আসসালামু ওয়ালাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই?
আশাকরি ভালোই আছেন।
ঘুমের ভেতরে স্বপ্নে লাফ দেওয়ার পর বিছানা থেকে চমকে উঠে পরার অভিজ্ঞতা হয়ত
অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু আজ আমি স্বপ্নে নয় বাস্তবে লাফ দেওয়া সম্পর্কে বলব।
ঘাবরাবেন না আপনাদেরকে লাফ দিতে বলব না। এখন যে লোকটির কথা বলব তিনি বাস্তবেই লাফ দিয়ে ছিলেন আইফেল টাওয়ার থেকে। কেন দিয়েছিলেন এবং তার পর কি হয়েছিল জানতে হলে সম্পূর্ণ Post পড়ুন মনোযোগ সহকারে।
ফ্রান্সের কথা উঠলেই যে বিষটি আসে সেটি হলো প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের। ১৮৮৯ সালে ফ্রান্সে সবচেয়ে উচু টাওয়ার আইফেল এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এর পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে সেগুলোতে না যাই এখন। এখন যে ব্যক্তির কথা বলব তার নাম হলোঃ
Franz Reichelt |
জন্মঃ 1st October 1878
মৃত্যু : 4th February 1912
তিনি অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভুত ছিলেন।
তিনি প্যারাস্যুট নির্মাণ নিয়ে কাজ করতেন। এজন্য তাকে ফ্লাইং টেইলর নামেও ডাকা হত। তিনি বিমানচালকদের জন্য প্যারাসুট নির্মান নিয়ে ভাবতেন। তার এই ভাবনা থাকেই তিনি মনস্থির করেন বিশেষ ধরনের প্যারাস্যুট নির্মান করবেন।
যখন কোন দূর্ঘটনার কবলে পড়বে বিমান তখন তার তৈরি এই বিশেষ ধরনের স্যুট পড়ে বিমান থেকে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষা করবেন পাইলট।
এই ভাবনা থেকেই তিনি একটা বিশেষ স্যুট তৈরি করে ফেললেন। তিনি প্রথম দিকের ডিজাইন করা স্যুট পড়ে পাচ তলা থেকে লাফ দিয়ে সফলতা পান। এজন্য তিনি নিজের আবিস্কার নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট এবং গর্ভবোধ করতেন।
আর মনস্থির করেন তিনি আইফেল টাওয়ারে তার এ আবিস্কার সবার মাঝে তুলে ধরবেন। তিনি স্থির করেন আইফেল টাওয়ারে উঠে তার তৈরি এ স্যুটের পরিক্ষা করবেন এবং সবার মাঝে তার আবিস্কারের সফলতা উন্মোচন করবেন।
এ লক্ষ নিয়ে তিনি বারবার পরিক্ষা করার অনুমতি চেয়ে প্যারিসের প্রিফেকচার অফ পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন। অবশেষে তিনি অনুমতি পেয়ে যান ১৯১২ সালে।
রিচেল্ট ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯১২ সালে আইফেল টাওয়ারে পৌছে ঘোষনা করলেন তার তৈরি এ স্যুট পড়ে তিনি নিজেই পরিক্ষা চালাবেন। যেই কথা সেই কাজ, উঠে গেলেন টাওয়ারের ১ম প্লাটফর্মে। নিচ থেকে তাকে অনেক নিষেধ করা সত্বেও
তিনি কারও কথা শুনলেন না। আবিস্কার আবিস্কার বলে লাফ দিলেন নিচের দিকে। কিন্তু তিনি প্যারাস্যুট মোতায়েনে ব্যার্থ হন এবং ১৮৭ ফুট উচু থেকে পড়ে মারা যান। পরের দিন গনমাধ্যমগুলো নিউজের শীরোনাম দিয়েছিল আইফেল টাওইয়ার থেকে লাফ দিয়ে
"বেপোরোয়া উদ্ভাবকের" মৃত্যু এবং তারা সেই লাফ দেওয়ার ভিডিও ক্লিপও প্রকাশ করেছিল।
লাফ দেওয়ার ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন ঃ https://youtu.be/dgGq-SofJLU
কেমন লাগল ঘটনাটি টিউমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। তো আজ এ পর্যন্তই। দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
আমার ছোট ওয়েবসাইটে ঘুরে আসার অনুরূধ রইল : http://sanzidredoy24.xyz
আমি সানজিদ আহম্মেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।