আস্সালামু আলাইকুম, টি.টি এর এর সকল বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভাল আছেন| আমরা প্রতিদিন নানারকম শাক-সবজি, ফল-মূল খাই এবং বিভিন্ন রকমের মসলা ব্যবহার করি | আমরা হয়তো অনেকেই না জেনেই ঔ সব ব্যবহার করছি বা খাচ্ছি তাই না? আমরা হয়তো অনেকেই জানি না আমাদের নানারকম সমস্যার ভেষজ সমাধান ঐ সকল জিনিস থেকেই পাওয়া সম্ভব যা আমাদের আস্তে আস্তে এলোপ্যথিক ঔষধ ব্যবহারের মাত্রা কমাবে|তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক -
নামঃ Mangifera indica Linn.পরিবারঃ Anacardiaceaeইংরেজি নামঃ Mango Tree
আম গাছের পরিচিতি – Identity of Mango Tree
Mango tree/আম গাছ ও ফল সকলের নিকট পরিচিত। বাংলাদেশে এটিকে ফলের রাজা বলা হয়। আবার কেউ কেউ অমৃত ফল বলে থাকে। চিরসবুজ ও দীর্ঘস্থায়ী এ গাছটি মাঝারি থেকে বড় হয়ে থাকে। কাণ্ড সরল, মোটা ও উন্নত এবং বহু শাকাবিশিষ্ট এবং শাখা- প্রশাখা অসংখ্য পত্রবিন্যাসে বিন্যস্ত। পাতা ঘন সবুজ হরেও কচি পাতা কোমল ও তাম্রবর্ণ। পুষ্পমঞ্জরী বৃহৎ পেনিকল। ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল হয় এবং মে-জুন থেকে আম পাকে। আম মাংসল ও ড্রুপ শ্রেণীর ফল। মৌসুমের আগে এবং মৌসুমের পরেও কিছু আম পাওয়া যায়। বীজ থেকে হওয়া নামহীন প্রায় সব জাতই আগাম, উন্নতমানের, ওয সকল আম আগাম পাওয়া যায় তার মথ্যে রয়েছে গোপালভোগ, খিরসাপাতি ও হিমসাগর। ভরা মৌসুমে পাওয়া যায় ল্যাংড়া, খিরসাপতি, মোহনভোগ, মিশ্রিভোগ এবং নাবি জাতের মধ্যে ফজলি ও আশ্বিনী উল্লেখযোগ্য। আম আয়তন, আকৃতি, রঙ ও স্বাদে বৈচিত্র্যপূর্ণ। কোনোটি ছোট, কোনোটি বড়, কোনোটি আবার বাংলার পাঁচের মতো। রঙ ও স্বাদের মধ্যে রয়েছে সবুজ, ঈষৎ হলদে, সিঁদুরে, টক, মিষ্টি, অতিমিষ্টি, আশযুক্ত, আঁশহীন, তীব্রগন্ধী, মধুগন্ধী ইত্যাদি।
আম গাছের বিস্তার – Extension of Mango Tree
বিজ্ঞানদের মতে উন্নতজাতের আমের আদি নিবাস ও স্থান হচ্ছে আসাম ও বার্মার মধ্যবর্তী এলাকা। বর্তমানে ভারত ও বাংশে উন্নত জাতের আম চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর রাজশাহী, দিনাজপুর এবং কুষ্টিয়া ও যশোরে উৎকৃষ্ট জাতের আম সর্বধিক পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা প্রায় ২৫০০ জাতের আম তালিকাভুক্ত করেছেন। তবে তালিকাভুক্ত নয় এরকম জাতের সংখ্যাও ৭-৮ হাজার।
ব্যবহারঃ
১। দাঁতের সমস্যা দূর করতে
দাঁতের সমস্যায় আম গাছের পাতা, সম্ভব হলে কচি পাতা চিবিয়ে তা দিয়ে দাঁত মাজলে অকালে পড়া বা নড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
২। শরীরের জ্বারা ও বমি বমি ভাব দূর করতে
শরীরের জ্বালা ও বমি বমি ভাব সরাতে ৩/৪টি আমপাতা পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানিটা সারা দিন অল্প অল্প করে খেতে হবে। এতে জ্বালা কমবে এবং বমি বমি ভাবটাও থাকবে না। কচি আমপাতা ও জামপাতার রস ২/৩ চা চামচ একটু গরম করে খেলে আমাশয় সেরে যায়।
৩। আমাশয় দূর করতে আম পাতার ব্যবহার
আমাশয় আবহেলায় রক্ত আমাশয়ে রৃপ নিতে কতক্ষণ! আমগাছের চারের শুকনো স্তর ফেলে বাকিটার রস ১/২ চা চামচ পরিমাণ ১২০ মি.লি. দুধে মিশিয়ে খেলে রক্ত আমাশয় সেরে যাবে।
আরও পড়ুন :জবার উপকারিতা – Benefits of china rose
৪। পাতলা পায়খানা সারাতে
অতিসারের কথা এ সাইটে অনেক টিউনে উল্লেখ করা হয়েছে। অতিসারে সবেগে ও সশব্দে দাস্ত হয়, পেটে গুড়গুড় করে ও বেদনা থাকে; অনেক ক্ষেত্রে দাস্তের রং সবুজ হতে পারে। এরুপ হলে আমগাছের ছাল (শুকনা স্তর বাদ) দই মিশিয়ে বেটে খেলে পাতলা দাস্ত বন্ধ হবে এবং ব্যথা-বেদনার উপশম হবে।
৫। পেটের অজীর্ণ সারাতে
মাছ ও মাংসজনিত অজীর্ণে আমের আঁটির শাঁস খেতে হবে। এতে পেটের অজীর্ণ দূর হবে
আরও পড়ুন : ঘোড়া নিমের উপকারিতা – Benefits of bead tree
৬। পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করতে
তবকের সমস্যার কারণে শীতে অনেকেরই পায়ের গোড়ালি ফাটে যা অনেক সময়ই লজ্জা ও বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে তাদেরকে। এ ক্ষেত্রে ছালের আঠা গোড়ালির ফাটায় ব্যবহার করলে ফাটা সেরে যায়। আম গাছের ছারে যে ট্যানিন থাকে, সেটিই এ ভূমিকা পালন করে।
৭। নখের কুনি ওঠা সমস্যা দূর করতে
নখের কুনি ওঠাতে অনেকে কষ্ট পেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে আমের আঠার সাথে ধুনোর গুঁড়ো মিশিয়ে কুনিতে টিপে দিলে কষ্ট দূর হবে।
৮। চুল পড়া কমাতে
কচি আমের আঁটি শাঁস থেঁতো করে পানিতে ভিজিয়ে ছেঁকে ঐ পানি চুলে ব্যবহার করলে চুল ওঠা অনেক কমে যায়।
আরও পড়ুন : কদমের উপকারিতা – Benefits of burflower tree
৯। অকালে চুল পাকা দূর করতে
অকালে চুল পাকা শুরু করলেও আমের আঁটি শাঁস কার্যকর। শাঁস ৫/৬ গ্রাম ও শুকনো আমলকী ২/৩ টুকরা লোহার পাত্রে রেখে পানিতে ভিজাতে হবে। পরে সেটা ছেঁকে ঐ পানি চুলে ব্যবহার করলে অকালপক্বতা রোধ হবে।
১০। নাকের রক্ত পড়া বন্ধ করতে
আমের আঁটি শাঁসের রস বা গুঁড়ার নস্যি নিলে নাক দিয়ে রক্তপড়া বন্ধ হয়। (PIAS, 1951)।
১১। অতিরিক্ত স্রাব বন্ধে
আম আঁটির শাঁস Gallic Acid থাকার কারণে এটি অর্শের রক্তক্ষরণ ও মহিলাদের মাসিকে অতিরিক্ত স্রাব বন্ধে ব্যবহৃত হয় (PIAS, 1951)।
বৈজ্ঞানিক নাম: Cinnamomum verum Presl. Syn. C. zeylanicum Bi.পরিবার: Lauraceaeইংরেজি নাম: Cinnamon
Cinnamon/দারুচিনি মাঝারি আকারের গোলাপজামের মতো গাছ হলেও পাতার আকৃতি তেজপাতার মতো। দারুচিনি গাছের ছাল জনপ্রিয় মসলা হিসেবে পরিচিত। এর ছাল পাতলা ও ধূসর বর্ণের। এই গণের কয়েকটি গাছের ছাল দারুচিনির সাথে ভেজাল চলে। কাঠের রং ফিকে লাল। তেজপাতার কচি পাতা গোলাপি রঙের। তবে পরে সবুজ হয়। বসন্তকালে ফুল ও ফল হয়। এটিকে ছালচিনি বলা হয়।
দারুচিনি পূর্ব জাভা, সুমাত্রা ও চীন থেকে এদেশে আসত বলে একে দারুচিনি বলা হয় বলে অনেকে মনে করেন। তবে শ্রীলঙ্কা এর আবাসভূমি বলে ধারণা করা হয় এবং শ্রীলঙ্কার দারুচিনি উৎকৃষ্ট। ব্যপকভাবে চাষ না হলেও বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে এ গাছ দেখা যায়।
চারা রোপণের ২-৩ বছর পর চারা ২-৩ সে.মি. মোটা হলে গোড়া থেকে কেটে নিয়ে বাকল আলাদা করে শুকিয়ে নিতে হয়। হেক্টরপ্রতি ফলন প্রায় ১০০ কেজি।
১। মাথা বযন্ত্রণা দূর করতে
সাধারণত শরৎ ও হেমন্তকালে পিত্ত শ্লেষ্মার কারণে অনেকের মাথা যন্ত্রণা হয় এমনকি জ্বরও হতে পারে। এরুপ ক্ষেত্রে ১/৪ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া প্রতিদিন সকাল-বিকাল দু’বার পানসহ খেতে হবে। এ ছাড়া দারুচিনি মিহি গুঁড়া করে নস্যি টানতে হবে; এতে কষ্টের অবসান হবে।
২। কন্ঠস্বর সমস্যা দূর করতে
ঠাণ্ডা ও কফের প্রকোপে গলা বসে যায়, কণ্ঠস্বর বিকৃত হয়। এক্ষেত্রে ১ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া আধাকাপ গরম পানিতে রাতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ছেঁকে পানিটা খেলে কন্ঠস্বর স্বাভাবিক হবে।
৩। শরীরের কান্তি ফিরে পেতে
শরীরের যত্নের ক্রটি নেই, তেমন লক্ষনীয় কোনো সমস্যাও নেই; কিন্তু শরীর দিন দিন শ্রীহীন হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় উপরে ২ নং বিধান ছাড়াও ২ গ্রাম দারুচিনির সাথে একগোছা দূর্বা ও একটু হলুদ বেটে গোসলের আগে গায়ে মাখতে হবে এবং ১ ঘন্টা পর গোসল করতে হবে। এতে করে শরীরের কান্তি ফিরে আসবে।
৪। গলার ক্ষত দূর করতে
ঠাণ্ডা কফ বেশিদিন চলতে থাকলে গলায় ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে; এমন হলে কিছু খাওয়ার পর গলা জ্বালা করে এবং স্বর বসে যায়। এ অবস্থায় ২নং বিধানের ব্যবহারে উপকার পাবেন বলে আশা করা যায়।
৫। মুখের মেছতা দূর করতে
মুখের মেছতায় এক থেকে দেড় গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া রাতে এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ছেঁকে দু’ভাগ করে সকালে ও বিকেলে খেতে হবে। এছাড়া ২/১ টিপ দারুচিনি গুঁড়া দুধের সরের সাথে মিলিয়ে মেছতায় ঘসে ব্যবহার করলে মেছতা মিলিয়ে যাবে।
৬। দাদ ও একজিমা দূর করতে
দাদ বা একজিমা হয়েছে, বর্ষাকালে পানি একটু বেশি লাগলে তরতর করে বেড়ে ওঠে, সজীব হয়। এমন হরে ৩ গ্রাম দারুচিনি থেঁতো করে দু’ভাগ করে দু’কাপ পানিতে সেদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঠাণ্ডা করে কিছু খাওয়ার পর খেতে হবে। এ ছাড়া ২/৩ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া করে দুধের সরের সাথে মিশিয়ে দাদ বা একজিমায় একদিন অন্তর একদিন লাগাতে হবে, এতে উপকার পাবেন।
৭। কৃমির উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে
অনেকে কৃমির উপদ্রবে ভোগেন; এটি যদি গুঁড়া কৃমি হয় তবে ১/৪ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়া পানিতে মিলিয়ে কিছুদিন সকালে বা বিকেলে একবার খেলে এ উপদ্রব থেকে রেহাই পাবেন। অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে মাত্রা হবে এর অর্ধেক।
৮। দাঁতের সমস্যা দূর করতে
বয়স বাড়লে দাঁতের যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক; অনেক সময় শক্তসমর্থদেরও এটি দেখা যায়। এক্ষেত্রে অনেকে সাদা তামাক দাঁতের গোড়ায় ব্যবহার করনে, ব্যাথা-বেদনার উপশম হয় বলেও জানা যায়। এটি না করে দারুচিনির মিহি গুঁড়া আক্রান্ত দাঁতের গোড়ায়, মাঢ়ীতে লাগিয়ে দিন, যন্ত্রণার উপশম হবে, আবার তামাকের ন্যায় ক্ষতির আশঙ্কাও থাকবে না।
Chemical Composition of cinnamon
Bark contains- (a) essential oil (b) eugenol (c) linalool (d) caryophyllene (e) tannin (f) mucilage (g) calcium (h) oxalate & (e) starch (i) cinnamaldehyde (Chevallier, 1996
Java plum/কালো জাম আমাদের অতি পরিচিত ফলের মধ্যে একটি এবং গাছ মূল্যবান কোঠের উৎস। গাছ দীর্ঘকৃতি শাখা-প্রশাখাযুক্ত, কাণ্ড ঊর্ধ্বমুখী, হালকা হলুদ বা ধুসর বর্ণ ও অমসৃণ। পাতা সরল, পুরু ও ঘনবিন্যস্ত; দৈর্ঘ্য ১৯.৫ সে.মি. এবং প্রস্থ ৯.৫ সে.মি. পর্যন্ত হয়। মার্চ-এপ্রিল মাসে প্রচুর ঘন সাদা ফুল আসে এবং জুন-জুলাই মাসে ফল পাকে। কাঁচা ফল সবুজ ড্রুপ, পাকলে ঘনকালো বর্ণ ধারণ করে। এ সময় গাছ থেকে ফল পড়ে যায় এবং গাছের তলা ফল ও বীজে ভরে ওঠে। ফল স্বাদে টক, মিষ্টি এবংপুষ্টিকর; এটি শ্বেতসার, আমিষ, স্নেহ, খনিজ লবণ ও ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ সমৃদ্ধ। সাধারণ অবস্থায় ২-৩ দিনের বেশি ফল সংরক্ষণ করা যায় না। গাছপ্রতি ফলন ২০০-৩০০ কেজি।
জাম সম্ভবত ভারতীয় ফল কিন্তু অনেকের মতে পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ এর আদি নিবাস। বাংলাদেশের সব অঞ্চলে কম বেশি এটি পুকুরপাড় বা রাস্তার ধারে দেখা যায়।
ব্যবহারঃ
১। রক্ত পরা বন্ধে
ঘর গেরস্থালির কাজে হঠাৎ করে হাত-পা কেটে গেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে জামপাতার রস লাগালে রক্ত বন্ধ হয়।
২। ক্ষত স্থান সারিয়ে তোলতে
পচা ঘা হলে জাম পাতার রস সেদ্ধ করে ঘন ক্বাথ দিয়ে ২/৩ দিন ধুয়ে দিলে উপকার পাওয়া যাবে। আবার ক্ষত হয়ে গেলে জামছালের মিহিগুঁড়া ছড়িয়ে দিলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
৩। ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রনে
যে ডায়বেটিস ইনসুলিন– নির্ভর নয়, জামবীজে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ৩ গ্রাম জামবীজের গুঁড়া পানিসহ প্রতিদিন ৩ বার করে ৩ মাস পর্যন্ত খেলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয় (Kohli & Singh, 1993।
৪। বিছানায় প্রেসাব করা দূর করতে
শয্যামূত্র এমন একটি সমস্যা যাতে শিশু বৃদ্ধ অনেকেই ভোগেন ও অসুবিধায় পড়েন। অনেক মাকেও সন্তানের জন্য ভুগতে হয়। জানামতে এক কিশোর এ অসুবিধার জন্য কোনো আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতে পর্যন্ত যেত না। এ ক্ষেত্রে বয়সানুসারে ২/৩ চা চামচ জামপাতার রস ১/৩ চা চামচ জামের কচি পাতার রস ১/২ চা চামচ ঘি মিশিয়ে প্রতিদিন ১ বার খাওয়ালে এক সপ্তাহের মধ্যে উপকার পাওয়া যাবে।
৫। আমাশয় দূর করতে
পেশাগত কারণে যাদের বাইরে খেতে হয় বা ঘরে খেয়েও অনেকে আমাশয়ে আক্রান্ত হয়। এক্ষেত্রে ২/৩ চা চামচ জামের কচি পাতার রস একটু গরম করে ছেঁকে খেলে ২/৩ দিনের মধ্যে উপশম হবে।
৬। মাঢ়ীর সমস্যা সমাধানে
জাম ছালে ট্যানিন রয়েছে। এ ট্যানিন বিক্রিয়ার মাধ্যমে মাঢ়ীর রক্ত পড়া বন্ধসহ ক্ষত সারাতে সাহায্য করে (Ghani, 2002)। কথায় আছে, ‘বাঙালি দাঁত থাকতে দাতের মর্যাদা বোঝে না’। অযত্নে দাঁতের মাঢ়ী আলগা হয়ে গেছে, ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে, রক্ত পড়ে। এক্ষেত্রে জাম ছালের গুঁড়া দিয়ে ২/১ দিন অন্তর দাঁত মাজলে উপকার হবে।
৭। বমি বন্ধ করতে
গরমে শরীর ভেঙে গিয়ে, অত্যধিক পরিশ্রমে বা অনিয়মে বমি হতে থাকলে ২/১ টা কচি জামপাতা পানিতে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সাথে ১০/১৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে খাওয়ালে বমি বন্ধ হবে।
৮। হাত পায়ের জ্বালা যন্ত্রনা দূর করতে
হাত পা জ্বালা যন্ত্রনা করলে পাকা জামের রস মাখলে তৎক্ষণাৎ কমে যায়।
বিষয়গুলো ভাল লাগলে কমেন্টস করে জানাবেন যেন আরও আরও তথ্য দিতে পারি এবং ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
বিষয়গুলোর অরজিনাল সোর্স দেখতে চাইলে ক্লিক করুন
আমি ইবন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।