সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে টেনশন বাড়ছে। টেনশন বা উৎকণ্ঠা সবসময় যে খারাপ তা নয়। যেমন, পরীক্ষার জন্য টেনশন ভাল ফল করতে সহায়তা করে। কিন্তু সব সময় উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকলে নানারকম অসুখ বিসুখ হতে পারে। বিশেষত দীর্ঘদিন টেনশন থেকে যেসব অসুখ হতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে: ১. উচ্চ রক্তচাপ ২. ডায়বেটিস ৩. হার্টের বিভিন্ন সমস্যা ৪. পেপটিক আলসার ৫. হজমে সমস্যা ৬. স্ট্রোক ৭. হতাশা ও ৮. রোগ প্রতিরোধ সমস্যা কমে যাওয়া।
তাই বর্তমান প্রজন্ম টেনশন থেকে মুক্তি চাচ্চে। এ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া একেবারে অসম্ভব। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে টেনশন মুক্ত হওয়া যায়।
টেনশন থেকে মুক্তির উপায় অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। আজ এর সহজ কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।
কি করলে টেনশন ফ্রি থাকা সহজতর হবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো- টেনশনের সময় ফাঁকা জায়গায় কিছুক্ষন হাটাহাটি করা। এতে টেনশন অনেকটা কমে যায়।
এছাড়াও-
১. চেয়ারে বসে কাজ করতে হলে, মাঝে মাঝে চেয়ারে সারা শরীর ছড়িয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলে উপকার হয়।
২. টেনশন থেকে মুক্তির ভালো উপায় হলো মেডিটেশন। ঘুম থেকে উঠে বা ঘুমাতে যাওয়ার সময় কিছুক্ষণ মেডিটেশন করলে টেনশন মুক্ত থাকা যায়।
৩. নিয়মিত ব্যয়াম করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, ত্বক উজ্জ্বল হয়, বয়সের চাপ ঠেকাতে সহায়ক এবং টেনশন দূরীভূত হয়।
৪. কোন কারণে মনের মধ্যে টেনশন তৈরি হলে, মন অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কোনো ফাঁকা জায়গা বা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে হবে ও ছাড়তে হবে।
৫. ভালো বন্ধুদের সাথে মিশতে হবে। ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বন্ধু অনেক মানসিক ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬. প্রার্থনার মাধ্যমে মনে কথাগুলো আল্লাহ তা'য়ালারর নিকট খুলে বললে নিজেকে হালকা অনুভূত হয়। টেনশনের মাত্রা কমে আসে।
৭. সারাদিন কাজ শেষে বিছানায় শরীর ছড়িয়ে দিতে হবে। মনে কোনো চিন্তা আনা যাবেনা এ সময়।
৮. বিছানায় শুয়ে জোরে জোরে শ্বাস প্রশ্বাস নিলে অনেক উপকার হয়। উপুর হয়ে শুয়ে ৫-১০ মিনিট শ্বাস নিলে শ্বাস প্রশ্বাসের চলাচল বৃদ্ধি পায়।
৯. সবকিছু হালকাভাবে নিতে হবে। কোনো সমস্যার বিষয় নিয়ে পড়ে থাকা বা বারবার তা নিয়ে চিন্তা করা ঠিক নয়।
১০. সঙ্গীর সাথে সময় দেয়া। বাসার ছাদে, বাড়ির উঠোনে, দর্শনীয় সবুজ লতাপাতা সমৃদ্ধ এলাকায় কিংবা নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে মন পরিষ্কার থাকে। টেনশন ভর করার সুযোগ থাকেনা।
এ সকল পদ্ধতি অবলম্বনের পাশাপাশি একটা কথা সবসময় মাথায় রাখতে হবে, তা হলো- সারাক্ষণ নিজেকে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। এভাবে ১ মাস প্রেক্টিস করলে স্বাভাবিক অভ্যস্ততা চলে আসবে। ফলে টেনশন ভর করার সুযোগই পাবেনা। এ নিয়মগুলো অনুসরন করলে অবশ্যই টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। নানারকম অসুখ বিসুখ থেকেও মুক্তি মিলবে।
আমি আবু মো ফজলে রোহান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।