পর্ব:-১
{Warning গল্প সম্পূর্ণ কাল্পনিক কেউ গল্প পরে বাস্তব জীবনে মনের ভয় সৃষ্টি হলে বা কোনো কিছু হলে লেখক দায় নয়}
|
অনেক ক্লান্ত লাগছে। যাই গোসল করে এসে রেস্ট নিয়ে পরে বাকি কাজ করবো। গোসল করার সময় ঝর্নার কলটা দিয়ে চোখ বন্ধ করে আরামে শরীরে ঠান্ডা পানির ছুয়া নিবো তখন লক্ষ করলাম শরীরে গরম কি যেনো পড়ছে। চোখ খুলে দেখি ঝর্না দিয়ে রক্ত পরছে।
|
|
|
আমরা ভাড়া থাকি। ভাড়া অনেক তাই কোনো রকম হিমশিম খেতে হচ্ছে ভাড়া দিতে গিয়ে। তবে যাইহোক অনেক কষ্টে টাকা পয়সা জমিয়ে একটা জায়গা কিনেছি তা ও কম দামে ভালো দামে কিনার সামর্থ নেই। তবে নিজ জায়গা আর বাড়ী ঘর থাকলে ঘর ভাড়া নিয়ে সমস্যা নেই। জায়গা আসে পাশে কোনো বাড়ি ঘর নেই।
|
ওহ্ হ্যাঁ আমার বাবা মা নেই। বেশ কিছুদিন হলো মারা গেছেন। তবে বড় ভাই আর আমি চাকরী করে কিছু টাকা জমিয়েছি আর বাবা মা কিছু টাকা রেখে গিয়েছিলো। সেটা দিয়ে হয়েছে জায়গা কিনা। বাড়ি টা ও হয়ে গেছে। তবে ভাইয়া বিদেশ চলে যাবে কিছুদিন পরেই। একা থাকতে হবে আমাকে। ছোট বেলা থেকে ভয় পাইতাম। এখন তো কাজের ব্যস্ততায় আর এতো চিন্তায় ভয় জিনিসটা নেই। যাইহোক সব জিনিস পত্র আনা হয়েছে। বাকি কিছু আছে সেটা ৩০ তারিখে আনবো আজ ২৭ তারিখ ২ দিন পর ভাইয়া বিদেশ চলে যাবে। সেটা জন্য ব্যাস্ত। জামা কাপড় গুছিয়ে রাখতে হবে। ছোটবেলা থেকে বড় হচ্ছি ২ ভাই মা বাবা মরার পর অনেক কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। কোনো আত্মীয় স্বজন নেই। নানী মরার পর জায়গা নিয়ে ঝগড়া লেগে সম্পর্ক শেষ। বাবার আত্মীয় স্বজন একই কাহিনী। বাবা বিদেশ গিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে বাড়ি ঘর করেছে মামার কাছে বড় হয়েছে তাই চালাকি করে বাড়ি ঘর লিখে আব্বুকে বের করে দিয়েছে আর সেই থেকে আমরা ভাড়া থাকি। তো যাইহোক পরের দিন সকালে গাড়ি ভাড়া নিয়ে airport গিয়ে ভাইয়াকে পৌঁছে দিয়ে এসে ভাড়া বাড়িতে গেলাম বাকি জিনিস পত্র আনতে। লোক ভাড়া করে আনতে আনতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বাসায় ফেরার সময় লক্ষ করলাম নতুন বাড়ি যেখানে করেছি সেখানে অনেক অন্ধকার মানে সেখানের রাস্তা অনেক অন্ধকার। মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে যাচ্ছি। চার পাশ নিরব তাকিয়ে রইলাম। ঘর বাড়ি আছে কিন্তু অনেক দূরে। দেখা যায় আলো জ্বলছে। এখানে ঠেকায় পরে কম দামে কিনতে হলো। যাইহোক ২ ৩ বছর পর তো এই জায়গা বদলে যাবে। সবাই জায়গা কিনবে কেউ বাড়ি ঘর করবে তখন সব নিরবতা চলে যাবে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বাড়ির মেইন গেইটে তালা খুলে ঢুকা মাত্রই একটা হালকা বাতাস থামলো আমি অবাক দৃষ্টিতে চারপাশ তাকিয়ে রইলাম।
|
মনে হলো ঝর বইছিল আমি আশা মাত্রই থেমে গেলো। যাইহোক মনের ভুল ভেবে ঘরে যাচ্ছি। ঘরের তালা খুলে ঢুকলাম। ঘর এতো অন্ধকার যে নিজেকেই দেখা যাচ্ছে না। মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ঘরের লাইট অন করলাম। একটু ঘুমাবো ভাবলাম। নাহ ঘুমালে হবে না। শরীরে ঘাম অনেক ক্লান্ত। যাই গোসল করে এসে রেস্ট নিয়ে পরে বাকি কাজ করবো। গোসল করার সময় ঝর্নার কলটা দিয়ে চোখ বন্ধ করে আরামে শরীরে ঠান্ডা পানির ছুয়া নিবো তখন লক্ষ করলাম শরীরে গরম কি যেনো পড়ছে। চোখ খুলে দেখি ঝর্না দিয়ে রক্ত পরছে। ওহ্ শিট। এটা কিভাবে সম্ভব। আমার শরীরে রক্ত ভরা। চোখে মুখে রক্ত। বালতির ফ্রেশ পানি দিয়ে ধুয়ে তাকিয়ে দেখি নাহ পানি তো নরমাল আর রক্ত তো নেই। কি আজব তখন চোখে লাল লাল রক্তের মতো লাগলো। এখন এসব.
|
যাইহোক ক্লান্তি লাগছে তাই হয়তো মনের ভুল।
আবার কল ছেড়ে দেখলাম পানি পরছে কিন্তু রক্তের মতো গরম ভাব। পরে মনে পরলো ওহ ট্যাঙ্কির পানি হয়তো গরম হয়ে গেছে রোদের তাপে। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে গোসল সেরে বের হয়ে আসলাম। অনেক ঝামেলা ঘরে জিনিস পত্র এলো মেলো। দেখেই মাথা ঘুরাচ্ছে। ধুর যাইহোক আগে ঘুমিয়ে নেই একটু।
|
পরে ঘুম ভাঙলো রাত ১:৪০। ঘুম ভাঙ্গার কারণ কে যেনো আমার পায়ের দিকে জাজিমের নিচে খচর মচর করছে। মানে জাজিম তুলছে। পায়ে নারা চারা লেগে ঘুম ভেংগে উঠে পরি। অবাক ব্যাপার। তাও রাত ১:৪০ এ। মনের ভুল না তো?
|
শুয়া থেকে হালকা উঠে চার পাশ তাকিয়ে দেখি এদিক সেদিক ছিটে ফোটা রক্ত লেগে আছে। এবার তো আমি পুরো দমে ভয় পেয়ে গেলাম। এবার উঠে বসে চোখ মুছে দেখি.?
|
|
|
|
আজকে এই পর্যন্তই। অল্প দিয়েছি তবে সাপোর্ট পেলে চালিয়ে যাবো।
পরবর্তী গল্প পেতে আমার আইডি ফলো করুন।
ধন্যবাদ.
আমি Ushar। , Narayanganj। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 16 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 7 টিউনারকে ফলো করি।