রেডিও ইতিহাস ও বিজ্ঞানীদের অবদান

এই আধুনিক বিশ্বের রেডিও ব্যতিত জীবনের সময় পরিচালনা করা একটি দূরহ ব্যাপার, প্রায় অসম্ভব রেডিও প্রযুক্তি আমাদের জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত, রেডিও নেই আপনি এই মহাবিশ্বে সংযুক্ত নন, সকল তথ্য প্রেরণ, গ্রহন, একস্থান হতে অন্যকোনো দূরবর্তী স্থানে এমনি মহাকাশে যেখানে গ্যাস উপস্থিতি নেই বা কম সেখানেও রেডিও প্রযুক্তি অনায়াসে কাজ করতে পারে, বিষয়টা অদ্ভুত হলেও সত্য, এর আছে বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য চলুন জেনে নেয়া যাক, রেডিও তৈরী ইতিতাস
স্কটিশ ফিজিসিস্ট জেমস ক্লার্ক মেক্সওয়েল (জন্ম ১৮৩১, মৃত্যু ১৮৭৯)তিনি প্রথমে
রেডিও প্রবাহের ধারনা আবিষ্কার করেন, আর এই ধারণা উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে বিস্ময়কর রেডিও প্রযুক্তি, তিনি আবার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্লিড টিউরি, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব এগুলো থিওরি (১৮৬০ হতে ১৮৮৬) তৈরীর জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত, এই অবদানের কারণে পরবর্তীতে রেডিও তৈরীর জন্য প্রধান ও অত্যাবশাক বিষয় হিসিবে দাড়িয়ে ছিল।

১৮৬০ সালে আবার ২য় ধাপের কাজটি করেন,
জার্মান ফিজিসিস্ট
হেইনরিচ রোডলফ হার্টস প্রর্দশন ও প্রমান করেন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক প্রবাহের ধারণাটি পরীক্ষামূলকভাবে
স্পার্ক গ্যাপ ট্রাসমিটার আবিষ্কার মাধ্যমে।
আবার ৩য় ধাপের কাজটি করেন,
আমিরিকান দন্ত চিকিৎসক মহলন লুমিজ, তার বিহীন তথ্য প্রেরণ করার প্রযুক্তি প্রাথমিক রূপ প্রদান করেন যেটি রেডিও প্রবাহ
প্রেরন করতে পারতো,

৪র্থ ধাপের কাজটি করেন, ইটালিয়ান বিজ্ঞানী গার্গলাইমো মারকোনি
তিনি সফল ভাবে রেডিও প্রবাহ বার্তা প্রেরন ও গ্রহন করেন(১৮৯৫ হতে ১৮৯৯ সাল) ইংল্যান্ড থেকে নিউফান্ডলেন্ড (বর্তমানে এটি কানাডার একটি অংশ) প্রেরণ ও গ্রহন বার্তা সম্পন্ন করেন সফলভাবে, যদিও তিনি প্রথম প্রেরণ করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসিবে নিকোলা টেসলা (সারবিয়ান আমিরিকান বিজ্ঞানী) ও নাথান সাবলেফিল্ড (আমিরিকান বিজ্ঞানী) নামও জড়িত ছিল, ১৯৪৩ সালে প্রমান পাওয়ার সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্ট নিকোলা টেসলা কে প্রথম রেডিও প্রযুক্তি আবিষ্কারক হিসিবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। স্পার্ক গ্যাফ মেশিন উন্নতি ও বিকাশ ঘটিয়ে ট্রান্সমিটার যন্ত্রে রূপান্তর করা হয়, মূলত কাজ করা হতো জাহাজ থেকে জাহাজে যোগাযোগের জন্য, তারপর ১৮৯৯ সালে আরো উন্নতি ঘটিয়ে মহাসমুদ্রে উদ্ধার কাজে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার হতো, ইউএস আর্মি ও নেভি বাহিনী ব্যবহার করে এর ব্যবহার সম্প্রসারণ বৃদ্ধি করে। ১৯০১ হতে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত হাওয়ায় আইসলেন্ড (আমিরিকার অংশ) স্থানে প্রথম ৫টি রেডিও সেবা চালু হয়, মারকোনি স্টেশন হয় ওয়েলফ্লিট (আমিরিকার অংশ) নামক স্থানে। ব্যাপক দূরত্বে ১৯১৫ সালে রেডিও ব্রডকাস্ট শুরু হয় নিউইয়োর্ক হতে সানফ্রানসিসকো বিশাল দূরত্বে এবং আটলান্টিক মহাসাগর জুড়ে, ১৯২৭ সালে বানিজ্যিক ভাবে নর্থ আমেরিকা হতে ইউরোপে রেডিও টেলিফোন সার্ভিস সেবার তৈরীর জন্য সংযুক্ত হয়, ১৯৩৫ প্রথম ফোন সেবা চালু হয় ক্যাবল ব্যবহার করে, ১৯৮৩ সালে তার ব্যতীত টেলিফোন সেবা চালু, তারপর এডউইন হওয়্যার্ড আর্মস্ট্রং এফএম রেডিও প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন, যা অপ্রয়োজনীয় sound সরিয়ে দিয়ে বার্তাগুলো করে পরিষ্কার ভাবে শোনার ব্যবস্থা করেন, তারপর হতে ধীরে ধীরে উন্নতি হওয়ার পর মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহার শুরু হয়ে যায়, এটি রেডিও প্রবাহ হলো এমন একটি প্রবাহ, যেকোনো গ্যাস বিহীন শূন্যস্থানে আলোর গতিতে চলাচল করতে সক্ষম, এজন্য মহাকাশে স্যাটেলাইট, রকেট, গবেষণা মুলক যন্ত্রে ইলেকট্রিক ভাবে যোগাযোগ করতে ব্যবহৃত হয়।
আশাকরি এই আর্টিক্যালটি আপনাকে মনোমুগ্ধ করেছে, পরবর্তীতে আরও সুন্দর ও বহুল তথ্য সম্বলিত আর্টিকেল নিয়ে হাজির হবো, ধন্যবাদ।

Level 0

আমি মোহাম্মদএনামুল হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস