স্মার্টফোনের টাচ স্ক্রিন অধিকাংশই ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন হয়। যা অনেক দামি, ও মাল্টিটাচ সনাক্ত করতে পারে।
টাচ সাধারনত ২ প্রকার হয়
১) ক্যাপাসিটিভ টাচ
২)রেজিষ্টিভ টাচ
■ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন:
ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন হল ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জ ধারনে সক্ষম উপাদানের প্রলেপযুক্ত গ্লাস প্যানেল। এটি ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জ ধারন করে রাখে। আমরা জানি মানুষের শরীর ও ইলেক্ট্রিক্যাল চার্জ ধারন করতে পারে। যখন মানুষের আঙ্গুল ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিনের কোন স্থানে স্পর্শ করে তখন ঐ স্থানের কিছু চার্জ আঙ্গুলে স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে কমে যায়। টাচ স্ক্রিনের সাথে সংযুক্ত বিশেষ সার্কিট বুঝতে পারে ঠিক কোন স্থানের চার্জ কমে গেছে। সার্কিটটি সেই স্থানের অবস্থান সিস্টেমকে জানায়। এবং সিস্টেম আঙ্গুলের স্পর্শ করার স্থানের কমান্ডটি এক্সিকিউট করে। এপলের আইফোন, আইপ্যাড ইত্যাদিতে সাধারনত ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়। ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিনের সুবিধা/অসুবিধা সমূহ নিম্নরুপ:
■সুবিধা:
অত্যন্ত টাচ সেনসিটিভ।
মাল্টিটাচ অর্থাৎ একসাথে একাধিক বিন্দুর টাচ সনাক্ত করতে পারে।
উজ্জ্বল সূর্যালোকে ও ডিসপ্লে ভাল দেখা যায়।
ধুলিকণার দ্বারা টাচ সিস্টেম প্রভাবিত হয় না।
মসৃণ ও চকচকে ডিসপ্লে।
■অসুবিধা:
টাচ কাজ করার জন্য আঙ্গুলে কমপক্ষে ৫ শতাংশ আদ্রতা থাকতে হবে।
রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের তুলনায় ব্যয়বহুল।
বিদ্যুৎ অপরিবাহী বস্তুর সাথে কাজ করে না। যেমন: নখ, দস্তানা ইত্যাদি।
এটি নতুন প্রযুক্তি বিধায় অনেক কিছু উন্নয়ন সাধন বাকি আছে।
■রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিন:
রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিন হল তিন স্তর বিশিষ্ট গ্লাস প্যানেল। এর মধ্যে দুটি স্থর হল কন্ডাকটিভ এবং রেজিষ্টিভ। তৃতীয় এবং উপরেরস্থরটি মূলত অপর দুটি স্তরকে স্ক্রেচ বা আঁচর থেকে রক্ষা করে। যখন মানুষের আঙ্গুল রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের কোন স্থানে স্পর্শকরে তখন ঐ স্থানে কন্ডাকটিভ এবং রেজিষ্টিভ স্থরের মধ্যে সংযোগ ঘটে। এর ফলে ঐ স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য হয়। যা টাচ স্ক্রিনের সাথে সংযুক্ত বিশেষ সার্কিট বুঝতে পারে ঠিক কোন স্থানে বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য হয়েছে। সার্কিটটি সেই স্থানের অবস্থান সিস্টেমকে জানায়। এবং সিস্টেম আঙ্গুলের স্পর্শ করার স্থানের কমান্ডটি এক্সিকিউট করে। আগের নোকিয়ার টাচ ফোনগুলোতে সাধারনত রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের ব্যবহার বেশি লক্ষকরা যায়। রেজিষ্টিভ টাচ স্ক্রিনের সুবিধা/অসুবিধা সমূহ নিম্নরুপ:
■সুবিধা:
অপেক্ষাকৃত সস্তা।
যে কোন বস্তু দ্বারা ব্যবহার করা যায়। যেমন: পেন, স্টাইলাস, নখ ইত্যাদি।
আঙ্গুলের যে কোন আদ্রতায় কাজ করতে পারে। এমনকি দস্তানা পরা অবস্থায় ও কাজ করে।
■অসুবিধা:
মাল্টিটাচ অর্থাৎ একসাথে একাধিক বিন্দুর টাচ সনাক্ত করতে পারে না। তবে গবেষনা চলছে।
ধুলিকণার দ্বারা টাচ সিস্টেম প্রভাবিত হয়।
টাচে যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে হয়, তাই ভেঙ্গে যাওয়ার ভয় থাকে।
আঁচরের ফলে কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমি মোঃ সোলায়মান মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।