মান উন্নয়ন করতে ডেটা ব্যবহার করতে পারে।
Data literacy এর দক্ষতার মধ্যে রয়েছে data collection, data visualization, ডেটা storytelling, এবং ডেটা-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। আপনি যদি এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনি সদূর ভবিষ্যতেও টিকে থাকতে পারবেন। কিন্তু এটা কোন যাতা ব্যাপার না। এর জন্য আপনাকে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং নিজেকে উন্নত করতে হবে।
Critical thinking:
মানুষ এবং অন্যান্য জীবজন্তুর ভেতর পার্থক্য কেবল চিন্তাশক্তির। টিকে থাকতে হলে যেমন শারীরিক শক্তি বা সক্ষমতার প্রয়োজন ঠিক তেমনি ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়বে উন্নত চিন্তাশক্তির।
আমরা অধিকাংশ সময়ে নিশ্চয়ন ছাড়া, যুক্তি ছাড়া সবকিছু খুব সহজে গ্রহণ করে নেই। ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা এসবের পার্থক্য করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমরা তা কাজে লাগাই না। ফলস্বরূপ আমাদের অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয়।
Critical thinking হচ্ছে তথ্যকে বস্তুনিষ্ঠভাবে এবং যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ন করার এবং প্রমাণ থেকে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা।
আমরা যে জটিল এবং অনিশ্চিত বিশ্বে বাস করি সেখানে টিকে থাকার জন্য Critical thinking & deep Thinking এর দক্ষতা অপরিহার্য।
প্রতিনিয়তই আমরা জাল খবর, ভুয়া তথ্য এবং উস্কানিমূলক খবরের সম্মুখীন হই। ভবিষ্যতে একটা সময় আসবে যখন এই সকল আবর্জনার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পাবে।
সেগুলোকে চিনতে পারা, সত্য মিথ্যার পার্থক্য করা অর্থাৎ যাচাই করার দক্ষতা বাড়াতে হবে। এর জন্যই Critical thinking এর দক্ষতা আমাদের জীবনে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে।
Critical thinking এর দক্ষতা আমাদের অনুমানগুলিকে প্রশ্ন করতে, পক্ষপাতগুলি সনাক্ত করতে, উৎসগুলির মূল্যায়ন করতে এবং যুক্তিগুলিকে চ্যালেঞ্জ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া গভীর চিন্তাভাবনা - যে কোন সমস্যাকে সমাধান করা, কঠিন কে সহজ করা, এককথায় জীবনকে সহজ করার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
Adapt বা আত্মস্থ বা অভিযোজন করার ক্ষমতাঃ
এটা যেমন কোটি কোটি বছর ধরে কোন প্রাণীকে টিকিয়ে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি মানুষকে উন্নত জীবনযাপন এবং নিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হাজার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অগণিত প্রাণী যেমন টিকে আছে, ঠিক তেমনি সব রকম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং পরিবর্তনকে মানিয়ে নেওয়াটাকেই আমি সবচেয়ে বড় ক্ষমতা বলে মনে করি।
এর গুরুত্ব ভাষায় বলে শেষ করা যাবে না। যুগে যুগে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে শুধু এই ক্ষমতা না থাকার কারণে। ঠিক তেমনি পরিবর্তনকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা যদি আমাদের না থাকে তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না।
এআই যেমন মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে বিশাল পরিবর্তন এনেছে, অনেকের কর্মক্ষেত্র এখন অনিশ্চয়তার মাঝে। তারা যদি নিজেকে পরিবর্তন না করে তাহলে অবশ্যই তারা টিকে থাকার লড়াই হেরে যাবে এবং গরিব হয়ে মারা যাবে।
আমি রিফাত আহমেদ। CEO, Creative Learners Hub, Jashore। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
I'm a technology expert & professional writer .