এইচ এস সি আইসিটি : এনকোডার ও ডিকোডার

কম্বিন্যাশন্যাল লজিক সার্কিট(COMBINATIONAL LOGIC CIRCUIT)
যে সমস্ত লজিক সার্কিট -এ কোন Memory থাকে না এবং আউটপুট কেবল ইনপুট এর উপর নির্ভর করে, তাকে কম্বিন্যাশন্যাল লজিক সার্কিট বলে। উদাহারনস্বরুপ- অ্যাডার (Adder) এনকোডার(Encoder), ডিকোডার(Decoder)

এনকোডার: এনকোডার এক ধরনের ডিজিটাল বর্তনী যার সাহায্যে মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়।

এনকোডারের বৈশিষ্ট্য:

  • 2n টি ইনপুট থেকে n টি আউটপুট লাইন পাওয়া যায়।
  • যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র ইনপুট ১ এবং বাকি সব ইনপুট ০ থাকে।
  • এনকোডার সাধারণত ইনপুট ডিভাইস অর্থাৎ কী-বোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

এনকোডারের ব্যবহার:

১। এনকোডার আলফানিউমেরিক কোডকে ASCII ও EBCDIC কোডে রূপান্তর করে।
২। দশমিক সংখ্যাকে বিভিন্ন কোডে রূপান্তর করে।
৩। এনকোডারের সাহায্যে দশমিক সংখ্যাকে সমতুল্য বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করে।

ডিকোডারঃ
 ডিকোডার হলো এমন একটি সমবায় সার্কিট যার সাহায্যে কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় রূপান্তরিত করা হয়।

এনকোডারের বৈশিষ্ট্য:

  • n টি ইনপুট থেকে সর্বাধিক 2n টি আউটপুট লাইন পাওয়া যায়।
  • যে কোনো একটি আউটপুট লাইনের মান ১ হলে বাকি সবকটি আউটপুট লাইনের মান ০ হবে।
  • কখন কোনো আউটপুট লাইনের মান ১ হবে তা নির্ভর করে ইনপুটগুলোর মানের উপর।

ডিকোডারের ব্যবহার:
১। কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে।
২। জটিল কোডকে সহজ কোডে রূপান্তর করে।
৩। ডিকোডার ব্যবহৃত হয় ডিসপ্লে ইউনিটে।
৪। ডিকোডারের সাহায্যে বাইনারি সংখ্যাকে সমতুল্য দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করা হয়।

Level 0

আমি নাজিম রাইয়ান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস