ছাত্র জীবন হল পড়াশোনা করার সময়। কিন্তু পড়াশোনা করতে করতে নিজের হাত খরচটা নিজে নিজে ইনকাম করে নিলে এর থেকে ভালো কিছু আর হতে পারে না। ইন্টারনেটে এই ছাত্রদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঠকিয়ে নেওয়ার প্রবণতা কম নয়।
ইল্লিগাল মানি মেকিং ওয়েবসাইট থেকে শুরু করে ফেক অ্যাপ্লিকেশনের ছড়াছড়ি। আজকের এই আর্টিকেলে আপনাকে একটা জেনুইন পদ্ধতি সম্পর্কে বলব যে পদ্ধতির সাহায্যে আপনি আপনার স্মার্টফোন ব্যবহার করেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন? সত্যি কথা বলতে তার কোন ঠিক ঠিকানা থাকবে না। তবে তার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি আপনাকে মেনে চলতে হবে। কমপ্লিট গাইড রয়েছে এই আর্টিকেলে। ভালো করে পড়ে নিন। আর জেনে নিন।
ভালো করে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন কোন সমস্যা হলে টিউমেন্ট করুন। আর তাছাড়াও আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন আরো ডিটেইলসে তথ্য পেতে। টাকা ইনকামের ছাড়াও আরও অনেক ব্যাপারে আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
ছাত্রদের জন্য স্মার্টফোন থেকেই বেস্ট টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি কোনটা?
স্টুডেন্ট অবস্থায় ছাত্রদের জন্য টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি ছড়াছড়ি। কিন্তু তার জন্য আবার ভালো কম্পিউটার সেটআপ থাকতে হয় বাড়িতে। অথবা নিদেনপক্ষে একটা ল্যাপটপও থাকতে হয় সাথে। যদি বাড়িতে ডেক্সটপ বা ল্যাপটপ ছাড়াই আপনি আপনার স্মার্টফোন থেকেই টাকা ইনকাম করতে চান। সেটার জন্য দারুন একটা পদ্ধতির ব্যাপারে আপনাকে বলব।
তবে এই পদ্ধতি একদম জেনুইন পদ্ধতি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই পদ্ধতিতে এবং আমার বলা এই পদ্ধতি মেনে চলে আমার চেনাজানা অনেকে মাসে 25 থেকে 30 হাজার টাকা করে ইনকাম করছেন।
স্মার্টফোন থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা পদ্ধতি কোনটি?
যে পদ্ধতির ব্যাপারে আপনাকে বলতে চাইছি তা হল আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম। তবে এই পদ্ধতি সম্পর্কে জেনেই হতাশ হয়ে যাবেন না। প্রথমে ভাল করে জেনে নিন ব্যাপারটা। আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকামের কথা বলতে গেলে সর্বপ্রথম আপনার মাথায় আসবে হয়তো সেই ব্লগ তৈরি করতে বলছি। অথবা এমন কিছু করতে বলছি আপনাকে যা আদতে ইলিগ্যাল।
তবে তেমন কিছুই নয়। আপনি যদি পড়াশোনায় ভালো হয়ে থাকেন, বিশেষ করে লেখার প্রতি আপনার যদি আগ্রহ থাকে। তাহলে প্রত্যেক মাসের 25 থেকে 30 হাজার টাকা আপনি ঘরে বসে আপনার স্মার্টফোনের সাহায্যেই ইনকাম করতে পারবেন।
তারই সাথে বড় বড় সংস্থার সাথে কাজ করতে পারবেন আপনি। তার জন্য পাওয়া যাবে সম্মান। আপনার স্টুডেন্ট অবস্থায় পকেটমানির চাহিদা তো মিটবেই।
কি এই কাজটি?
বর্তমান সময়ে একটু ভাল করে খেয়াল করে দেখুন। প্রত্যেকটা বাংলা নিউজপেপার থেকে শুরু করে অনলাইন পোর্টাল গুলোতে নিউজ পাবলিশ করা হয়। সেই নিউজ এর মধ্যে গুছিয়ে ভালোভাবে বর্ণনা করে থাকে কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনা। বাংলা টেক নিউজ এর জন্য ওয়েবসাইট সংখ্যাও কম নয়। সেখানে নানান স্মার্টফোনের লঞ্চ থেকে শুরু করে কোন স্মার্টফোনে কেমন ফিচার সেই সমস্ত বিষয়ে বলা হয়। বলা হয় নানান অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কেও।
এছাড়াও অন্যান্য যে সমস্ত নিউজ পেপারের ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেগুলোতে দৈনন্দিন জীবনের নানান খবর পাবলিশ করা হয়। যেগুলো লক্ষ লক্ষ ইউজাররা পড়ে থাকেন। এই কনটেন্ট তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হয় অনেক কনটেন্ট রাইটারের।
আপনাকে এই কনটেন্ট রাইটার হিসাবে টাকা ইনকামের জার্নি শুরু করতে বলছি আমি। শুধুমাত্র বলছি নয়। বড় ভাই হিসেবে আমি আপনাকে উপদেশ দিচ্ছি। আজ থেকেই আপনি কনটেন্ট রাইটার হওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি শুরু করে দিন।
কিভাবে শুরু করবেন?
সর্বপ্রথম আপনাকে বলি কিভাবে শুরু করবেন। এটা করার জন্য প্রথমেই আপনার একটা পোর্টফোলিও তৈরি করে ফেলুন। যেকোনো একটা নিউজ আপনি নিজের ভাষায় সঠিক ভাবে গুছিয়ে লিখুন। কোনরকম কপি পেস্ট জব যেন না হয় সেটা। তারপর প্রাথমিকভাবে নিজের একটা বিনামূল্যে ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে ফেলতে পারেন। বিনামূল্যে ব্লগারে ওয়েবসাইট খোলা খুবই সহজ।
সেই ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন আপনার লেখা। ধীরে ধীরে এই ধরনের বেশকিছু নিউজ কন্টেন্ট আপনি পাবলিশ করতে থাকুন। কন্টেন্ট যে শুধুমাত্র নিউজ রিলেটেড হতে হবে এমনটা নয়। আপনি যে বিষয় ভালোবাসেন সেই বিষয়ে লিখুন। আপনার লেখার মধ্যে বেস্ট কনটেন্ট আপনি সিলেক্ট করুন।
প্রয়োজনে আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাহায্য নিন। তাদেরকে বেছে দিতে বলুন আপনার লেখার মধ্যে থেকে বেস্ট কোন গুলো লেগেছে তাদের। সেইগুলোকে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে পাবলিশ করুন।
উদ্দেশ্য একটাই আপনার ভালো একটা পোর্টফোলিও করে তোলা। যেকোনো সংস্থাই যখন আপনি কাজের জন্য এপ্লাই করবেন, তখন তারা প্রথমেই আপনার পোর্টফোলিও দেখতে চাইবে। বা কাজের স্যাম্পেল দেখতে চাইবে। আপনি তখন আপনার এই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক তাদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
তারপরে বিভিন্ন রকম ওয়েব পাবলিকেশন গুলোর সাথে যোগাযোগ করতে থাকুন। তাদেরকে মেইল করুন। প্রয়োজন পড়লে ফোন করুন। তাদের কাছ থেকে জানুন কনটেন্ট রাইটার এর প্রয়োজন আছে কিনা। সেটা বিনয়ীভাবে জিজ্ঞাসা করুন। তখনই প্রয়োজন না থাকলে আপনার পোর্টফোলিওর লিঙ্ক সমেত আপনার Bio-Data পাঠিয়ে রাখুন।
কনফিডেন্টলি আপনাকে একটা সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করুন। আপনি যদি কনফিডেন্ট থাকেন এবং এমন যদি একটা সুযোগ পেয়ে যান তাহলে আর কোন চিন্তা থাকবে না আপনার। ধীরে ধীরে আপনার পোর্টফোলিও ইনক্রিজ হতে থাকবে। সেখান থেকে প্রথম দিকে কুড়ি পঁচিশ হাজার টাকা ইনকাম না হলেও সময়ের সাথে সাথে আপনি শুধুমাত্র কুড়ি পঁচিশ হাজার টাকা কেন প্রতিমাসে তার থেকেও বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার মনে প্রশ্ন আসবে স্মার্টফোন থেকেই এই লেখা কি সম্ভব?
অবশ্যই সম্ভব। স্মার্টফোন ছাড়াও ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকলে তো বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবেই। তবে শুধু স্মার্টফোন থেকেই Google Indic Keyboard ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি বাংলা লিখতে পারবেন। এমনকি মুখের কথা বললেই খুব সহজেই বাংলায় লেখা হয়ে যাবে। এমন সুবিধাও সেই কিবোর্ড এর মধ্যে রয়েছে।
প্রয়োজন পড়লে সেই ফিচার ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই খুব অল্প সময়ের মধ্যে লেখা কমপ্লিট করে ফেলতে পারবেন। সেগুলোতে পরবর্তীকালে যে কোন এডিটরের ফেলে এডিট করে নিতে পারবেন। শুধু আপনার স্মার্টফোন থেকেই এটা করে ফেলা সম্ভব। অসম্ভব একদমই নয়।
তাই আজ থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিন লেখার। পরবর্তীকালে আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) শিখে ফেলেন তাহলে আপনার ইনকাম এর পরিমাণ আরো বেড়ে যাবে। এই ইনকাম সম্পূর্ণভাবে জেনুইন ইনকাম হবে এবং কোন রকম ইল্লিগ্যাল' কাজকর্মে যুক্ত থাকতে হবে না।
পরবর্তীকালে আপনার পোর্টফোলিও যত সমৃদ্ধ হতে থাকবে তত আপনি বড় বড় পাবলিকেশন এর সাথে যুক্ত হতে পারবেন। এমনকি বড় নিউজ প্ল্যাটফর্ম এর সাথে যুক্ত হয়ে যাবেন আপনি। তার জন্য অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল আমার তরফ থেকে।
এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করতে ভুলবেন না। আর টাকা ইনকামের বিষয়ে এইরকমই ইউনিক, সঠিক এবং শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে অবশ্যই সাথে থাকুন।
আমি শ্রেষ্ঠ সায়ন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।