সাধারণতই আমরা জানি বা দেখি যে, সাগরের ঢেউ বড় ভয়ঙ্কর, উত্তাল ঢেউগুলো যেন এখনই কোনকিছুকে গ্রাস করে নিয়ে যাবে। এইতো মাত্র কয়েকদিন আগেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সাতার কাটতে গিয়ে প্রাণ হারালো এক যুবক৷ তবে সমুদ্রের ভয়ঙ্গকরতার মধ্যেই রয়েছে এক সৌন্দর্য। তাই সমুদ্র দেখতে, ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর সেই গর্জন শুনতে সমুদ্রপাড়ে মানুষের ভিড় পড়ে যায়৷ তবে বৈচিত্রময় এই পৃথিবীতে কতইনা আশ্চর্যের বিষয় রয়েছে, পৃথিবীতে এমন সাগরও রয়েছে, যে সাগরে মানুষ ডোবে যায় না। আশ্চর্যজনক এই সাগরের নামটি আমরা অনেকেই হয়ত জানি বা অনেকে নাও জেনে থাকতে পারেন। এই সাগরটির নাম 'ডেড সি' বা মৃতসাগর। এটি ইজরায়েল ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। এই সাগরের সৃষ্টির একটি সুনির্দিষ্ট ইতিহাস রয়েছে। তবে এখন সেই আলোচনায় দিকে আমরা যাব না। এখানে 'ডেড সি' বা মৃতসাগরে কেন মানুষ ডুবেনা সেটার ব্যাপারেই আলোচনা করব। সাধারণত অন্যান্য সাগরে নামতে মানুষ ভয় পায়, যারা সাতার জানেনা তারাতো সমুদ্রে নামার কথা চিন্তাই করতে পারে না৷ যদিও বা একান্তই সমুদ্রে নামার ইচ্ছা হয়ে থাকে তাহলে লাইফ জ্যাকেট বা এমন কোন সরঞ্জাম নিয়ে নামতে হয় যা ব্যক্তিকে সাগরের পানিতে ভেসে থাকতে সাহায্য করবে। কিন্তু এই ডেড সি বা মৃতসাগরের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। সাতার জানুক আর না জানুক পর্যটকদের এখানে ভয়ের কিছু নেই৷ অনায়াসেই নেমে যেতে পারেন এই ডেড সি বা মৃতসাগরে। এমনকি এই সাগরকে একজন পর্যটক অনায়াসেই একটি 'পানির বিছানা' রূপে ব্যবহার করতে পারবেন৷ এই সাগরে যে কেউ সটান শুয়ে থাকতে পারেন নির্ভয়ে; ডুবে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা এখানে নেই। এমনকি সাহিত্য কিংবা বই প্রেমীরা শুয়ে শুয়ে হাতে একটি উপন্যাস নিয়েও পড়তে পারবেন এবং একই সঙ্গে পানিতে রৌদ্রস্মান করার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
কিন্তু এই ডুবে না যাওয়ার পেছনে রহস্যটা কি? আসুন তাহলে এখন সেটা আলোচনা করা যাক— রহস্যটি হচ্ছে, ডেড সি বা মৃতসাগরের পানিতে লবণের অনুপাত অত্যান্ত বেশি বলে এ সাগরের পানির ঘনত্বও অনেক বেশি। এছাড়াও ওই এলাকার আবহাওয়া রুক্ষ এবং বৃষ্টিপাত কম৷ যার ফলে সাগরের পানি দ্রুত ও অধিক হারে বাস্পীভূত হয়ে থাকে৷ কিন্তু সাগরের পানিতে দ্রবীভূত লবণ থেকে যায়৷ এভাবে ডেড সির পানির লবণাক্ততা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে এসেছে৷ সাধারণ ক্ষেত্রে সাগরের দ্রবীভূত লবণের অংশ ওজনের হিসাবে শতকরা দুই-তিন ভাগের বেশি হয় না৷ কিন্তু ডেড সি'তে দ্রবীভূত লবণের হার শতকরা প্রায় ২৭ ভাগ। এই সাগরের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দ্রবীভূত লবণ। অনুমান করা হয় যে, এ সাগরে প্রায় চার কোটি টন দ্রবীভূত লবণ রয়েছে। এই মাত্রাতিরিক্র লবণাক্ততার জন্য ডেড সি'র পানি এত ঘন যে, তা মানুষের ওজনের চেয়ে ভারী। এই সাগরে মানুষের শরীরের সমান আয়তনের অতিমাত্রায় লবণাক্ত পানির ওজন শরীরের ওজনের চেয়ে বেশি। ফলে লবণাক্ত পানির পেলবতা মানুষকে ডুবতে দেয় না বরং ভাসিয়ে রাখে৷
আমি নূরুদ্দীন শহীদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
আপনার টিউনটি, লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং করা হয়নি। ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী এধরনের প্রকাশিত টিউন, লিস্ট বেইসড টিউন বা ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং করতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনকে কন্টেন্ট রাইটিং এর ভাষায় ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) বলা হয়। লিস্ট বেইসড, ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং এর টিউন এর উদাহরণ হিসেবে টিউন ১ ও টিউন ২ লক্ষ করুন।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১,টিউন ২, টিউন ৩ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
আপনার টিউনটি লিস্ট বেইসড টিউন ফরমেটিং এ ফরমেট করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।