এবার বিদ্যুৎ উৎপাদনে মরুর বুকে আয়না

মরুর বুকে শুরু হতে চলেছে বিশাল কর্মযজ্ঞ৷ ৪০০ বিলিয়ন ইউরো খরচ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে সেখান থেকে৷ মরুভূমি আর আয়না -- এর সঙ্গে কি বিদ্যুতের কোনো যোগসূত্র খুঁজে পান? এতদিন কেউ হয়তো খোঁজেননি, তাই পানওনি৷

তবে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি মরুভূমিতেই খুঁজে পেয়েছেন বিদ্যুতের সবচেয়ে বড় আধার৷ আর সেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে খুব কাজে আসবে আয়না৷

গবেষণা করে দেখা গেছে, মানবজাতি প্রতি বছরে যে পরিমাণ শক্তিক্ষয় করে, পৃথিবীর মরু অঞ্চল মাত্র ৬ ঘন্টায় আহরণ করে তার চেয়েও বেশি শক্তি৷ এমন তথ্য জানার পরও ওই শক্তিকে কাজে লাগানোর কথা না ভেবে পৃথিবী বসে থাকবে, তা কি হয়? ডেজারটেক ইন্ডাস্ট্রিয়েল ইনিশিয়েটিভ, ডিআইআই নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে নেমে পড়েছে কাজে৷ তাদের লক্ষ্য, মরু অঞ্চলের প্রখর সূর্য্যতাপকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা৷ কী পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, সেই বিদ্যুৎ কোন দেশ কতটুকু ব্যবহার করতে পারবে -- এসবের মোটামুটি একটা হিসেব দাঁড় করানো হয়েছে৷ দেখা গেছে, এই প্রকল্প চালু হলে ইউরোপের মোট চাহিদার শতকরা ১৫ ভাগ বিদ্যুৎ সেখান থেকেই পাওয়া সম্ভব৷ সিমেন্স, ডয়েচ ব্যাঙ্কসহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান, যার অধিকাংশই জার্মান, তাদের নিয়ে গড়া ডেজারটেক হিসেব কষে দেখেছে, এই প্রকল্প শুরু করতেই খরচ হয়ে যাবে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ইউরো৷ পুরো প্রকল্পের অনুমিত খরচের তুলনায় ১০ বিলিয়ন ইউরো অবশ্য খুবই কম৷ ধারণা করা হচ্ছে, প্রকল্পটি শেষ করতে ৪০০ বিলিয়ন ইউরোর মতো খরচ হয়ে যাবে৷ মরুভূমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে সোলার থারমাল ইলেকট্রিক্যাল জেনারেশন, সংক্ষেপে এসটিইজি পদ্ধতিতে৷ বড় বড় আয়নায় সূর্যালোক ঠিকরে পড়বে, সেই আলো এবং তাপকে কাজে লাগিয়ে তরল-ভর্তি কিছু টিউব উত্তপ্ত করা হবে, এভাবে তৈরি হবে বাষ্প আর সেই বাষ্প থেকেই বিদ্যুৎ৷

ডেজারটেক কাজ শুরু করবে সাহারা মরুভূমিতে৷ ৯১ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই মরুভূমির আশপাশের দেশগুলো প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়েছে৷ স্বাগত না জানানোর তো তেমন কোনো কারণও নেই, ৪০০ বিলিয়ন ইউরোর কাজ হলে কত লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে তা একবার ভেবে দেখেছেন? শুধু জার্মানি থেকেই কাজ পাবেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ৷সঙ্গে সাহারার আশপাশের দেশগুলোর অনেকেই যে এই কর্মযজ্ঞে শরিক হবেন তাতে আর সন্দেহ কি! ডেজারটেকের কাজ শুরু হতে বেশি বাকি নেই, তবে শেষ হতে অনেক বাকি৷ ৪০০ বিলিয়ন ইউরোর এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ২০৫০ সালে৷

লেখাটি ডাচ ওয়েব হতে নেয়া।

Level 0

আমি বিল্লাহ মামুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 142 টি টিউন ও 1447 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

করি মায়ের ভাষায় চিৎকার........ http://bloggermamun.com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level New

দারুন তো। এত খবর কোথাই পান????

প্রজেক্টটা একটা কঠিন বৃত্ত:) ঘুরতে হবে আপনার মতো এর মধ্যে পড়লে8)

প্রজেক্টটা একটা কঠিন বৃত্ত 🙂 ঘুরতে হবে আপনার মতো এর মধ্যে পড়লে 8)

Level 0

আমি অবশ্য অনেক আগেই ন্যাশনাল জিওগ্রফি চেনেলে এর একটি বিস্তারিত প্রোগ্রাম দেখেছি । অনুষ্ঠানটা জটিল ছিল। আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছিল।

শাকিল ভাই আপনার কথা বুঝেনি ।

শাকিল ভাই আপনার কথা বুঝেনি
প্রজেক্টটা একটা কঠিন বৃত্ত 🙂 ঘুরতে হবে আপনার মতো এর মধ্যে পড়লে 8) এর মনে কি???

আরে মামুন আমি আমি মজা করেছি মাত্র আপনার প্রোফাইলে দেখে

ও বুঝছি শাকিল ভাই ।আসলেই শাকিল ভাই ঘুরতেছি

দূষণ মুক্ত পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ভাল উপায়। জার্মানি এ বিষয়ে সবচেয়ে এগিয়ে। এ সুন্দর তথ্য দেয়ার জন্য মামুন ভাইকে ধন্যবাদ……