আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে জুলাই,১৯৬৯ এ যখন নীল আর্মস্ট্রং সর্বপ্রথম পা রেখেছিলেন চাদের বুকে তখন তা ছিল এক অবিশ্বাস্য অভিযান।মানুষের বিশ্ব জয়ের পর মহাবিশ্ব জয় করার এক প্রথম আধ্যয় ছিল এটি।Apollo-11 এর সাফল্যর কথা আজ আর কারও অজানা নয়।কিন্তু এই অভিযানের সত্যতা নিয়ে আজও অনেক বিতর্ক রয়েছে।আসলেই কি তারা চাদের বুকে পা রাখতে পেরেছিলেন,নাকি এক মিথ্য ইতিহাসের জন্ম দেয়া হয়েছে।
হ্যা,আমার আজকের টিউনের যে বিষয় তা হলো NASA পরিচালিত Apollo 11 এর অভিযানের সত্যতা নিয়ে।আসলে এ সম্পর্কে অনেক বিষেসজ্ঞ গবেষনা করেছেন।আজ আমি তার কিছু নমুনা প্রকাশ করছি।
বিষেসজ্ঞদের মতে এটা সম্পুর্ন একটা মিথ্যা অভিযান ছিল।তাদের মতে এটি চাদের বুকে নয় পৃথিবির বুকে অভিযান হয়েছিল।এটা সম্পুর্ন কৃত্রিম ভাবে তৈরি একটা জিনিস যা আমরা NASA থেকে প্রাপ্ত চাদের বুকে মানুষের অভিযান সম্পর্কিত ভিডিওতে দেখি।যারা এটি তৈরির পেছনে কাজ করেছে তারা অনেক গুলো বৈজ্ঞানিক ভুল করে ফেলেছ।
প্রথম ভুলঃ নিচের ছবিটি দেখুন।এটি চাদের লুনার সরফেস থেকে তোলা যেখানে US এর পতাকা স্থাপন করা হচ্ছে(NASA এর মতে)।এবার ভালো করে লক্ষ্য করুন,দেখবেন পতাকাটিকে উরতে দেখা যাবে।কিন্তু আশ্চর্য কথাটি হচ্ছে চাদের লুনার সারফেস একটি বায়ুশুন্য স্থান।একটি বায়ুশুন্য স্থানে কিভাবে পতাকাটি উরবে?এর ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
দ্বিতীয় ভুলঃ আমরা NASA থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানি যে চাদের বুকে মাত্র দু’জন পদচারন করেছিল।এরা হলেন নীল আর্মস্ট্রং এবং এডইন অলড্রিন।এবার নিচের ছবিটি একটু দেখুন।এর মাস্কের গ্লাসে আমরা একটু দূরে অলড্রিন কে দেখতে পাব।তাহলে এই ছবি কে তুললো?এবার আরো ভালো করে খেয়াল করুন,দেখবেন একজন মানুষের ছায়া যে কিনা কোন স্পেস সুট পরেনি।কে এই তৃতিয় ব্যক্তি?আর চাদের বুকে কোন স্পেস সুট ছাড়া সে কিভাবে আছে?এটা অনেক বড় প্রশ্ন!
তৃতীয় ভুলঃ চন্দ্রপৃস্ট সম্মপর্কে একজন বিষেশজ্ঞ মতে বলা হয়েছে যে, এর পৃস্ট মাইক্রোস্কোপের সাহায্য দেখলে একে আগ্নেয়গিরি থেকে প্রাপ্ত ছাই এর মত লাগবে।তাই এতে কোন কিছুর চাপ পরলে খুব সহজে তার ছাপ পরে এবং বহুদিন তা থেকে যায়।কারন চাদে কোন বায়ু নেই।চাদে নভোচারির পায়ের ছাপ খুব সহযে পরার কথা।কিন্তু দেখা যায় বাস্তবে NASA প্রাপ্ত ছবিতে তা হয়নি।এটি অনেকটা আর্দ্র বালি যুক্ত স্থানের ছবি।
চতুর্থ ভুলঃ আমরা যদি ভালো করে চাদে প্রথম বিচরনটি ভালো ভাবে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাব সেখানে কয়েকটি ছায়া দেখতে পাব।যা একদিকের প্রাপ্ত নয়।কয়েক দিক থেকে প্রাপ্ত আলোক উৎসের ছায়া।কিন্তু এটি সম্ভব নয়।কারন চাদের একটি আলোক উতস,আর তা সুর্য।তাই ছায়া গুলো এক দিক থেকে প্রাপ্ত হবে।
এরকম আরো অনেক প্রমান পাওয়া গেছে চাদের এই মিথ্য অভিযান সম্পর্কে।বলা হচ্ছে কোন মরুভুমিতে খুব গোপনে করা হয়েছে এর কাজ।বলা হয়েছে,পৃথিবি থেকে উতক্ষেপন করা Apollo 11 পৃথিবির বাইরে মহাকাশে রেখে দেয়া হয়েছিল গোপনে।তবে সত্য একদিন বের হয়ে আসবেই।
আপনি যদি এর ইংরেজি আর্টিকেল দেখতেচান বা বিস্তারিত যানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন।
আর ভিডিও দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
এই টিউন সম্পর্কে আপনার মন্তব্য আসা করছি।
আমি rahat। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 48 টি টিউন ও 126 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
ভালো কিছু দিতে চাই সব সময়।
প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই বিষয়ে পোস্ট করার জন্য। যদিও বিষয় টা বিগত কয়েক বছর ধরে শুনে আসছি যে এটি অনেক বিতর্কিত হয়েছে।তারপরো ছোট বেলায় বাংলা বই তে পড়েছি চাঁদের বুকে প্রথম পদচারন এবং NASA পরিচালিত Apollo 11 সম্পর্কে (কোন ক্লাস এর পাঠ্য বই ঠিক মনে পড়ছে না ছষ্ঠ শ্রেনী তে হবে হয় তো )ক্লাস টেন এ ও এই বিষয়ে কম্প্রেনশন পড়েছিলাম। তখন কি তা হলে মিথ্যা পড়েছিলাম নাকি?… তবে এখানে প্রমান তো দেখতেই পাচ্ছি… তাই আর এই বাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না।
“!!আসলে চোর যখন কোন কিছু চুরি করে তার প্রমান সে রেখে যাবেই :)!(হা হা হা হাঃ-)) !” আরও আছে সত্য কখনো চাপা থাকে না। সুতরাং দেখা যাক শেষ মেশ কি হয়।