একটি সফল ব্লগ টিউন আপনার ওয়েবসাইটকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, কারণ আপনি হয়তো এটা জানেন একটিমাত্র আর্টিকেল কয়েক লক্ষ ভিজিটর আনার জন্য যথেষ্ট।
আপনি যদি একটি মাত্র আর্টিকেল থেকে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে চান এবং গুগলের প্রথম পেইজে রেংক করতে চান তাহলে নিশ্চয়ই আপনার আর্টিকেল তথ্য বহুল হতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায় আমরা এমন কোন আর্টিকেল লিখে ফেলি, যে সমস্ত আর্টিকেলগুলো থেকে আমাদের ওয়েবসাইটে কোন ভিজিটর আসে না. অর্থাৎ এই পোস্টগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে সীমাবদ্ধ থাকে।
আর আমরা টিউন লেখার সময় নানান রকমের ভুল করে থাকি যার কারণে আমাদের টিউন থেকে তেমন একটা সফলতা পায় না, এই আর্টিকেল থেকে আমরা কোন ভিজিটর পাইনা।
সময় নষ্ট করে যখন আপনি অনেক বড় একটি আর্টিকেল লিখেন এবং এই আর্টিকেল থেকে কোন রকমে ভিজিটর না পান, তখন আপনি নিশ্চয়ই হতাশ হয়ে যান।
আপনি নিশ্চয়ই তখন নতুন আরেকটি আর্টিকেল লিখার উৎসাহ কে হারিয়ে ফেলেন, আপনি অনেক হতাশ হন এবং অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই হতাশ আপনাকে কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
এ জন্য আপনাকে অবশ্যই এরকম একটি আর্টিকেল লিখতে হবে যে আর্টিকেল সবাই অবশ্যই পড়তে চাইবে, এবং এই আর্টিকেল থেকে আপনি ভিজিটর পাবেন।
আর আজকের এই পোস্টটিতে আমি আলোচনা করব কিভাবে একটি আর্টিকেল লিখবেন যে আর্টিকেল সবাই অবশ্যই পড়তে চাইবে।
একটি আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে অবশ্যই ওই বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে research করতে হবে, এবং আপনাকে আগে এই বিষয়ে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে.।
কারণ আপনি যখনই কোনো একটি বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখে যাবেন তখন আপনার ওই বিষয়ের প্রতি অ্যাডভান্স লেভেলের ধারণা থাকতে হবে.
তাছাড়া আপনি যদি কাউকে কোন বিষয়ে শিখাতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমেই এই বিষয়টি শিখতে হয়, এবং ওই বিষয়টিকে নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার পর সফলতা পাওয়ার পরেই আপনি এটি অন্য কাউকে শিখাতে যাবেন.।
আপনি যখন কোন একটি আর্টিকেল লিখতে যাবেন তখন আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেল নিয়ে প্রথমে গুগলে সার্চ করে দেখতে হবে, এবং তারপরে প্রথম পজিশনে থাকা সমস্ত আর্টিকেল গুলো মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে.।
আপনি যখন বেশ কয়েকটি আর্টিকেলে মনোযোগ সহকারে পড়ে যাবেন তখন আপনি এই বিষয়টি সম্পর্কে অ্যাডভান্স লেভেলের ধারণা পেয়ে যাবেন. এখন তখন আপনি এই সম্পর্কে কাউকে শিখানোর জন্য যথেষ্ট হবেন.।
আপনি নিশ্চয়ই এই সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত আছেন যে একটি মাত্র ইমেজ কয়েক হাজার শব্দের কথা বলে, এবং ইমেজ ভিজিটরকে এই পোস্টটি বুঝতে সহায়তা করে.।
এক্ষেত্রে আপনি যখন কোন একটি আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনাকে অবশ্যই ওই আর্টিকেল রিলেটেড ইমেজ যুক্ত করে নিতে হবে, এছাড়াও ইনফোগ্রাফিক আপনি চাইলে যুক্ত করতে পারেন।
তবে একটি বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আর সেটি হলো, আপনি যখন ইমেজ যুক্ত করবেন তখন এই ইমেজ অবশ্যই আর্টিকেল রিলেটেড হিসেবে যুক্ত করবেন. এক্ষেত্রে কোন কারন ছাড়াই ইমেজ যুক্ত করবেন না।
ইমেজ যুক্ত করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে, আর সেটি হলো, আপনি আর্টিকেল এর একেবারে হেডার সেকশনে কোন ইমেজ যুক্ত করবেন না.
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা একটি আর্টিকেল লেখার সময় যে সমস্ত প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করেন ঐ সমস্ত প্যারাগ্রাফ এর সাইজ অনেক বেশি হয়.।
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের আর্টিকেল এর প্যারাগ্রাফ এর সাইজ প্রায় আট দশ লাইনের মতো হয়ে থাকে, যেটা আপনার আর্টিকেল রিডার এর জন্য ওভার ওয়ার্মিং.।
কারণ কেউ এত লম্বা প্যারাগ্রাফের কোন টিউন কন্টিনিউ করতে চাইবে না, এক্ষেত্রে যে কেউ আপনার আর্টিকেল থেকে লিভ নিবে এবং আপনার সাইটের বাউন্স রেট বাড়িয়ে নিতে.।
আর যখন আপনার ওয়েব সাইটের বাউন্স রেট বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার রেংকিং ড্রপ হবে, আর আপনি কখনই আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং drop হতে দিবেন না।
শুধু যে আপনার ওয়েবসাইটে রেংকিং ড্রপ হবে তা কিন্তু নয়, এটি ভিজিটরকে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি ক্ষুব্ধ করে তুলবে, ফলশ্রুতিতে তারা আপনার ওয়েবসাইটের কোনো আরটিকেল পড়তে চাইবে না.।
আর তাই অবশ্যই যেকোনো একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে প্যারাগ্রাফ এর দিকে নজর দিতে হবে, এবং ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ এর সাথে আর্টিকেল গড়ে তুলতে হবে.
যে কেউ আপনার পোস্টটি করতে কতটুকু আগ্রহী হবে সেটা শতভাগ নির্ভর করবে আপনার আর্টিকেল টাইটেল এর উপর.।
আর কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আর্টিকেল টাইটেল এর উপর নির্ভর করে আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে ভিজিটররা প্রবেশ করবে কিনা, এবং ক্লিক উপর নির্ভর করে আপনার আর্টিকেল ভিউ.।
যখন কোন ভিজিটর আপনার আর্টিকেল টাইটেল দেখবে তখন এটি তাদের পছন্দ হলে এতে তারা ক্লিক করবে, আর মূলত আপনি তাদের ক্লিকের অপেক্ষায় থাকছেন.।
এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটের রেংকিং এবং ক্লিক বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেল টাইটেল খুব ভালোভাবে তৈরি করতে হবে.।
আপনি চাইলে আপনার টাইটেল এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের কিওয়ার্ড free, Positive, prove ইত্যাদি যুক্ত করতে পারেন, এগুলো আপনার টাইটেল কে আকর্ষণীয় করে তুলবে.।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি সকালে দৌড়ানোর উপকারিতা সম্পর্কে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করতে চান তাহলে এই আর্টিকেলের টাইটেল নিম্নোক্তভাবে দিতে পারেন.।
"সকালে দৌড়ানোর উপকারিতা, নাম্বার 5 আপনাকে চমকে দিবে""
যখনই আপনি আপনার টাইটেল এর মধ্যে এরকম কোন আকর্ষণীয় কিছু ঢুকিয়ে দিবেন তখন ভিজিটররা কৌতুহল প্রবন হয়ে আপনার আর্টিকেল এর টাইটেল এর উপরে ক্লিক করবে.।
তাই অবশ্যই যেকোনো একটি আর্টিকেল যখন আপনি পাবলিশ করবেন তখন ওই আর্টিকেল টাইটেল অবশ্যই সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে।
আর আপনি মূলত উপরে উল্লেখিত উপায়ে একটি আর্টিকেল যদি পাবলিশ করেন তাহলে এটি অবশ্যই যে কেউ করতে চাইবে।
Also Read:
আমি আহমেদ পারভেজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমার ব্লগিং ক্যারিয়ারের সুচনালগ্ন থেকেই লক্ষ্য ছিল একটাই, নিজে থেকে নতুন কিছু তৈরী করবো আর সেটা নিমিষেই বিলীন করে দিবো! আশা করি,পেরেছি!!