সেভেন সিস্টার্স জানার জন্য প্রথমে আমাদের যা জানতে হবে
১.পশ্চিম বঙ্গ
২.পূর্ব বঙ্গ
৩.দক্ষিন বঙ্গ
৪.উত্তর বঙ্গ
বাংলাদেশের পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ মানে কলকাতা। যার আয়তন ২২১৭কি.মি। বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিমে রয়েছে বঙ্গোপ্রসাগর। পশ্চিম উপকূলীয় সীমানার দৈর্ঘ্য ৭১১কি.মি.
মেঘালয় পর্বত মালা বাংলাদেশের পূর্বদিকে। যার রাজধানীর নাম শিলং। যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪৪৩কি.মি। বাংলাদের থেকে অনেক পর্যটন যায় সেই মেঘালয় দেখার জন্য। কত সুন্দর অপরূপ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি।
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ রয়েছে বঙ্গোপ্রসাগর। যার উপর ভিত্তি অনেক অনেক মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত হচ্ছে বাংলার সাগর কনা। সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপ। আমরা ৬০%অংশ পেয়েছি বঙ্গোপ্রসাগরের।
উওরে রয়েছে ভূতান ও নেপাল। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো ভূতান নেপাল কোনটাই আমাদের দেশের সাথে সংযুক্ত করেনি
মেঘালয় ও আসামের পরেই রয়েছে অরুনাচল প্রদেশ। অরুনাচল রাজ্যের রাজধানীর নাম ইটানগর। এর পরেই হচ্ছে ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্য যার রাজধানীর নাম কোহিমা। তারপরেই মনিপুরি রাজ্য যার রাজধানীর ইম্ফল।
এবার আসি আসল কথায় যা নিয়ে এতোক্ষন সময় ধরে আমি তোমাদের সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম
ভারতের উওর-পূর্বের এই ৭টি প্রদেশকে বলা হয় সেভেন সিস্টার।
সেভেন সিস্টার বা ৭বোন রাজ্য বলতে আমরা মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুনাচল, নাগাল্যান্ড। এই ৭রাজ্যের মোট আয়তন ২৫৫৫১১বর্গ কি.মি.। যা ভারতের মোট আয়তন এর ৭%
ত্রিপুরার এক সাংবাদিক সাইগিয়া উনি প্রথম সেভেন সিস্টার নামটি ব্যবহার করেন। তারপর পরি সেভেন সিস্টার নামটি মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হতে শুরু করে। এটি যখন সকলের মুখে মুখে প্রচলিত হতে থাকে তারপর সরকার এই বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচলা করে। তার কিছুদিন পর সরকারি ভাবে এই সেভেন সিস্টার বা সাত বোন নামটি রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা পায়। ১৯৭২ সাথে প্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে এই সেভেন সিস্টার কথাটি মর্যাদা পায়।
এই সেভেন সিস্টার এর মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের সাথে শুধু মাত্র ৪টি রাজ্যের সংযোগ রয়েছে। মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম। এবং ৩টি রাজ্যের সংযোগ নেই সেটা হল অরুনাচল, নাগাল্যান্ড, মনিপুরী।
ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যের সাথে একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হলো ভারতের শিলিগুড়ি করিডোর। এই ছোট ভূখন্ডটি ১৯৪৭ সাথে যোগাযোগের জন্য স্থাপন করা হয়। এটা দেখতে অনেকটা মুরগীর গলার মত তাই এটিকে চিকেন নিক বলা হয়।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্থলসীমা ৪১৫৬ কি.মি. আর বাংলাদেশের সাথে মায়ানমার এর স্থলসীমা ২৭১কি.মি। ভারত ও মায়ানমার এর মোট স্থলসীমা ৪৪২৭, কি.মি.। বঙ্গো প্রসাগরের দিক দিয়ে বাংলাদেশের জলসীমা ৭১১কি.মি.।
বাংলাদেশের পশ্চিমে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ যার দৈর্ঘ্য ২২১৭কি.মি.। বাংলাদেশের উত্তরে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এর কিছু অংশ যেমন আসাম যার দৈর্ঘ্য ২৬২কি.মি.। তারপর রয়েছে মেঘালয় যার দৈর্ঘ্য ৪৪৩কি.মি.। বাংলাদেশের পূর্বে রয়েছে ভারতের আসাম রাজ্যের কিছু অংশ যেমন ত্রিপুরা যার দৈর্ঘ্য ৮৫৬কি.মি.। মিজোরাম যার দৈর্ঘ্য ১৮০ক.মি.। বাংলাদেশের দক্ষিণ -পূর্বে রয়েছে মিয়ানমার এর ২টি রাজ্য বা প্রদেশ একটি হচ্ছে চিন প্রদেশ আরেকটি হচ্ছে রাখাইন প্রদেশ। যাদের মোট দৈর্ঘ্য ২৭১কি.মি.।
এতক্ষন সকলে আমাদের সাথেই ছিলেন। আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম। আশাকরি আমার এই আলোচনা আপনাদের ভাল গেলেছে। আসলে আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের সকলের অনেক কৌতূহল থাকে বাংলা সম্পর্কে জানতে। গ্রামীন জীবন সম্পর্কে জানতে। এর পরের আলোচলায় আমি আপনাদের আরো নতুন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা আপনাদের অনেক কিছু শেখাবে জানাবে।
আজকে এই পর্যন্ত সকলে ভাল থাকবেন। এর পরে আরো নতুন একটা অধ্যায় নিয়ে আমি হাজির হক। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।
আমি নাহিদ শাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন জব পরীক্ষার্থী নতুন কিছু অনুসন্ধান করার ইচ্ছা আমার তাই তা আমি উপস্থাপন করবো ইনশা আল্লাহ।