বিলাস বহুল জীবন যাপনের জন্য অন্যতম একটি অংশ গাড়ি। বিশ্বের নামী দামী ব্রান্ডের গাড়ি গুলো অনেক বিলাশ বহুল হয়ে থাকে। এসব গাড়ির মূল্য ও অনেক হয়ে থাকে।
পৃথিবী জুড়ে এসব বিখ্যাত গাড়ির চাহিদা প্রচুর। শুধুমাএ বিলাশ বহুল জীবনের জন্য নয় এ গাড়ি গুলো ব্যবসা করার জন্য ও অনেকে ক্রয় করে থাকে। এসব গাড়ি এবং গাড়ির কোম্পানি নিয়ে আজ আলোচনা করব।
বিশ্বের অন্যতম ১০ টি বিখ্যাত গাড়ি হলো
রোলস- রয়েস
বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত কোম্পানি হিসাবে রোলস রয়েস একটি ব্রিটিশ গাড়ি নির্মাণকারী কোম্পানি। রোলস রয়েস কোম্পানি ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এদের কার্যক্রম মূলত ১৯০৪ সালে শুরু হয়। রোলস রয়েলস কোম্পানি ১৯৭১ সালে জাতীয়করনের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। কিস্তু ১৯৮৭ সালে রোলস রয়েস আবার প্রাইভেট কোম্পানিতে পরিণত হয়।
বিশ্বে অটো মোবাইল এর বাজার অনেক অনেক প্রতিযোগিতা পূর্ণ হওয়ার কারণে কোম্পানি গুলোকে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক প্রতিযোগিতা করতে হয়। এই সংগ্রামে প্রতিযোগিতায় টিকে না থাকতে পারলে কালের শ্রোতে হারিয়ে যাওয়া লাগে। এই প্রতিযোগিতায় গত একশ বছর ধরে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে রোলস রয়েস। বর্তমানে আভিজাত্য, রুচিশীলতা এবং উৎকর্ষে আদর্শ মাপকাঠিতে অটো মোবাইল শিল্পে রোলস রয়েস কোম্পানিটি শীর্ষে অবস্থান করছে। অসংখ্য বিলিয়নিওর, শিল্পপতী, নামী দামী তারকাদের অন্যতম পছন্দের গাড়ি রোলস রয়েস।
চার্লস রোলস এবং হেনরি রয়েস নামক দুই জন ব্রিটিশ নাগরিকের হাত ধরে রোলস রয়েস কোম্পানির যাএা শুরু হয়। রয়েস লিমিটেড নামে প্রথম কোম্পানির নাম ছিল। এক সময় তারা ভাবতে ভাবতে মোটর গাড়ি নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। চার্লস রোলস এবং হেনরি রয়েস নিরালস পরিশ্রম করে ১৯০৪ সালে প্রথম মোটর গাড়ি তৈরি করে এবং এর সাথে আরো দুটি গাড়ি তৈরি করে এভাবে আস্তে আস্তে রোলস রয়েস কোম্পানির যাএা শুরু হয়।
বর্তমানে রোলস রয়েস এর বিভিন্ন মডেলের গাড়ি বর্তমানে বাজারে রয়েছে। এসব মডেলের অন্যতম হলো সিলভার, ফ্যান্টম, স্পার, রেইদ, ঘোস্ট ইত্যাদি সিরিজের গাড়ি অন্যতম। বর্তমানে এসব মডেলের গাড়ি গুলো বাজারে রাজত্ব করছে।
রোলস রয়েস গাড়ি নির্মাণ শুধুমাএ দক্ষ কর্মীদের দ্বারা করে থাকে। ইন্জিন এসেম্বলের, পেইন্টিং এছাড়া জটির কাজগুলো ও হাতে করা হয়। ক্রেতাদের আকর্ষণীয় এবং সেরা গাড়টি দেওয়া ই রোলস রয়েস এর উদ্দেশ্য। ঠিক যেনো শিল্পীর নিপুণ হাতে আকাঁ শিল্পকর্ম। এজন্য ভোক্তা সন্তুষ্টির দিক থেকে রোলস রয়েস সবার উপরে।
ল্যাম্বরগিনি
ইতালির তৈরি অন্যতম একটি বিলাশ বহুল গাড়ি হলো ল্যাম্বরগিনি। ল্যাম্বরগিনি স্পোর্টাস গাড়ির জগতে অন্যতম একটি আইকনিক নাম। ল্যাম্বরগিনি এমন একটি কার যে হাজারো গাড়ির মধ্যে থেকে ও একে আলাদা করা খুবই সহজ। ল্যাম্বরগিনি যাএা শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত স্টাইলিস ডিজাইনের চােখ ধাঁদানো গাড়ি তৈরি করে আসছে। গাড়ি প্রেমিদের কাছে ল্যাম্বরগিনি জনপ্রিয়তায় স্বকীয় স্থান দখল করে আসছে। ল্যাম্বরগিনির অসাধারণর ণির্মাণ শৈলী এবং দুর্দান্ত গতির কারণে গাড়ির জগতে এটি অতুলনীয়। ল্যাম্বরগিনি গত কয়েক দশক ধরে মনোমুগ্ধকর এবং আইকনিক সব মডেলের সুপার কার বিশ্ব কে উপহার দিয়ে আাসছে। অনেক সুদীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়ে তারা এখন বর্তমানে সুপার কার তৈরি করছে।
একজন ট্যাক্টার মেকানিকালের হাত ধরে পাচঁ দশক আাগে ল্যাম্বগিনির যাএা শুরু হয়ে অনেক চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে এখন ল্যাম্বরগিনি বিশ্বের কার জগতের এক জনপ্রিয় নাম। এই দীর্ঘ পথ চলাকালীন তারা বিশ্বকে নানা মডেলের বহু গাড়ি উপহার দিয়েছে। তাদের সুপারকার গুলো মানুষের হ্রদয় জয় করে নিয়েছে। একে এক খ্যাপাটে ষাড়েঁর বিশ্ব জয়ের জয়ের গল্প বললে ভুল হবে না। ল্যাম্বরগিনি ভবিষাৎতে এভাবে আমাদের দারুণ সব সুপারকার উপহার দিবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
ফেরারি
গাড়ির জগতে এক উজ্জ্বল নাম ফেরারি, ফেরারি গাড়ি প্রেমিদের মনে স্থান করে নিয়েছে। উৎকর্ষ এবং রুচিশীলতার দিক থেকে অপ্রতিদ্বদ্বী এক স্থানে ফেরারি নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ফেরারি গাড়ি ভোক্তা সন্তুষ্টির দিক থেকে তাদের সাফল্য ইর্ষণীয়। প্রতিটি গাড়ির ডিজাইন, গতি এবং বিশুদ্ধতার সমন্বয়ে তৈরি। গাড়ি প্রেমিদের কাছে ফেরারি এক অনন্য ব্রান্ড।
এনজো ফেরারি নামক এক ব্যক্তির হাত ধরে ফেরারি গাড়ির পথ চলা শুরু। প্রথম দিকে ফেরারি শুধু রেসিং কার তৈরি করত। পরবর্তীতে সর্ব সাধারণের জন্য গাড়ি তৈরি করা শুরু করে। ফেরারি পঞ্চশের দশক থেকে খুবই জনপ্রিয়। ফেরারি অসাধারণ সব গাড়ি তৈরি করে ক্রেতাদের চাহিদা পূরন করে আসছে। প্রথম থেকেই ফেরারি বিলাশবহুল এবং অত্যাধুনিক সব গাড়ি তৈরি করে ক্রেতা সন্তুষ্টি করে গেছে। যেসব মডেলের গাড়িগুলো অসাম্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য - জিটিও, ক্যালিফোর্নিয়া স্পাইডার, টেস্টারোসা ইত্যাদি মডেল এর গাড়ি।
ফেরারি প্রতিষ্ঠার পর ক্রেতাদের একের পর এক অসাধারণ মডেলের গাড়ি উপহার দিয়ে আসছে। ফেরারির প্রত্যেকটি গাড়িই এক একটি বিস্মায়।
বুগাটি
স্পোর্টস কার সম্পর্কে যারা মোটামুটি জানে তারা বুগাটি সম্পর্কে ও জানে। গাড়ির দুনিয়ায় ল্যাম্বরগিনি, ফেরারি, মার্সিডিজ এসব বাঘা বাঘা সব গাড়ির মতো বুগাটি ও অন্যতম। বুগাটির প্রত্যেকটি গাড়ি বিলাসিতার চূড়ান্ত উদাহরন। এর সাথে রয়েছে প্রচুর গতি যা বুগাটিকে নিয়ে গেছে অন্যান্য উচ্চতায়।
বুগাটি গাড়ির জনক এওোরে বুগাটি। এওোরে বুগাটি ইতালির মিলান শহরে জন্মগ্রহন করে। বুগাটির এক একটি গাড়ি চোখ ধাধাঁনো যা বুগাটি কোম্পানি এসব গাড়ি উপহার দিয়ে বিশ্ববাসীর মনে স্থান করে নিয়েছে। বুগাটি গাড়ির মূল্যে অনেক হওয়ায় এটি শুধু পৃথিবীর ১ শতাংশ মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারে। ভবিষাৎতে বুগাটি এভাবে আমাদের দারুণ সব সুপারকার উপহার দিবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
মার্সিডিজ বেঞ্জ
জার্মানির তৈরি অন্যতম একটি বিলাশ বহুল গাড়ি হলো মার্সিডিজ বেঞ্জ। মার্সিডিজ কোম্পানি বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি এবং কোচ নির্মাণকারী প্রতিষ্টান। বেঞ্জ পেমেন্ট মোটরওয়াগেন নামের প্রথম পেক্টোল ক্ষমতাসম্পন্ন গাড়ি তৈরি করে মার্সিডিজ বেঞ্জ। মার্সিডিজ মোটর ডাইমলার মোটরেন গেসেলসাফর্ট মডেলের গাড়ি ১৯০১ সালে প্রথম বাজার জাত করে। মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি গুলোয় সংযুক্ত করা হয়েছে উন্নত সব প্রযুক্তি এবংঅনেক নিরাপওা। বর্তমানে মার্সিডিজ বেঞ্জ বিশ্বে সুপরিচিত মোটর গাড়ি ব্রান্ড নামে। বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন মোটরগাড়ি ব্রান্ড হলো মার্সিডিজ বেঞ্জ যা এখনও বিদ্যমান।
মার্সিডিজের উচ্চতর কর্মক্ষমতা, রুচিশীলতা এবং উৎকর্ষের দিক থেকে সারা বিশ্বের অনেক কে আকর্ষণ করেছে।
বি এম ডব্লিঊ
Bayerische Motoren Werke এর সংক্ষিপ্ত রুপ BMW. BMW প্রিমিয়াম অটোমোবাইল এবং মোটর সাইকেলের অন্যতম প্রধান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের যে কয়টি শীর্ষ গাড়ির ব্রান্ড রয়েছে বি এম ডব্লিঊ তাদের মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া প্রিমিয়াম আর্থিক এবং গতিশীলতা পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি হিসেবে বি এম ডব্লিঊ কাজ করে।
বি এম ডব্লিঊ কোম্পানিটি জার্মানির মিউনিখে ১৯১৬ সালে তার সদর দফতরের সূচনা করে এবং এটি বিশ্বের ৩০+ দেশে বিক্রয় নেটওর্য়াক কোম্পানি হিসাবে নিজেকে বিকশিত করেছে।
১, ২০, ০০০ এর বেশি কর্মচারী রয়েছে এবং এর শতকরা ৯০ ভাগ কর্মচারী অটোমোবাইল বিভাগে রয়েছে। বি এম ডব্লিঊ কোম্পানিতে বৈদ্যুতিক যানবাহন, বিকল্প ড্রাইভ, ট্রেন, এরোডাইনামিকস্ এবং লাইটওয়েট ডিজাইনের মডের গুলির মধ্যে অন্যতম।
বি এম ডব্লিঊ গাড়িগুলোর মধ্যে মিনি জন কুপার ওয়ার্কস, খেলাধুলার জন্য রেসিং কার, মোটররাড, মোটর সাইকেল ব্যান্ড এছাড়া রোলস-রয়েস মোটর কার যা খুবই জনপ্রিয় সেগমেন্টের গাড়ি ইত্যাদি ধরনের গাড়িগুলোর প্রস্তুতকারক।
বি এম ডব্লিঊ কোম্পানির বেশির ভাগ মালিকানা Quandt পরিবারের অধীনে। বি এম ডব্লিঊ কোম্পানির মোটর স্পোর্ট এর উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রয়েছে। বি এম ডব্লিঊ কোম্পানির ঐতিহাসিক গাড়িগুলোর মধ্যে ফর্মুলা-১, ট্যুরি কার, স্পোর্টাস কার এবং আইন অফম্যান টেকটিউনস। সাম্প্রতিক সময়ে এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে ফর্মুলা-১ এ ২০টির বেশি বি এম ডব্লিঊ অংশ নিয়েছে। পৃথিবীর ১০ টি র্শীষ গাড়ির ব্রান্ড কোম্পানির মধ্যে সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বি এম ডব্লিঊ।
হুন্ডাই
১৯৬৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্ডাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে হুন্ডাইয়ের সদর দফতর অবস্থিত। হুন্ডাই অটোমোবাইল উৎপাদন, বিতরন, গ্রাহকদের বীমা আকারে আর্থিক পরিষেবা সরবারাহ দিয়ে থাকে।
১৯৯৬ সালে হুন্ডাই ভারতে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ভারতে হুন্ডাই সর্ম্পকে এর আগে অজানা থাকলে ও বর্তমানে ভারতে হুন্ডাইয়ের পাচঁ হাজারের বেশি ডিলারশিপ রয়েছে। বর্তমানে হুন্ডাই ১৯৪ টি দেশে তাদের গাড়ি ব্রিকি করে। Hatchback থেকে Sadonne থেকে SUV পর্যন্ত i 10 সিরিজ, অ্যাকসেন্ট, ইলেন্টা, হুন্ডাই সিবিচ এছাড়া অনেক মডেলের গাড়ি সহ হুন্ডাইয়ে প্রায় প্রত্যেকটি সেগমেন্টে অনেক জনপ্রিয় গাড়ি রয়েছে। ২০১৬ সালের তথ্যনুযায়ী হুন্ডাই পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৬৮৩৮৩ জন মানুষকে নিয়োগ দিয়েছে।
Honda i-series এর মাধ্যমে র্শীষ ১০ টি গাড়ির ব্রান্ডে ২০০৫ সালে হুন্ডাই বিশ্বব্যাপী ব্রান্ডে প্রবেশ করে। ক্রেতা সন্তুষ্টি, গাড়ির লঞ্চ এবং এর স্তায়িত্ব ইত্যাদির জন্য বিশ্বব্যাপী এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।
হোন্ডা মোটর
জাপানি বহুজাতিক মোটরগাড়ি এবং মোটর সাইকেল কোম্পানি হলো হোন্ডা মোটর। হোন্ডা মোটর এর উপস্থিতি সারা বিশ্ব জুড়েই। হোন্ডা কোয়ালিটির মোটর সাইকেল, বিমান, অটো-মোবাইল, পাওয়ার ইকুপমেন্ট ইত্যাদির ব্যবসা করে থাকে। এই কোম্পানিটি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ সহ সাতটি মহাদেশেই তাদের হোন্ডা সরজ্ঞামের ও ব্যবসা করে থাকে।
হোন্ডা মোটর কোম্পানিটি ১৯৪৮ সালে যাএা শুরু করে। জাপানের টোকিওতে হোন্ডা মোটর এর সদর দফতর অবস্তিত। বিশ্বের Fortune কোম্পানি গুলোর মধ্যে Volkswagen Grouph, Toyota, Daimler, General Motoros এবং Fond Motors এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে Honda বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহওম অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি। কোম্পানিটি দ্রুত বিশ্ব ব্রান্ডে পরিণত হয় ১৯৫০ এর দশকে প্রথমে মার্কিন আউটলেট খোলার ফলে হোন্ডা মোটর A Cura মডেল রপ্তানি করছে 1, 00000+ এবং আমদানি করেছে ৮৫, ০০০। ২০১৮ সালে গ্রিন অফ দ্যা ইয়ার হিসেবে হোন্ডা ক্ল্যারিটি সিরিজ যা প্লাগ-ইন হাইব্রিড এবং ইলেকট্রিক এবং হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চালিত গাড়ি গুলো মনোনীত হয়েছে।
টয়োটা মোটরস
বিশ্বে শীর্ষ ব্রান্ড কোম্পানির মধ্যে টয়োটা মোটরস প্রথম স্থানে রয়েছে। বিশ্বের বৃহওম গাড়ি নির্মানকারী কোম্পানি হলো টয়োটা মোটরস লিমিটেড। টয়োটা মোটরস জাপানি বহুজাতিক কোম্পানি, এটির উপস্থিতি সারা বিশ্বে বিদ্যমান।
টয়োটা মোটরস বিশ্বে গাড়ি ব্রিক্রির আয়ের দিক থেকে পঞ্চম বৃহওম যার সদর দফতর জাপানের আইচিতে অবস্তিত। টয়োটা মোটরস কোম্পানি ৫০ টির বেশি বিদেশী উৎপাদন কারখানায় এবং বিশ্বের ৩০ টি রাষ্ট্রে এদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
টয়োটা মোটরস কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৫ বছর হয়েছে তাদের পথচলা। ২০১৭-১৮ অর্থ বছর পর্যন্ত এই কোম্পানিটি বিশ্বব্যাপী ৯ মিলিয়ন যানবাহন ব্রিক্রি করে ২৯০০০+ বিলিয়ন ইয়েন আয় করেছে। টয়োটা মোটরস অ্যাক্টিভ সেফটি, পার্কিং, প্রি-কলিশন সেফটি, প্যাসিভ সেফটি এবং রেসকিউি ইত্যাদির মাধ্যমে ড্রাইভারদের সাহায্য করে।
ফোর্ড মোটর
আমেরিকান বহুজাতিক অটো মোবাইল কোম্পানি ফোর্ড মোটর যা ১৯১৯ সালে ডেলাওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফোর্ড মোটর কোম্পানিটি মিশিগানে একটা ব্যবসা অধিগ্রহনের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়।
ফোর্ড মোটর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২, ০০০০০ কর্মচারী নিয়ে ট্রাক, ফোর্ড গাড়ি, বৈদ্যুতিক যান এছাড়া আরো অনেক কিছু তৈরি করে।
ফোর্ড এবং নিম্কন ব্রান্ডের গাড়ি ফোর্ড মোটর গাড়ি গুলোর মধ্যে অন্যতম। একাধিক সমন্বিত এবং একীভূত যৌথ উদ্যেগ রয়েছে কোম্পানির। ফোর্ডম মোটর এ ফোর্ড এর ২০০৮ সালে ফিরে আসার পরে কোম্পানিটি তাদের ব্যবসা পুনরুজ্জীবিত এবং পুনর্গঠন করে এই সফলতা অর্জন করেছে। সবচেয়ে বেশি গাড়ি আমিরিকাতে ব্রিকি করার গৌরব অর্জন করেছে। ফোর্ড মোটর কোম্পানিটি একাধিক মডেলের গাড়ি গত বছর বের করেছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:-Ecosport, ফোকাস ইলেকট্রিক এবং F-150 ইত্যাদি অন্যতম। ফোর্ড মোটর বিশ্বে ৪র্থ স্থান দখল করে আছে।
পরিশেষে,
উপরে উল্লেখিত বর্ণনায় বিশ্বের সেরা ১০ টি গাড়ির ব্রান্ডের আলোচনা করা হয়েছে। এই লেখা গুলো পড়ে আপনারা গাড়ির সর্ম্পকে অনেক তথ্য জানতে পারবেন যার ফলে অপনাদের গাড়ির বিষয়ে আরো জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। উপরের লেখায় আমরা চেষ্টা করেছি গাড়ি সর্ম্পকে কিছু মূল্যবান তথ্য দিতে। আশাকরি আপনারা লেখাগুলো পড়ে উপকৃত হবেন।
আমি বাংলা টেক নিউজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।