মাইক্রোওয়েব ওভেন যা মাইক্রোওভেন নামেও পরিচিত একটি বুদ্ধিদিপ্ত আবিষ্কার। সাধারন ওভেনের চেয়ে কম সময় ও বিদ্যুতের মাধ্যমে এটি খাবার কে গরম করতে পারে। আজ আমরা জানব এটি কিভাবে আবিষ্কার করা হয়, কিভাবে কাজ করে এবং এর সম্পকে আরো কিছু খুটিনাটি বিষয়।
আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার "পারছি স্পেনসার" কে মাইক্রোওভেন এর আবিষ্কারক হিসেবে ধরা হয়। মাইক্রোওয়েভ এর কাছে কাজ করার সময় তিনি দেখেন যে তার পকেটে থাকা চকলেট এর বার গরম হয়ে গলে যাচ্ছে। সেখান থেমে তিনি মাইক্রোওয়েভ দিয়ে খাবার গরম করার ধারনা লাভ করেন।
মাইক্রোওভেন দিয়ে গরম করার জন্য খাবারে পানি থাকতে হয়। পানির অনুগুলো এক একটি ডাইপোল মানে ছোট চুম্বক। অপরদিকে, মাইক্রোওয়েব এর কারনে ওভেন এর ভিতরে চুম্বকক্ষেত্র উৎপন্ন হয়। পানির ডাইপোলগুলো এই চুম্বকক্ষেত্রের সাথে এলাইন হয় (মানে চুম্বকক্ষেত্র যে দিকে সে দিকে সবাই মুখ ফিরিয়ে থাকে)। এর পর ওভেন এর ভিতরের চুম্বকক্ষেত্রের দিক উল্টে দেয়া হয়। ফলে সবগুলো ডাইপোলও উল্টে যায়। ওভেব এর ভিতর এ ঘটনা (চুম্বকক্ষেত্রের উল্টাউল্টি) সেকেন্ডে ২৪ হাজার কোটি বার এর মত হয়ে থাকে। এতে পানির অনুগুলো অনেকবার দিক পরিবর্তন করে। দিক পরিবর্তন এর সময় একটার সাথে অন্য তার ঘর্ষন হতে থেকে যেখান থেকে তাপ উৎপন্ন হয়। পানি ছাড়াও চিনি ও ফ্যাট এভাবে গরম হতে পারে।
সাধারন ওভেন এ প্রথমে ভিতরের বাতাস গরম হয়। তা থেকে খাবার এর বাইরের দিক তা গরম হয় এবং তাপ ধিরে ধিরে ভিতরে প্রবেশ করে। এতে অনেক সময় লেগে যায় এবং শক্তি অপচয় এর ফলে শক্তি বেশি লাগে। অপরদিকে, মাইক্রোওভেন এ বাতাস গরম হতে হয় না, খাবার ও ভিতর বাহির এক সাথে গরম হয়, তাই সময় ও শক্তি কম লাগে।
আমি সিয়াম হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।