ভাল মানের ক্যামেরা বা স্মার্টফোন হাতে থাকলে সবারই একটু-আধটু ফটোগ্রাফির শখ জাগে। কেউ আবার ফটোগ্রাফিতে বেশ ভালো দক্ষতা অর্জন করে পেশাদার ফটোগ্রাফার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ারও স্বপ্ন দেখেন। তবে, কীভাবে শুরু করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে সঠিক নির্দেশনার অভাবে সেই ইচ্ছাটা অনেকের কাছে অধরা হয়ে থেকে যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, ফটোগ্রাফি করে কিভাবে আয় করা যেতে পারে তার কিছু উপায়
ফটোগ্রাফি করে আয় করার সবচেয়ে সহজ আর কার্যকর উপায় হলো ফটোগ্রাফি ভিত্তিক সেবা প্রদান করা। ওয়েডিং ফটোগ্রাফি আমাদের দেশে ফটোগ্রাফারদের আয়ের একটি অন্যতম উৎস। ওয়েডিং ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে অল্প কিছু সময় দিয়ে বেশ ভালো মানের আয় করা যায়।
তবে ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পুঁজি হলো নেটওয়ার্কিং। এজন্য এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে পরিচিত হওয়া, খোঁজ-খবর রাখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত হওয়া যেতে পারে।
ফটোগ্রাফি সেক্টরে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর অন্যকে হাতে-কলমে শেখানোর মাধ্যমেও অর্থ উপার্জন করা যায়। এ ক্ষেত্রে অনলাইন ভিডিও কোর্স ছাড়াও সরারসি কোচিং করানো যেতে। অনলাইনে এমন অনেক সাইট আছে যেমন- Ghoori Learning, 10 minute school এরা এভাবে কোচিং করায়
ফটপশপ, প্রিমিয়ার প্রো, আফটার ইফেক্টস এর মত অসাধারণ সব যুগান্তকারী সফটওয়্যার এর পাশাপাশি স্টক ইমেজও সেল করে থাকে এডোবি। এডোবি স্টক এ ছবির পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইন করে আঁকা ইলাস্ট্রেশনও বিক্রি করা যায়। এডোবি প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে যেকেউ এডোবি স্টক এ ছবি বিক্রি করতে পারবেন। আপলোডকৃত ছবি সেল হলে অর্জিত অর্থ থেকে একটি নির্দিষ্ট অংকের কমিশন গ্রহণ করে এডোবি স্টক।
ফটোগ্রাফি বিষয়ে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে যেমন কেউ আয় করছেন, তেমনি একজন ফটোগ্রাফারও এভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
সত্যিকার অর্থে, ফটোগ্রাফি এমনই একটি স্কিল যার প্রতি মানুষের আগ্রহের অভাব নেই। অনেকের কাছে ভিডিও দেখার চেয়ে আর্টিকেল পড়ে তথ্য সংগ্রহ করাটা বেশি সহজ মনে হয়।
ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত আপনার জ্ঞান, মতামত ইত্যাদি একটি ব্লগ খুলে সেখানে টিউন করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে ব্লগ টিউন করার পর ব্লগে বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।
বর্তমানে ইউটিউব দেখে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ইউটিউব চ্যানেল খুলে শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করে এখন অনেকেই অনলাইন থেকে আয় ইউটিউব চ্যানেল হতে পারে ফটোগ্রাফি করে আয়ের একটি মাধ্যম।
ফটোগ্রাফির বিভিন্ন ট্রিকস, দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও, মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের ছবি ইত্যাদি চ্যানেলের কনটেন্ট হিসেবে প্রচার করলে ফটোগ্রাফির একটি মার্কেটিং টুল হিসেবে বেশ কাজে দেয়।
ক্যামেরা রিভিউও করতে পারেন বিভিন্ন স্পন্সর এর সাহায্য নিয়ে। আবার ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যাপারগুলো, যেমনঃ ফটো এডিটিং কিংবা রিটারচিং, ইত্যাদিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলের শিখিয়ে আয় করতে পারেন।
স্টক ওয়েবসাইট বিনামূল্যে ছবি সংগ্রহ করার সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে অনেক সময় প্রয়োজনমাফিক আকর্ষণীয় ছবি পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তাই অনেকে গেটি ইমেজ বা শাটারস্টকের পেইড ছবি নেওয়ার বিকল্প সুবিধা গ্রহণ করেন।
এ ক্ষেত্রে এসব ওয়েবসাইটে ছবি পাঠানো যেতে পারে। শুরুর দিকে অবশ্য খুব বেশি আয় করা সম্ভব হয় না, তবে ট্র্যাকে চলে আসলে বেশ ভালো উপার্জন করা যায়। তাই স্টক ওয়েবসাইট আরেকটি উপায় হতে পারে। তবে ছবি পাঠানোর সময় তাদের তথ্যগুলো খুব ভালো করে অনুসরণ করতে হবে।
সবশেষে বলব ফটোগ্রাফি করে বর্তমানে অনেকেই নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন করছে, আয় করছে। কিন্তু শুরুতেই যদি ভাবেন প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন তাহলে হবে না। আপনাকে লেগে থাকতে হবে Creative হতে হবে। ধন্যবাদ।
আমি প্রনয় পোদ্দার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।