ডেনমার্কের একজন ফিলোসফার ছিল, তিনি মনে করতেন যে মানুষের দুঃখ, দুর্দশা, হতাশার মূল কারণ তাদের জীবন জীবিকা ঠিক না হওয়া।
মানুষকে বৈজ্ঞানিকভাবে যদি সঠিক তথ্য দেওয়া হয় তাহলে মানুষ নিজেকে বুঝতে পারে এবং মানুষ যদি নিজেকে বুঝতে পারে তাহলে তার জীবন জীবিকা সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করে।
ডেনমার্কের ফিলোসফার মানুষের জীবন জীবিকার উপর নির্ভর করে মানুষকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন।
১। ভোগবাদী মানুষ
তিনি মনে করেন মানুষ যখন ভোগবাদী অবস্থায় থাকে তখন আনন্দের পেছনের ছুটে। যেই কাজটি করতে আনন্দ লাগে সেই কাজটি করে। মানুষ যখন ভোগবাদী পর্যায়ে থাকে তখন সে আনন্দ খোঁজেঁ। আবেগ দ্বারা পরিচালিত হয়, নতুন নতুন জিনিস খুঁজে। তার জীবনে লক্ষ্য চেঞ্জ হতে থাকে। তার কোন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিত্ব থাকে না। ভোগবাদী মানুষ সবচেয়ে নিম্নতর পর্যায়ে থাকে।
২। নৈতিক পর্যায়
একটা মানুষ যখন নৈতিক পর্যায় থাকে তখন একটা মানুষ নীতির ওপর বিবেচনা করে ঠিক বেঠিক ভালো মন্দ বোঝার চেষ্টা করে। কোন কাজ করার আগে সে ভালো-মন্দ ঠিক বেঠিক চিন্তা করে কাজটি করে। এই ধরনের মানুষ অনেক বেশি কর্তব্যপরায়ন হয়। কি কর্তব্য তার দেশের প্রতি। তার সমাজের প্রতি, তারপরিবারের প্রতি, তা করার চেষ্টা করে। মানুষ তখন আত্মনির্ভর হয়ে থাকে, নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করে। এবং সবকিছুর জন্য নিজের উপর নির্ভর হয়, নিজের আনন্দ, নিজের দুঃখ, নিজের কষ্টের, সবকিছুর জন্য নিজের উপর নির্ভর হয়। এই ধরনের মানুষ একা থাকতে পছন্দ করে, নির্জন অবস্থায় থাকতে পছন্দ করে।
৩। ধর্মীয় পর্যায়
এই অবস্থায় মানুষ ধর্মকে বেশি প্রাধান্য দেয়। যদি কোন কিছু কাজ করে থাকে তা ধর্মের উপর নির্ভর করে করে থাকি। ডেনমার্কের ফিলোসফার মনে করেন ধর্ম মানে সৃষ্টিকর্তার সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক। এই ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে মানুষের কাজ করা উচিত। ডেনমার্কের ফিলোসফার একটি উদাহরণ দেন সেটা হচ্ছে হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখলেন তার ছেলেকে হত্যা আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর তিনি তার ছেলেকে হত্যা করার জন্য নিয়ে গেলেন। তিনি যখন তার ছেলেকে হত্যা করার জন্য নিয়ে গেলেন আমাদের দেখা কোন পর্যায় পড়ে না। যেমন ভোগবাদী, নৈতিক, ধর্মীয়। অর্থাৎ তিনি এমন একটি কাজ করতে যাচ্ছেন যেটা তিনি বিশ্বাস করেছেন কিন্তু কোন মাধ্যম বা কোন পর্যায়ে সেটি পড়ে না।
মানুষ যখন বুঝতে পারে তারা সে যে জীবিকার নির্বাহ করছে তার সাথে তার ভবিষ্যতের কোন লক্ষ্য নেই তখন সে হতাশাগ্রস্ত হয়। হতাশা দুঃখ দুর্দশা এগুলো কি কখনো ভালো।
ডেনমার্কের ফিলোসফার মনে করে যে কেউ যদি ভোগবাদী অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তাহলে সে ভালো জীবন ধারণ করতে পারবে। সুতরাং বলা যায় যে জীবিকা অর্জনের জন্য বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হয় যেমন নৈতিক ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অর্থনীতি। একজন ভোগবাদী মানুষ কখনোই তার রাষ্ট্রের জন্য বা সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারে না। যদি একজন মানুষ তার হতাশা, দুঃখ, দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কেননা ধর্মীয় শিক্ষার উপরে কোন শিক্ষা হতে পারে না। একটা মানুষ যত বেশি ধার্মিক হবে তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য সব সময় মানুষের সেবার জন্য থাকবে। একটা মানুষ যদি ভোগবাদী হয়ে থাকে তাহলে তার লক্ষ্য থাকবে সব সময় আত্মকেন্দ্রিক। সে সবসময় নিজেরটা চিন্তা করবে এবং নিজের জন্য সবকিছু করবে নিজের আনন্দ পাওয়ার জন্য সব কিছু করবে।
ফিলোসফার মনে করে মানুষকে ভোগবাদী থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কেননা একটা মানুষ কখনোই ভোগবাদীচিন্তা ভাবনা করে জীবনে এগিয়ে যেতে পারে না। ধর্মীয় চিন্তাভাবনা একটা মানুষকে অনেক বেশি নৈতিক ও আদর্শ মান করে তোলে। সবকিছুর উপরে হচ্ছে ধর্মীয় চিন্তাভাবনা।
আমি নাহিদ শাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন জব পরীক্ষার্থী নতুন কিছু অনুসন্ধান করার ইচ্ছা আমার তাই তা আমি উপস্থাপন করবো ইনশা আল্লাহ।