শিক্ষাজীবনে দশটি যে কাজ অবশ্যই করণীয়

টিউন বিভাগ অন্যান্য
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

শিক্ষাজীবনেে গাধার মত পরিশ্রম করে অন্ধের মত পড়ালেখা করলেই যে সফলতা ধরা দিবেনা এটা আমরা সবাই জানি। সফলতার পাশাপাশি অবশ্যই কিছুকিছু কৌশল জানতে হয়, কোন কোন বিষয় পারদর্শী হতে হয়। তবেই একজন সফল মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা যায়।

শিক্ষাজীবন এমন কিছু কাজ আছে যেগুলো এই সময়ে না করলে শিক্ষাজীবনই বৃথা। এই কাজগুলো  নিজেকে দক্ষ করে তুললে পরবর্তী জীবনে সফলতা আসবেই। এই দক্ষতাগুলি আপনাকে কৌশলি করে তুলবে, যা চাকরিদাতাদের কাঙ্ক্ষিত হয়ে থাকে।

আজকে শিক্ষাজীবনের এমন দশটি কাজের কথা বলব যা আপনার শিক্ষা পরবর্তী জীবনে সফলতা এনে দিবে।

১. সফটওয়্যার পারদর্শী হওয়াঃ

আপনাকে কম্পিউটার ব্যবহার করতে জানতে হবে, এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। Powerpoint, Execl, Word ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে হবে। শিক্ষা জীবন শেষে চাকরি কিংবা বিজনেস সকল সেক্টরেে এই দক্ষতা আপনাকে হাজারো প্রার্থীর মধ্যে আপনাকে আলাদা করে তুলবে।

২. নিজের মেন্টর বা গুরু নির্বাচন করাঃঃ

জীবনকে সাজাতে হলে একজন পথপ্রদর্শক দরকার এজন্য একজন মেন্টর বা গুরু নির্বাচন করুন। যার কাজ আপনার পছন্দ, যার কাজে আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগায়। তার কাজগুলোকে আদর্শ মনে করে প্রতিটা বিষয়  লক্ষ্য করে নিজের কাজকে সাজানোর চেষ্টা করুন।

৩. পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষাঃ

পড়াশোনা আপনার প্রথম চয়েস হলেও এর সাথে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস জানতে হবে। যেমনঃ বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিজনেস কম্পিটিশন, খেলাধুলা ইত্যাদি। এসব কাজে অংশগ্রহণ না করতে পারলেও এগুলোর ব্যবস্থাপনার কাজে নিজেকে দক্ষ প্রমাণ করতে পারেন। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে পারফর্ম করাই হলো আদর্শ ছাত্রের কাজ।

৪. নিজের সিভি নিজেই তৈরি করাঃঃ

অনেকেই আছেন যারা শিক্ষাজীবন শেষে চাকরির জন্য সিভি তৈরি করেন, কিন্তু না আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টার থেকে সিভি তৈরি করেন এবং প্রত্যক সেমিস্টারে নতুন করে আপডেট করুন, এতে নিজেকে পরীক্ষা করে নেওয়া হবে আপনার আগের তুলনায় যোগ্যতা কতটুকু বেড়েছে।

৫. নিজের সমস্যা নিজেরই সমাধান করাঃঃ

পৃথিবীতে বাস করতে হলে বিভিন্ন সমস্যা আসবেই, যখন আপনি কোন সমস্যারসম্মুখীন হবেন তখন কে আপনাকে এরদিকে ঠেলে দিয়েছ, কেন হলো এসব চিন্তা না করে  নিজের সমস্যা নিজেকেই সমাধান করতে হবে।

৬. শিক্ষাজীবনে প্রজেন্টেশন দেওয়াঃঃ

যে ব্যক্তি শখানেক প্রেজেন্টেশন দিয়েছে তারাও ডায়াসে উঠে কিছুটা জড়তা আসবেই, কিন্তু সেটা কাটিয়ে সঠিক প্রেজেন্টেশন দেওয়া অবশ্য করণীয়। তাই ছাত্রজীবন থেকেই প্রেজেন্টেশন দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

৭. বিভিন্ন ভাষার আয়ত্ত করাঃ

বর্তমানে চাকরির ক্ষেত্র বা ব্যবসা-বাণিজ্য  শুধুমাত্র দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, দেশ বিদেশেও ছড়িয়ে আছে আর তাই নিজের মাতৃভাষার পাশাপাশি অবশ্যই আরও কয়েকটি ভাষার আয়ত্ত করতে হবে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা লিখতে, পড়তে এবং বলতে জানতে হবে।

৮. নিজের অনলাইন প্রোফাইল আপডেট করাঃ

বর্তমান সময়ে সকলেরই একটা অনলাইন প্রোফাইল আছে। এই প্রোফাইলগুলি আমাদের বায়ো বহন করে, আমরা নিজে যে যেই বিষয়ে পারদর্শী, সেই কাজগুলি এইখানে সবসময় প্রচার করি তবে একটা সময় ক্লায়েন্ট আমাদের নিজেই খুঁজে নিবে।

৯. শিক্ষাজীবনেই নেটওয়ার্কিংঃ

আপনি  যেই কাজটা নিয়ে এগুচ্ছেন তা নিয়ে আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলুন যারা এই কাজের সাথে যুক্ত আছেন। মনে রাখবেন নেটওয়ার্কিং করা যে কোন কাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আর শিক্ষাজীবন থেকেই নেটওয়ার্কিং শুরু করলে পরবর্তী জীবনে ফলপ্রসূ হবে।

১০. লক্ষ্য অবিচল থাকাঃ

যেকোন কাজে বাধা আসবেই, কিন্তু মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া যাবেনা, নিজের লক্ষ্য অটল রেখে নিজের কাজ নিয়ে এগুতে হবে।

আমি সুমাইয়া শিমু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কৌশল নেটওয়ার্ক- টেকটিউনস এ আমি ৪ দিন ধরে যুক্ত আছি। টেকটিউনস এ আমি এ পর্যন্ত ১ টি টিউন ও ১ টি টিউনমেন্ট করেছি। টেকটিউনস এ আমার 0 ফলোয়ার এবং আমি ১ টিউনারকে ফলো করি।

 

Level 0

আমি সুমাইয়া শিমু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 6 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস