নিয়তি কি
কারো যদি পরীক্ষা খারাপ হয় তাহলে সে ভাবে যে তারপরীক্ষা খারাপ হওয়ার পেছনে তার প্রশ্ন কঠিন হওয়া দায়ী কিন্তু আসলে হয়তো কারো পরীক্ষা খারাপ হলো দুর্ঘটনার জন্য, ভাগ্যর জন্য, নিয়তির জন্য। সৌভাগ্য এই শব্দগুলো বা এই ধারণাগুলো আমাদের চিন্তাভাবনা আমাদের ব্যক্তিত্বের উপর কি রুপ প্রভাব ফেলে আজকে আমরা তা দেখার চেষ্টা করব
সেটা জানার জন্য সবাই সঙ্গে থাকবেন। আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি আমি আপনাদের সাথে আজকে নিয়তি নিয়ে কথা বলবো। নিয়তি কিভাবে কাজ করে। ভাগ্য হচ্ছে কোন কিছুর একটি নির্দিষ্ট আউট কাম। যেমন মানুষের শুধু মৃত্যু হতে পারে বাস্তব সত্য। এটা কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। মিথ্যা হচ্ছে মানুষের নিয়তি। ধরুন আপনি চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন বৈজ্ঞানিকভাবে যখন আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করি একটা হচ্ছে অতিষ্ঠ ভাগ। উদারবাদ অদৃষ্টবাদীর দুইভাবে হয়ে থাকে একটা হচ্ছে হার্ড লাইনার আর একটা হচ্ছে সফট লাইন।
উদারবাদিরা যেভাবে চিন্তা করে বা তারা মনে করে থাকে যে, মহাজগতে যা কিছু হয়েছে তার সবকিছু নিয়তির উপর পরিবর্তন যা কিছু করছে এসব কিছু হচ্ছে নিরব নিয়তির ফলাফল। আমরা যদি বুঝতে পারি যে সূর্য নক্ষত্র জীবজগতের যা কিছু রয়েছে তাই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম বা সাইকেলের মধ্যে চলছে এর নিয়ম বা সাইকেলের মধ্যে বাইরে আমরা কেউ যেতে পারি না। মানুষ মনে করে যে সমাজ ব্যতিক্রম অতীতের হাতে বন্দি যেমন আপনার বাবা-মা যদি হাইপারটেনশন বা বিভিন্ন রোগে সমস্যা থাকে তাহলে আপনারও সেই রকম কোন সমস্যা হতে পারে এখন আপনারা তো আপনার জীবন আপনার বাবা-মার জীবনের উপর আপনার নিয়তি।
আপনি যদি বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে আপনার ক্রিমিনাল হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ সমাস নির্ধারণ করে দিচ্ছে আপনার নিয়তি কি হবে। আবার যদি আপনি এমন কোন পরিবার থেকে উঠে আসেন যেখানে আপনার বাবা মার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাহলে আপনার মধ্যে হীনমন্যতা নেতা কাজ করবে। বিষন্নতা সৃষ্টি হবে। এজন্য যারা অতিষ্ঠবাদী তারা মনে করে মহাজগতের যা কিছু আছে সব নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে রয়েছে।
একটু চিন্তা করে দেখুন আপনি কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন কোথায় জন্মগ্রহণ করছেন সেটার উপর নির্ভর করে আপনার নিয়তি কি হবে, আপনার বিশ্বাস কি হবে, আপনি চিন্তা ভাবনা কি হবে। আবার আপনি যদি অন্য কোথাও জন্মগ্রহণ করেন তাহলে আপনার চিন্তা ভাবনা কি হতো আপনার পরিবেশ কি হতো।
একটা মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় আছে বাহির থেকে দরজাটা লাগানো তাহলে তার সে মনে করে এই সিদ্ধান্তটি তার নিজস্ব। কিন্তু সে জানে না তাকে বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আসলে আমরা বুঝতে পারি না, যে আমাদের সাথে কি হচ্ছে আমরা হয়তো ভাবি যে আমরা যে চিন্তা ভাবনাটি গ্রহণ করছি সেটা একান্তই আমাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা। এরকম কিছু না। এমনও হতে পারে যেটা আমাদের নিজের নয়।
আমরা সমাজে বাস করতে করতে কিছু কিছু বিষয়ে আমরা মনে করি যে, আমরা সেটা নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছি আসলে সেটা আমাদের প্রাকৃতিকগতভাবেই হচ্ছে।
তাই নিজের চিন্তা ভাবনা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে আমরা হয়তো জানি না আমরা কিভাবে নিজের চিন্তা ভাবনা নিজে নিয়ন্ত্রণ করতেছি যদি আমরা নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য সেটা খুবই সহজ হয়ে যাবে তাই আশা করছি আমার বিষয়গুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন এরপর থেকে হয়তো আপনারা বুঝতে পারবেন যে কিভাবে একটি মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমি নাহিদ শাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন জব পরীক্ষার্থী নতুন কিছু অনুসন্ধান করার ইচ্ছা আমার তাই তা আমি উপস্থাপন করবো ইনশা আল্লাহ।