আজ আমরা যে মহাবিশ্ব দেখছি, সে মহাবিশ্বের একদিন কোন অস্তিত্ব ছিলনা। রাতের আকাশে চোখ মেললেই দেখতে পাই হাজার হাজার তারকা। যেগুলো মিট মিট করে জ্বলছে। আমর যে গ্রহে বাস করি তার নাম পৃথিবী। এরকম অনেক গ্রহ-উপগ্রহ মহাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই ছিলনা। এসব তৈরি হয়েছে বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে।
এ যাবৎ বিশ্বজগতের জন্ম বিষয়ে যত থিওরি আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বিগ ব্যং থিওরি।
অনেক বিজ্ঞানির মতে ১৫ বিলিয়ন বছর আগে মহাবিেশ্বর সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সি- এসবগুলোই অবস্থান করেছিল একটি ছোট্ট বিন্দুতে। পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাকে বলে সিঙ্গুলারেটি (SINGULARITY)। সব কিছুই ছিল একটি কণা। ছোট্ট একটি কণার আয়তন ছিল প্রায় শুন্য, যার ফলে এর ঘনত্ব ছিল অসীম।
এর পরই এক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে গেল অকল্পনীয় মহাবিষ্ফোরন। সাথে সাথে তাপমাত্রা নেমে এল প্রায় পাচ বিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়লো চারিদিকে। আর এটাই হল বিগ ব্যাং।
কয়েক শত বছর পর এর তাপমাত্রা এমন এক পর্যায়ে এল যখন পরামানু (ATOM) তৈরি করতে পারে। যে প্রথম দুটি পরামানু তৈরি হয়েছিল তা হল হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম। হাইড্রোজেনে মাত্র একটি ইলেক্ট্রোন বিদ্যমান থাকে। এই ইলেক্ট্রান আর একটি প্রটনকে কেন্দ্র করে ঘুরে। অন্র দিকে হিলিয়াম, যাতে আছে দুটি ইলেক্ট্রোন, অপর দুটি নিউট্রন ও প্রটনকে কেন্দ্র করে ঘুরে। এভাবে এক বিলিয়ন বছর কেটে গেল। কিন্তু তখনও কোন গ্রহ উপগ্রহের জন্ম হয়নি। তখন শুধু উত্তপ্ত ধুলি কণা ও মেঘে পরি পূর্ণ ছিল। ৯৮% হাইড্রোজেন ও ২% হিলিয়াম বিদ্যমান ছিল এই মেঘপুণ্জ ও ধুলিকণায়। বিজ্ঞানিগর এর নাম করন করেন নেবুলা।
এসময় ফিউশন রিঅ্যাকশন শুরু হয়ে ক্ষুদ্র পরামানুরগুল্রে মধ্যে সংঘর্ষের ফলে রুপ নিল বিশাল বিশাল পরামানুর। ধীরে ধীরে নেবুলার আকৃতিও বড় হতে থাকল।
এর পর এক সময় সেই নেবুলা বৃহৎ বৃত্তাকার চাকতির রুপ ধারন করতে লাগল। আর একই আকৃতির রিং এর কেন্দ্র স্থলে তৈরি শুরু হল একটি বৃহৎ আকার গোলাকার বল।
ফিউশন অ্যাকশন শুরু হওয়া পর্যন্ত এই দানবীয় বল অতিমাত্রায় গরম হতে থাকল। আর শুনে অবাক হবেন যে, এই দানবীয় বলটি হল আমাদের সূর্য। অপর দিকে যে একই চাকতির সদৃস রিংগুলো গঠিত হয়েছিল নানা কারণে সেগুলোতে প্রচুর সংঘর্ষ হতে লাগল। নানা ধরনের কণঅ ও ধুলিকণার মধ্যে এই সংংংংঘর্ষগুলো ঘটত। এই সংঘর্ষ এর ধারাবাহিকতায় নয়টি গ্রহের জন্ম হল। সেগুলো হল আমাদের সৌরজগতের গ্রহ। যথা:- বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপ্চুন ও প্লেটো।
আর অপর দিকে যে উপগ্রগুলোর জন্ম হয় তা সৌরজগতের ৩০ মিলিয়ন বছর পর। একটি উপগ্রহ গঠিত হয় পৃথিবীর সাথে ছোট ছোট গ্রহের সংঘর্ষের ফলে। সেটিই হল চাদ।
মহা বিশ্ব যে বিগ ব্যাং থেকে সৃষ্টি হয়েছে তার সত্যতা প্রমাণে আমাদের দুটি প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করতে হবে।
১) এই পুথিবী থেকে নক্ষত্রের দূরত্ত্ব কত তা বের করতে হবে।
২) নক্ষত্রগুলো যে একে অপরের যোজন যোজন দূরে সরে যাচ্ছে সেটা কিভাবে হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবে বের করতে হবে।
পৃথম প্রশ্নউত্তরে আমরা Parallax সেথডের সাহয্য নিতে পারি।
ধরাযাক, গ্রীষ্মকালে পৃথিবী থেকে দূরের আকাশে একটা নক্ষত্র অবলোকন করতে হবে। তাহলে কোন এক পর্যায়ে Alfa Centauri নক্ষত্রটির পথকে আটকিয়ে দিবে। Alfa Centauri হল আমাদের পৃথিবীর কাছের গ্রহ। আর সেই পথটিকে আমরা সরল রেখা মনে করি। একইভাবে, শীতকালে পৃথিবী থেকে দূরের আকাশে অন্য আর একটি নক্ষত্রের অবলোকনের চেষ্টা করি। একইভাবে কোন এক সময় Alfa Centauri সেই নক্ষতে্রর গতিপথ আটকিয়ে দিবে। এই পথটিকেও আমরা সরল রেখা কল্পনা করি।
আমরা যে দূুট সরল রেখা কল্পনা করেছি তা হতে হবে পৃথিবীর ভিন্ন দুটি কৌণিক দূরত্ত্ব থেকে। কারণ ভিন্ন ঋতুতে দুটি নক্ষত্র এর দূরত্ত্ব মাপার চেষ্টা করছি।
ফলে সেই কল্পিত সরল রেখা দুটি কোন এক বিন্দুতে গিয়ে মিলে যাবে। এর পর সরল রেখা দুটির উৎপত্তি স্থলের দূরত্ত্ব ও কোণ পরিমাপ করতে চবে। যা এখন আমাদের কাছে অনেক সহজ। এখন জ্যামিতিক সূত্রের সাহায্যে একটি সরল রেখার দৈর্ঘ্য মাপলেই আমরা জানতে পারব পৃথিবী ও Alfa Centauri এর দূরত্ত্ব কত।
এছাড়া আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রমাণ করতে পারি যে, মহাবিশ্ব পরস্পর দূরে সরে যাচ্ছে। তার প্রমাণে ডপ্লার ইফেক্ট মেথড ব্যবহার করতে পারি। সব মিলিয়ে প্রমাণ হবে যে, ছায়পথ সব সময় সম্প্রসারিত হচ্ছে। নক্ষত্রগুলো দূরে সরে যাচ্ছে।
আমি ইসকান্দার আলী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
নির্দেশনা [০১]
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ট্রাস্টেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
আপনার টিউনটি, লিস্ট বেইসড টিউনে ফরমেটিং করা হয়নি। ‘টেকটিউনস টিউন গাইডলাইন’ অনুযায়ী এধরনের প্রকাশিত টিউন, লিস্ট বেইসড টিউন বা ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং করতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনকে কন্টেন্ট রাইটিং এর ভাষায় ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) বলা হয়। লিস্ট বেইসড, ‘Listicle’ (লিস্টিক্যাল) বা List Post (লিস্ট Post) ফরমেটিং এর টিউন এর উদাহরণ হিসেবে টিউন ১ ও টিউন ২ লক্ষ করুন।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের
খেয়াল রাখুন
১. টিউনে H2, H3 বা H4 সহ যে কোন হেডিং কখনও বোল্ড করা যায় না ও লিংক করা যায় না।
২. লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
লিস্ট বেইসড টিউনে প্রতি আইটেমের ক্রমিক নম্বর বাংলা নিচের ফরমেটে থাকতে হয়।
১. আইটেম ১
২. আইটেম ২
এখানে প্রথমে বাংলা ক্রমিক নম্বর, তারপর একটি ডট, ডটের পর স্পেস তারপর আইটেমের নাম।
লিস্ট বেইসড টিউনে লিস্টের প্রতি আইটেমে হুবহু এই ফরমেটে ক্রমিক নম্বর থাকতে হয়।
উদারহরণ সরূপ টিউন ১,টিউন ২, টিউন ৩ লক্ষ করুন।
এখানে লিস্ট বেইড টিউনে লিস্টের
করণীয়:
আপনার টিউনটি লিস্ট বেইসড টিউন ফরমেটিং এ ফরমেট করুন।
খেয়াল করুন: আপনার এই টিউন সংশোধনের জন্য আপনাকে সর্বোচ্চ ৫ বার নির্দেশনা দেওয়া হবে। এই ৫ বার নির্দেশনার মধ্যে আপনি যদি টিউন সঠিক ভাবে ও নির্ভুল ভাবে সংশোধনে ব্যর্থ হোন তবে এই টিউন টি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হবে না এবং ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য বাতিল হবে। নির্দেশনার ক্রমিক নম্বর নির্দেশনার শুরুতে নির্দেশনা [০১], নির্দেশনা [০২] এভাবে দেওয়া থাকে।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।