আমাদের পূর্ববর্তী একটি ভিডিওতে একজন টিউমেন্ট করে প্রসেসর সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তো আজকের এই ভিডিওতে প্রযুক্তিকথন টিম ব্যাখ্যা করবে প্রসেসর সম্পর্কে।
এই ভিডিওতে দুটি বিষয় আলোচনা করা হবে। প্রথমে আমরা জানবো প্রসেসর কি এবং কিভাবে কাজ করে, দ্বিতীয়তে জানবো প্রসেসর এর সাথে সাধারণত যে ফিচারগুলো আলোচনায় চলে আসে যেমন ক্লক স্পিড, কোর এগুলো কি। বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=ztW36W7JEdE
১) প্রসেসর একটি চিপ যা আমাদের দেয়া ইন্সট্রাকশন সম্পাদন করতে পারে। আরও সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনি যখন কোন একটি ব্রাউজার বা প্রোগ্রাম ওপেন করেন তখন সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য কিছু হিসাব নিকাশের প্রয়োজন হয় যা করে আমাদের এই প্রসেসর। মানবদেহে যেমন মস্তিষ্ক তেমনি কম্পিউটারে রয়েছে প্রসেসর। একটি সহজ উদাহরণ দ্বারা বিষয়টা ব্যাখ্যা করা যাক। ধরুন আপনাকে কেউ জিজ্ঞেস করলো আপনার নাম কি। আপনি আপনার কান দিয়ে কথাটা শুনবেন। সেই কথা আপনার মস্তিষ্ক প্রসেস করবে এবং উত্তর পাঠিয়ে দিবে আপনার মুখে। তখন আপনি মুখ দিয়ে আপনার নাম বলবেন। ঠিক তেমনি কিবোর্ড, মাউস ঠেকে আসা বিভিন্ন রকম ইনপুট প্রসেস করবে প্রসেসর এবং তার রেসাল্ট আমরা দেখতে পারবো আমাদের স্ক্রিনে। তাই প্রসেসর কে বলতে পারেন কম্পিউটারের মস্তিষ্ক।
২) এবার চলে আসা যাক প্রসেসর এর সাথে যেই প্রধান ফিচার বা বৈশিষ্ট্যগুলো থাকে সেগুলোতে। এই পয়েন্টে আমরা তিনটি বিষয় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো। প্রথমে আসি ক্লক স্পিডে। এটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। প্রসেসর কিনতে গেলেই এটি দেখতে পাওয়া যায়। কোন প্রসেসর এর স্পিড 2.8GHz আবার কোনটির 3.5GHz. স্বভাবতই আমরা বুঝতে পারি যে সংখ্যাটা যত বড় হবে প্রসেসর এর স্পিড হবে তত বেশি। এবার বিষয়টার একটু গভীরে ঢোকা যাক। আমরা পানি যেমন মাপি লিটারে, চাল কেজিতে ঠিক তেমনি প্রসেসর এর স্পিড মাপার মাত্রা হচ্ছে এর ক্লক স্পিড যা GHz দিয়ে প্রকাশ করা হয়। একটি বৃত্ত কল্পনা করুন। নির্দিষ্ট একটি সময়ে একটি প্রসেসর এ বৃত্তকে যতবার ভ্রমণ করতে পারে সেটাই হচ্ছে তার ক্লক স্পিড। কোন প্রসেসর এর স্পিড যদি থাকে 2.8Ghz এর মানে সেই প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে 2.8 * 10^ 9 অর্থাৎ সেই প্রসেসরটি এক সেকেন্ডে 2800000000 বার বৃত্তটি ঘুরতে সক্ষম। 3.5GHz স্পিড সম্পন্ন প্রসেসর এক সেকেন্ডে 3500000000 বার ঘুরতে পারে যার ফলে এর স্পিড হয় 2.8GHz এর তুলনায় বেশি।
দ্বিতীয়তে আসি প্রসেসর এর কোর সম্পর্কে। প্রসেসর এর কোর কে খুব সহজেই আমাদের হাতের সাথে তুলনা করা যায়। আপনার যদি দুটি হাত থাকে তাহলে যে পরিমাণ কাজ আপনি করতে পারবেন চারটা হাত থাকলে অবশ্যই তার চেয়ে বেশি কাজ করা সম্ভব। অর্থাৎ যে প্রসেসরের কোর যত বেশি সে তত বেশি মাল্টিটাস্কিং অর্থাৎ একই সময়ে একাধিক কাজ একসাথে করতে পারবে। চারটি কোর সম্পন্ন প্রসেসর দুটি কোর সম্পন্ন প্রসেসরের তুলনায় ভালো পারফরমেন্স দিবে।
তৃতীয়তে আসি ক্যাশ মেমোরি(Cache memory) নিয়ে। প্রসেসরের সাথেই এই মেমোরি সংযুক্ত করা থাকে বলে র্যাম এর তুলনায় এটি দ্রুত কাজ করে। কেন এটি এত দ্রুত কাজ করে তা একটি উদাহরণের সাহায্যে সহজে বোঝা যেতে পারে। ধরুন আপনাকে বলা হলো আপনি এখন যেই জায়গায় বসা তার পাশের জগ থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে আসতে। এই কাজটি আপনি খুব সহজে এবং দ্রুত করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু যদি বলা হয় পাশের বাসার জগ থেকে পানি নিয়ে আসতে তাহলে তা করতে আপনার বেশ সময় লাগবে। প্রসেসরের সাথেই ক্যাশ মেমোরি থাকে বলে এটির ডাটা আনতে কোথাও যেতে হয়না। তাই খুব দ্রুত সে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে। আপনি যে ফাইলগুলো বার বার ব্যবহার করেন প্রসেসর সেইগুলো ক্যাশ মেমোরিতে জমা রাখার চেষ্টা করে যেন পরবর্তীতে সেই ফাইলগুলো ওপেন করতে আপনার কম সময় লাগে।
এই ভিডিওতে প্রসেসর সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারনা দেয়ার চেষ্টা করা হলো। পরবর্তী কোন এক ভিডিওতে আমরা ৩২ বিট এবং ৬৪ বিট প্রসেসর এর পার্থক্য সম্পর্কে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো। বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=ztW36W7JEdE
আমি ওহে ওহে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।