আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর দয়ায় অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে নতুন একটা মজার গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। পড়লেই আনান্দতো পাবেন সাথে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করি সেই মজার গল্প।
এক ছিল রাজা তার ছিল বিশাল রাজ্য, অনেক সেনাপতি। ক্নে কিছুর অভাব আছে বলে কারও মনে হয়না। এত বড় রাজ্য ধন সম্পদের কমতিও মাত্র নেই। যেদিকে দুচোখ যায় শুধু দৃষ্টি শেষ হয়ে যায় কিন্তু রাঝ্যের শেষ আছে বলে মনে হয়না। তার খেদমতদ করার জন্য অনেক লোক প্রস্তুত। যখন যেদিকে যায় সাথে থাকে দেহরক্ষী। কেউ তার কোন ক্ষতি করবে বলে সাহস মাত্র করতে পারেনা। যখন যা চাই তাই পাই। যা অডার করে তাই হয়। যা খেতে চাই তাই খাই। এক কথায় সব মিলিয়েই রাজা।
অপর দিকে তার রাজ্যে ছিল এক লোক। যার কিছুই ছিলনা। সে লোক তারই প্রসাদে খাটে। যা পাই তাই নিয়ে কোন রকম দিন কাল পার করেন। তার পরিবারে ছিল আরও কয়েক জন লোক। যাদের ভরন পোষন তাকেই করতে হত। যদিও তার ঘরে সেরকম কিছুই ছিলনা, তবুও তার জীবন অনেক সুখেই কাটে। সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে। রাত হতে না হতে ঘরে ফিরে। নির্বিঘ্নি ঘমায়। কোন চিন্তার রেখা মাত্র পড়েনা তার চেহারায়।
সবসময় তার চেহারায় প্রফুল্যতার প্রভাব মিলে। মনের সুরে গান গাই। যেখানে সেখানে হাসি আর হাসি। প্রচন্ড রোদে একটু ক্লান্ত হলেই গাছের তলায় বসতেই ঘুম এসে যায়।
একদিন রাজা তার বাসার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। এমন সময় খেয়াল করেন যে, সেই লোকটি মনের আনান্দে গান গাই। মখ ভরা হাসি, চোখ আনান্দে ছলছল করে জ্বলছে। রাজা তাকে দেখে চলে গেলেন। এভাবে রাজা যখনই তাকে দেখতে পাই, তখনই সে গান গাই আর আনান্দ করে।
একদিন রাজা তার উপদেষ্টাকে বললেন দেখ এই রোকটার কিছই নেই তবুও সে সব সময় মনের আনান্দে গান গাই। সব সময় হাসিখুসি থাকে। পেট পুরে ভালো ভাবে খেতে পাইনা তবুও সে চিন্তা মুক্ত থাকে।
কিন্তু আমার এত আছে, এত বড় রাজ্যের মালিক, এত ধন সম্পদের মালিক, যখন যা বলি তাই করি। আমার চিন্তাতে যান বাচেনা। ভালো ঘুমোতে পারিনা। অথচ তার কিছুই নেই, তবুও তার যেন আনান্দ ফুরাইনা। কেন? বলতো। এর কারণ কি?
রাজার উপদেষ্টা শুনে, ভেবে চিন্তে রাজাকে বললেন কারণ একটাই। উপদেষ্টা বললেন খুব সহজ উত্তর। কি সেই কারণ বল।
তার উপদেষ্টা রাজাকে বললেন কারণ আপনি ৯৯ ক্লাবের সদস্য। রাজা শুনে অবাক। এটা আবার কেমন কথা। ৯৯ ক্লাব আবার কি? উপদেষ্টা মুচ্কি হেসে বললেন আপনাকে পরে বুঝাব। আচ্ছা ঠিক আছে।
এবার রাজার উপদেষ্টা একদিন কিছু সর্ণের কয়েন থলেতে করে সেই ভৃতে্যর বাসার দরজায় লটকিয়ে চলে এলেন। কিছুক্ষণ পরই সেই লোক বের হতেই দেখলেন যে, তার দরজায় একটা কিসের থলে। সে তা নিয়ে দেখল, হায়! এ কি! সেতো অবাক! এ যেন মেঘ নাচাইতেই জল। নিরিবিলি চলে গেল। এক দুই তিন এভাবে গুনতে শুরু করল। গুনতে গুনতে সে ৯৯ নিরানব্বই তে ঠেকল। ১০০ আর পুরলোনা। আবার গুনলো কিন্তু তাও হলনা। বার বার গুনল। যতবারই গুনে ততবারই ৯৯ টা কয়েন হয়। কিন্তু ১০০টা আর হয়না। এভঅবে সে বারবার গুনে। সে ক্লান্ত কিন্তু কেন জানি সে অস্থীর। সে আর মেনে নিতে পারছেনা। কেন এক শত হলনা। একটা গেলো কোথায়? তাতো কমার কথা নয়। তাহলে কি কেউ নিয়ে গেল? না, সে আবার গুনে আর গুনে। হায়! কি করি? থাকলেতো পুরাই ১০০ শত থাকার কথা। কে আবার চুরি করল আমার টাকা। সে অস্থির কিন্তু কাউকে বলেনা যে, সে এখন অনেক সম্পদের মালিক।
ভালো করে আর খেতে পারে না। ভালো ঘুমাইনা। এপাশ ওপাশ করে কিন্তু ঘৃম আসেনা। রাত যেন কাটেনা। কিছু ভালো লাগেনা। কারো সাথে ভালো কথা বলেনা। মনে মনে কি যেন আকে সারাক্ষণ। এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায়।
এক সমায় যে লোকটা মনের সুখে গান গাইতো সে আর কোন গান গাইনা। যে সব সময় হাসি খুসি থাকতো সে আর হাসেনা। যে নির্বিঘে্ন ঘুমাতো তার আর ঘুম আসেনা। সে শুধু ভাবে যে, আমার ১০০ শতটি মুদ্রা পুরন করতে হবে। তাই সে ব্যস্ত। ছুটাছুটি করে। কঠোর পরিশ্রম করে। যে কোন মূল্যে হোক না কেন তার এর ১টি মুদ্র সংগ্রহ করতেই হবে।
একদিন রাজা খেয়াল করলেন যে, এই সেই লোক যে কয়েকদিন আগে এতো হাসি খুশি থাকতো, তার মুখে আর কোন হাসি নেই। তাকে বেশ চিন্তাশীল দেখাচ্ছে। মুখ মলিন। যেন সে আধাখান হয়ে গেছে। বেশ কয়েক দিন তাকে এরকম দেখলেন রাজা।
রাজা তার উপদেষ্টাকে ডেকে পাঠালেন। তাকে প্রশ্ন করলেন কি হয়েছে? সে আর আগের মত গান গাইনা, হাসেনা, সবসময় মন মরা হয়ে থাকে। সে যেন বেচে থেকেও মরে গেছে। বলোতো কি ব্যপার?
উপদেষ্টা মুচকি মেরে হেসে বললেন তাকেও আপনার মত ৯৯ ক্লাবের সদস্য করে দিয়েছি। সে চাইলেও আর আগের মত জীবন যাপন করতে পারবেনা।
তো কি করেছ তার শুনি।
উপদেষ্টা বললেন যে, আপনার যেমন আনেক কিছু আছে। কিছুরই আভাব নেই। রাজ্য আছে। ধন আছে। সম্পদ আছে। ক্ষমতা আছে। যখন যা বলেন তাই করেন। কিন্তু আপনি ছুঠোছুটি করেন আরও কোথায় কি আছে। তাহলে উমুক রাজ্য দখল করতে হবে। ঐ রাজ্য জয় করতে হবে। রাজ্য বাড়াতে হবে। তাই আপনার ঘুম আসেনা। সব সময় চিন্তায় পড়ে থাকেন। ছুটোছুটি করেন।
ঠিক একই ভাবে তাকেও এমন নেশায় ফেলেছি যে, সে এখন থেকে আপনার মতো বেহুশ হয়ে ধন সম্পদের পিছনে দৌড়াচ্ছে।
উপদেষ্টা বললেন, আসল কথা হলো আমি তার বাসার দরজায় একটি থলেতে ৯৯টি সর্ণের কয়েন রেখে এসেছি। সে সেটা পেয়ে প্রথমে খুসিই হয়েছিল। কিন্তু যখন তা গুনা শুরু করল সে দেখল যে, তাতে ৯৯টি সর্ণের কয়েন আছে। এতক্ষনে সে অবাক যে, মুদ্রা যদি থাকে তাহলে ১০০টি থাকবে। ৯৯টি কেন? ১টি মুদ্রা কোথায় গেল? তাই সে বার বার গুনে আর গুনে। কিন্তু ১০০টি আর হয়না। তাই সে প্রতিজ্ঞ যে, তাকে আর একটি মুদ্রা যে কোন মূল্যে যোগাড় করতেই হবে। একারণে সে আর ঘুমায়না। ভালো করে কথা বলেনা। আর গান গাইনা। সে আর হসতে পারেনা।
সে সম্পদের মহে পড়েছে। সেই সম্পদের মোহ তাকে পেরেশান করে ফেলেছে।
কিন্তু আপনার যেমন এত আছে তার পরও আরও চান যে সম্পদ দিয়ে কিছুই হবেনা। এজন্য ঘুমোতে পারেনা ভালো করে। সবসময় চিন্তায় পড়ে থাকেন। আরও চাই, আরও চাই। কোথায় পাই, কোথায় পাই। এতো থেকেও যেন কি নেয় আপনার।
ঠিক একই রুপে যেখানে তার কিছুই ছিলনা, সে ৯৯টি সর্ণ মুদ্রা পেল। তবুও তার মন ভরলোনা। সে আর ১টির জন্য তার সব সুখ হারিয়ে ছুটোছুটি করতে লাগলো। সে আর গান গাইতে পারেনা। ভালো ঘুমোতে পারেনা। হাসতে পারেনা। সম্পদের মোহ তার সব সুখ কেড়ে নিল।
এই জনে্য বলেছিলাম আপনি এখন ৯৯ ক্লাবের সদস্য। যতই থাকনা কেন সম্পদের মোহ আপনার সব সুখকে কেড়ে নিবে। চাইলেও সুখি হতে পারবেননা।
লেখক: ইসকান্দার আলী।
আমি ইসকান্দার আলী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
আপনার টিউনটি, লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং করা হয়নি। ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী এধরনের প্রকাশিত টিউন, লিস্ট বেইসড টিউন বা ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং করতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনকে কন্টেন্ট রাইটিং এর ভাষায় ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) বলা হয়। লিস্ট বেইসড, ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং এর টিউন এর উদাহরণ হিসেবে টিউন ১ ও টিউন ২ লক্ষ করুন।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১,টিউন ২, টিউন ৩ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
আপনার টিউনটি লিস্ট বেইসড টিউন ফরমেটিং এ ফরমেট করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।