বর্তমানে মোবাইল ফোনগুলোর বাজারে বাজেট ফোনের অভাব নেই। সেই বাজেট ফোনের আবার অনেক ধরনও রয়েছে। বাজেট ফোনের দিক দিয়ে কিছু বছর ধরে ভালো রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে 'শাওমি' মোবাইল ব্র্যান্ড। যেটা অন্য মোবাইল ব্র্যান্ড খুব করেছে।
২০২০ সালের, ১১ আগস্ট তারিখে 'শাওমি' তাদের একটি ফোন রিলিজ করেছিলো। যেটার নাম ছিলো 'রেডমি কে ৩০ আল্ট্রা'। 'শাওমি'র এই ফোনের মডেলটি ভালোই সারা ফেলেছিলো মোবাইলের বাজারে।
আজ এসেছি সেই ফোনটি নিয়ে কিছু কথা বলতে। নিচে এই ফোনের ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে বলা আছে। এক নজরে দেখে আসা যাক এই ফোনের কিছু তথ্যঃ
'শাওমি' তাদের এই ফোনে বডি ডিমেনশন দিয়েছে ১৬৩.৩×৭৫.৪×৯.১ মি.মি.। যার ওজন ৭.৫১ ওজেড অথবা ২১৩ গ্রাম। ফোনের সামনে এবং পিছনের বডিতে রয়েছে 'গরিলা গ্লাস ৫' এর প্রটেকশন। যেটা অবশ্যই এই ফোনের একটি ভালো দিক। তবে, এর ফ্রেমটি হচ্ছে প্লাস্টিকের। থাকছে ডুয়্যাল সিম ব্যবহারের সুবিধা।
এই ফোনে রয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির একখানা এমোলেড প্যানেলের ডিসপ্লে। যেটা এইচডিআর ১০+ এবং স্ক্রিন থেকে এর বডির রেশিও ৮৭.২%। এই ডিসপ্লের রেজুলেশন ১০৮০×২৪০০ পিক্সেলের। আর গরিলা গ্লাসের প্রটেকশন তো থাকছেই। তবে সেটি কোন ভার্সনের তা জানা যায়নি।
এই ফোনের প্লাটফর্মে রয়েছে এম আই ইউ আই ১২ ভার্সন, সাথে অ্যান্ড্রয়েড ১০। এর প্রসেসর হচ্ছে 'মিডিয়াটেক এমটি৬৮৮৯জেড ডিমেনসিটি ১০০০+'। যেটা ৭ ন্যানোমমিটারের একটি অক্ট্যা কোর প্রসেসর।
ব্যাকঃ এই ফোনের পিছনে রয়েছে মোট ৪টি ক্যামেরা। সেগুলো হচ্ছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড, ১৩ মেগাঃ'র আল্ট্রাওয়াইড, ৫ মেগাঃ'র টেলিফটো মেক্রো এবং ২ মেগাঃ'র ডেপথ সেন্সর। এর সাথে থাকছে ডুয়্যাল এলইডি ফ্ল্যাশের সাথে এইচডিআর মোড। যা দিয়ে ৪কে রেজুলেশনের ভিডিও সুন্দর ভাবেই রেকর্ড করা যায় এই ফোনে।
ফ্রন্টঃ এই ফোনের সামনে রয়েছে ২০ মেগাপিক্সেলের একটি ওয়াইড পপ আপ ক্যামেরা। এইচডিআর মোডের এই ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করা যাবে ১০৮০'পি পর্যন্ত রেজুলেশনের ভিডিও।
'শাওমি' তাদের এই ফোনটি বের করেছিলো চারটি ভ্যারিয়্যান্টে। সেগুলো হচ্ছে ৬/১২৮, ৮/১২৮, ৮/২৫৬ এবং ৮/৫১২ জিবি'র ভ্যারিয়্যান্ট। এই ফোনে থাকছে না কোনো মেমোরি কার্ড স্লট।
'শাওমি' তাদের এই ফোনে বরাবরের মতো ৪জি নেটওয়ার্কই রেখেছে৷ তবে দিন কাল তো পরিবর্তনের সময় এলো হে শাওমি!
সাউন্ড সেগমেন্টে এই ফোনের জবাব ছিলো না। যেকোনো মিউজিক খুব সুন্দরভাবেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছিলো এর স্পিকারে। তবে এই ফোনে দেয়া হয়নি ৩.৫ মি.মি.'র ইয়ারফোন জ্যাক।
এই ফোনে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং পোর্টসহ দেয়া হয়েছে ৪৫০০ এমএইচের ব্যাটারী।
ফোনের সিকিউরিটি ফিঙ্গারপ্রিন্টটি দেয়া হয়েছে এর এমোলেড ডিসপ্লের ভিতরে, নিচে মাঝামাঝি জায়গায়।
যেসব পরিবর্তন রয়েছে এই ফোনেঃ
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ৩.৫ মি.মি. ইয়ারফোন জ্যাক না দেয়া এবং মেমোরি কার্ড স্লট না দেয়ার মধ্যেই রয়েছে এই ফোনের পরিবর্তন। হয়তো 'শাওমি' তাদের এই মডেলটিকে অন্য রকম ভাবে তুলে ধরতে চেয়েছিলো বলে এই পরিবর্তন।
বর্তমানে আমাদের দেশে নেই এর অফিসিয়াল কোনো ভ্যারিয়্যান্ট। আনঅফিসিয়ালি চারটি ভ্যারিয়্যান্টই রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:
৬/১২৮ ভ্যারিয়েশনঃ- ৳২৪, ৭০০
৮/১২৮ ভ্যারিয়েশন- ৳২৭, ২০০
৮/২৫৬ ভ্যারিয়েশিন- ৳৩০, ৯০০ এবং
৮/৫১২ ভ্যারিয়েশন- ৳৩৩, ৪০০।
আমি মোঃ ইউসুফ আলী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
প্রিয় টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘ট্রাসটেড টিউন’ হিসেবে বিবেচিত হলো না।
কারণ:
টেকটিউনস ‘ট্রাসটেড টিউন’ হিসেবে শুধুমাত্র স্পেসিফিকেশন ভিত্তিক ফোন রিভিউ ও গ্যাজেট রিভিউ টেকটিউনস ‘ট্রাসটেড টিউন’ হিসেবে বিবেচিত হয় না। টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে আপনার ফোন রিভিউ ও গ্যাজেট রিভিউ ফরমেট অবশ্যই এই টিউনের মত হতে হয়।
করনীয়:
টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে আপনার ফোন রিভিউ ও গ্যাজেট রিভিউ করতে রিভিউ ফরমেট অবশ্যই এই টিউনের মত করুন।
আপনার পরবর্তী টিউনে নির্দেশিত এই গাইডলাইন মেনে টিউন করুন।