প্রকৃতির জগতে অপ্রত্যাশিত যা কিছুই ঘটে যায় সেগুলোর যেমন থাকে নেতিবাচক দিক ঠিক তেমনিভাবে কিছু থাকে ইতিবাচক দিক। যেমন একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টিকে জোরালো করতে চাই। কেউ যখন কোন জনপদে একজন মানুষকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে তখন এই কাজটিকে যতই ভয়ংকর মনে করা হউক বা মানবতা-বিরোধী মনে করা হউক না কেন এরও থাকে কিছু ইতিবাচক দিক যদিও কাজটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং অমার্জনীয়। মানুষের সহজাত প্রকৃতিগত ব্যাপার গুলোর মধ্যে একটি হল মানুষ যখন কোন অপরাধ করে বা এর সূচনা করতে চায় তখন তাদের বিচারবুদ্ধি বা বিবেচনাশক্তি লোপ পায় কোন এক অদৃশ্য কারণেই। মানুষ যখন নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারায় তখন এর প্রতিক্রিয়া এমনভাবে প্রকাশ পায় যে, সে নিজেই তার মন্দ কর্মনীতির দ্ধারা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার হিংসাত্মক মনোভাবের প্রতিফলন কিংবা তার ধ্বংসাত্মক কাজের প্রতিক্রিয়া দ্ধারা যারা প্রভাবিত হয় তারাই শুধু ক্ষতিগ্রস্থ হয় না বরং সেই ক্ষতির দ্বায়ভার বিভিন্নভাবে অপরাধী নিজেও বহন করে বেড়ায়। অন্তরজগতে নিরব কান্না জমে থাকা এবং তার আত্মচিৎকার কিভাবে তার বিবেক সত্মাকে দংশন করছে প্রতিনিয়ত সেটা মানুষ তার চর্মচোখে দেখতে পায় না। এমন একটি বোঝা যিনি বহন করছেন তিনিই জানেন তা বহন করা কতটা কঠিন ও কতটা যন্ত্রনাদায়ক। অবশ্য জগতে এমন কতিপয় মানুষও আছে ধ্বংসাত্মক কর্মনীতির পথ অবলম্বন করেও তারা শঙ্কামুক্ত। এই অবস্থা যাদের মধ্যে তৈরি হয় বুঝে নিতে হবে তাদের মানবিক ও নৈতিক অবনতি ষোল কলায় পূর্ণ। একটি হত্যার ইতিবাচক দিক হল হত্যাকারী বিচারের সম্মুখিন হয় ফলে ইহা জনপদবাসীর জন্য শিক্ষনীয় বিষয় হয়ে যায়। আর যদি সেই হত্যাকারী প্রভাবশালী হয় তাহলেও তার রেহাই মিলে না কারণ অনেক টাকা পয়সা খরচ করে উকিল নিযুক্ত করে তার আইনের পিছনের দরজা অনুসন্ধান করতে হয় এবং সে হয়ত ততদিন পর্যন্ত শান্তিতে নিদ্রায় যেতে পারে না। আর যদি হত্যাকারী পুলিশের চোখ ফাকি দিতে পারে তবুও তার নিস্তার নেই সে হয় ফেরারী আসামী। এই সমস্ত লোক আর আপনজনের নিকট ফিরে আসতে পারে না। স্ত্রী সন্তান থাকলে তাদেরকে গাইডলাইন দিতে পারে না ফলে তারা হয় সমাজের কাছে লাঞ্চিত হয় কিংবা নৈতিক পথ হারায়। যাকে হত্যা করা হয় সেই পরিবারটির অবস্থাও হয় করুন। তাদের আত্মচিৎকারে সেই জনপদের আকাশ ভাড়ি হয়ে যায়। সেই জনপদের বাতাশ ভর করে দুঃখ বেদনার পাখায় ফলে জনপদবাসীর প্রশান্ত হৃদয় সেই বাতাশ করে উত্তপ্ত। এর মাঝে মানুষের জন্য বহু শিক্ষনীয় বিষয় লুকিয়ে থাকে। কিছু মানুষ তখন সত্যি সত্যি একজন মানুষের শুন্যতা কিংবা একজন মানুষের মূল্য অনুধাবন করার চেষ্টা করে। বিশ্বস্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে বিবেকসত্মা দান করেছেন ফলে মানুষ কোনটি ভাল আর মন্দ সেই বিষয়টি উপলদ্ধি করতে পারে। এই গুনাবলীর কথা ভুলে গিয়ে কোন ইহলৌকিক বা পারলৌকিক হীন স্বার্থ যখন মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দেয় তখনই মানুষ নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলে তখন সৃষ্টিকর্তা সেই মুহুর্তে তার দায়িত্ব ছেড়ে দেন, তার মর্যাদাকে রহিত করেন অতপর তার জন্য অন্যায় কাজটি সহজ করে দেন। পারলৌকিক শব্দটি দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে তাই বিভ্রান্ত হবেন না। কিছু লোক আছে এমন যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে অন্যের ক্ষতি সাধন করে, তারাই এর অর্ন্তভুক্ত যদিও তারা মনে করে আসলে তারা ভাল কাজটি করছে। আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিলে মারামারি হয়। আহলে হাদীস গ্রুপের সঙ্গে কওমী গ্রুপের মারামারি হয়। এক পীরের অনুসারীদের সঙ্গে অন্য পীরের অনুসারীদের মধ্যে মারামারি হয়। শুনেছি ছাত্রলীগ বা কমিউনিষ্ট জামাত শিবির পিটানোকে নাকি পূন্যের কাজ মনে করে আর জামাত শিবিরও নাকি অনেকটা তাই মনে করে। আসলে অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে এই সমস্ত ঝগড়া বিবাদ বা মারামারির কোন নৈতিক ভিত্তি নেই। হৃদয় জগতে যদি শুধু এই অনুভতি জাগ্রত থাকে যে, অন্য একজন মানুষ সেও আমারই মত আদম সন্তান, আমরা একই পিতা-মাতার সন্তান, প্রকৃতির জগতে আমার যতটুকো অধিকার তারও ততটুকো অধিকার রয়েছে, তাহলে কেমন করে সম্ভব যে, সে অন্যে একজন মানুষের ক্ষতি কামনা করবে? সমগ্র দুনিয়াব্যাপী আজ মানবমন্ডলির একটি বিরাট অংশ মৌলিক উপকরণ থেকে বঞ্চিত যেমন আহার বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসা ইত্যাদি। ভাগ্যহত এই আদম সন্তানদের কষ্ট শ্রবন করার মত মানুষ জগতে খুব কমই আছে। দুনিয়াব্যাপী সম্পদের সম-বন্টন না থাকায় ভাগ্যহত আদম সন্তানদের জীবন সংকট দিন দিন ভয়ংকর রূপ পরিগ্রহ করছে। তাদের অন্তরজগতে লুকিয়ে থাকা নিরব কান্না বা চিৎকার প্রকৃতির জগতকে করছে অভিশপ্ত ফলে প্রকৃতির বুকে তৈরি হচ্ছে বহুবিদ সমস্যা। চলমান সময়ের আলোচিত বিষয় “করোনা ভাইরাস” হতে পারে প্রকৃতির একটি প্রতিশোধ। একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি আমেরিকা থেকে করোনা ভাইরাসকে এভাবেই উপস্থাপন করেছেন এবং আরও অনেকেই একে বলছেন প্রকৃতির প্রতিশোধ মাত্র। সুতরাং মানব মন্ডলি যদি এর পরও তাদের মৌলিক দায়িত্বের বিষয়টি ভুলে যায় তাহলে ধরে নিতে হবে কল্যান তাদের ভাগ্যে নেই। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে “জলে স্থলে যে সমস্ত বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো মানুষের দুই হাতের কামাই” আল কুরআন।
করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক দিক:
১। সমগ্র দুনিয়াব্যাপী এক্সপোট-ইমপোর্ট অনেক কমে যাওয়ায় অসংখ্য মানুষ আর্থিক সংকটের মধ্যে নিপতিত।
২। বেকারত্ব ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। যারা পার্টটাইম কাজ করত তাদেরও কাজ নেই।
৩। কেনা-বেচায় ধস নেমেছে ফলে লোকাল ব্যবসায়ীদের আর্থিক সংকট লক্ষ্য করার মত।
৪। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উঠিয়ে দেওয়ার কারণে তাদের অনেককেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাঠাতে হচ্ছে।
৫। মানব-মন্ডলির একটি বিরাট অংশ রোগ নিয়ে যন্ত্রনার মধ্যে বাড়িতে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। কারণ হাসপাতালে যেতে পারছে না।
৬। বিভিন্ন রোগের কারণে যাদের নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হয় তারা আছে বড় সমস্যায় কারণ অধিকাংশ ফার্মেসী বন্ধ।
৭। ভয় চিন্তা মানুসিক অস্থিরতা মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
৮। চাকুরীজীবি ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক সংকটের ফলে পারিবারিক অশান্তি বেড়ে যাচ্ছে।
৯। অসংখ্য মানুষ বাসা ভাড়া দিতে পারছে না ফলে বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে ভাড়াটিয়ার দূরত্ব বাড়ছে।
১০। স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে।
১১। সমগ্র দুনিয়াব্যাপী সরকারের রাজস্ব আয় অনেক কমে যাচ্ছে ফলে সরকারদের রাষ্ট চালাতে হিমশিম খেতে হবে।
১২। দরিদ্র রাষ্টগুলোকে রাষ্ট চালানোর জন্য ঋণ নিতে হবে।
১৩। এই ঋণের বোঝা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জন সাধারনের উপর গিয়ে পড়বে।
১৪। সমগ্র দুনিয়াব্যাপী উৎপাদন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে।
১৫। পণ্যের উৎপাদন কমে গেছে ফলে চাহিদা মাফিক পণ্য সরবরাহ সম্ভব নয়।
১৬। যে সমস্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী বেশী সেই সমস্ত রোগী নিয়ে পরিবার ও সরকারগুলো বিপাকে।
১৭। অসংখ্য মানুষ করোনার আলামত থাকার পরও ভয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে না।
১৮। শহরে বন্দরে মহল্লায় চেম্বারে ডাক্তার নেই। অসংখ্য মানুষ ডাক্তার খুঁজে পাচ্ছে না।
১৯। রাস্তায় মাজারে যাদের দিন রাত কাটে সেই সমস্ত ভাগ্যহত আদম সন্তানদের মধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে কারণ তারা পথচারীর সাহায্য নিয়ে চলে।
২০। মানুষ মসজিদে উপাসনালয়ে যেতে পারছে না।
২১। স্তব্দ সমাজ ও অভিবাবকদের আর্থিক সংকটের প্রভাব শিশু-বৃদ্ধ ও রোগীদের উপর গিয়ে পরেছে ফলে তাদের যতটুকো সাপোর্ট পাবার কথা ছিল পাচ্ছে না।
২২। বিবাহ শাদী বন্ধ। জন্মদিন বন্ধ। ম্যারিজ ডে বন্ধ।
২৩। ঋণদাতা ঋণ গ্রহিতাকে খুঁজে পাচ্ছে না।
২৪। ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না।
২৫। পতিতালয় গুলোতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে কারণ খদ্দের কমে গেছে।
২৬। শেষ পর্যন্ত ভ্রাতৃত্বে আঘাত করেছে। এক আত্মীয় অন্য আত্মীয়ের বাসায় যেতে পারে না, ঢুকতে দেয় না কিংবা আসতে বারণ করে। একে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে চায় না। আমি নিজেই আমার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি, তারপর আমি ফেরত এসেছি অথচ আমি এক মাইল পায়ে হেটে গিয়েছি আসলে এই কর্মনীত কখনোই মানুষের জন্য কল্যান বয়ে আনবে না। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে “তোমাদের প্রচেষ্টায় কিছুই হয় না যদি আল্লাহ না চান”।
করোনা ভাইরাসের ইতিবাচক দিক:
১। সমগ্র দুনিয়াব্যাপী মানুষ সচেতন হচ্ছে।
২। মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে।
৩। মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে বেশী ডাকছে।
৪। মানুষ সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছে।
৫। মানুষ পরিবারকে বেশী সময় দিচ্ছে যা তাদের প্রাপ্য ছিল।
৬। অসংখ্য মানুষ অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত থাকছে।
৭। অসংখ্য মানুষ মদপান থেকে বিরত থাকছে।
৮। অসংখ্য মানুষ ধুমপান থেকে বিরত থাকছে।
৯। সামগ্রিক অনিশ্চয়তার ফলে মানুষের মধ্যে আত্ম সংযমি হওয়ায় পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
১০। অসংখ্য জুয়ার আসর বন্ধ।
১১। দুনিয়াব্যাপী কোটি কোটি ফিমেল স্কট অবৈধ যৌনাচার থেকে বিরত।
১২। অবৈধ যৌনাচার, মদ, জুয়া, ধুমপান চর্চা হ্রাস পাওয়ায় অর্থ অপচয় হচ্ছে না।
১৩। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার রোগের প্রাদুর্ভাব কমবে।
১৪। একটি মাত্র ক্ষদ্র অস্তিত্বহীন অথচ শক্তিমান ভাইরাসের বিশ্বময় নেতিবাচক প্রভাবে অসংখ্য মানুষের মধ্যে শক্তির বড়াই অহমিকা কমেছে।
১৫। অভিবাবকবৃন্দ ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছে।
১৬। অভিবাবকবৃন্দ সন্তানদের ভাল থাকার উপদেশবানী শুনাচ্ছে।
১৭। সমগ্র দুনিয়াব্যাপী প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সাইবার ওয়াল্ডে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার পথ অবলম্বন করার প্রচার অব্যাহত রয়েছে।
১৮। বিশ্বময় রাইটারদের কলমগুলো জ্বলে উঠেছে। সাইবার ওয়াল্ডে মানবমন্ডলিকে সচেতন করার অসংখ্য আর্টিক্যাল আসছে প্রতি সেকেন্ডে।
১৯। সমগ্র দুনিয়াব্যাপী বিজ্ঞানীগণ ভাইরাস প্রতিরোধক ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার জন্য গবেষণা শুরু করেছে।
২০। চিকিৎসা বিজ্ঞান জগতে নতুন নতুন চিন্তাশীল ব্যক্তির জন্ম হচ্ছে।
২১। দুনিয়ার মানুষগুলো কিছুটা মানবিক হওয়ার চেষ্টা করছে।
২২। আত্মভোলা লোকেরা স্রষ্টাকে নতুন করে চিনার চেষ্টারত।
২৩। মানব মন্ডলির মধ্যে আত্মসচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২৪। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তাদের জন্য মানুষ প্রার্থনা করছে ফলে নিজের আত্মাও কিছুটা পরিশুদ্ধ হচ্ছে।
২৫। যারা করোনায় আক্রান্ত তাদের জন্য দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করছে।
২৬। প্রায় সারে পাচশত বছর বন্ধ থাকা আযান স্পেনে চালু হয়েছে। এর নেতিবাচক দিকও আছে যদি অমুসলিমদের বিরক্তির কারণ হয়। প্রায় প্রতি ফ্লাট থেকে উচ্চ আওয়াজে আযান দেওয়া হচ্ছে। মুসলিমদের উচিত সাধারণ আমুসলিমদের পজিটিভ রাখার কর্মপন্থা অবলম্বন করা।
২৭। সোসাল মিডিয়াতে কুরআন চর্চা, স্রষ্টার নিকট প্রার্থনা বেড়েছে।
২৮। মাস্কের কারণে অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন প্রকার ক্ষতি থেকে বাচছে। কারণ মাস্ক থাকলে নাকে ধুলি বালি প্রবেশ করে না এবং কোন প্রকার ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া নাক দিয়ে প্রবেশ করতে পারে না।
২৯। মাস্কের কারণে ইভটিজিং অনেক কমে গেছে।
৩০। মাস্ক থাকার ফলে কথা বলা অনেক কমে গেছে ফলে কথার বাজে খরচ হচ্ছে না।
৩১। যে সমস্ত নারী মাস্ক ব্যবহার করছে তাদেরকে পুরুষগণ দেখছে না ফলে উভয়ের গোনাহ কম হচ্ছে যদিও মুখ ঢেকে রাখার বিষয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। যদি ধরেও নেই নারীদের মুখ খোলা রাখার অনুমতি আছে তথাপী বহু পুরুষদের যেহেতু একাধিকবার নারীদের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাই নারীগণ মাস্ক ব্যবহার করার ফলে অসংখ্য পুরুষ গোনাহ থেকে বেচে থাকতে পারছে।
৩২। অসংখ্য শ্রমিক চাকুরীজীবি পিতার মুখ, মায়ের মুখ দেখতে পারছে। হতে পারে এটাই সন্তানের সঙ্গে মায়ের কিংবা পিতার শেষ দেখা। শেষ দেখা ভাইয়ের সঙ্গে বোনের এবং বোনের সঙ্গে ভাইয়ের শেষ দেখা।
৩৩। আত্যাচারী শাসকদের অহংকার কিছুটা কমেছে তবে ইহা সম্ভাব্য।
৩৪। সকল প্রকার অবৈধ উপার্জন স্তব্দ ফলে ইহা অবৈধ উপার্জনকারীদের জন্য আত্মবিশ্লেসনের একটি পথ।
৩৫। আল্লাহ যে সর্বশক্তিমান তার অনেকটাই প্রমান হয়েছে।
৩৬। যেহেতু সমগ্র দুনিয়াব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বেশি আলোচিত হচ্ছে তাই এখানে বিজয় হয়েছে ইসলামের। শেষনবীর বানীতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকে ইমানের অংগ বলা হয়েছে। আল্লাহ সত্যিই মহান।
ধৈর্য নিয়ে আর্টিক্যালটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি একজন সামান্য ব্লগার এবং আমি ডায়াবেটিক এর উপর একটি বই লিখেছি বইটি প্রকাশ হবার পথে। এটা ছাড়াও আমার লেখা আরও তিনটি বই প্রকাশ হবার পথে। লেখায় বানান কিছু ভুল থাকতে পারে। খুব দ্রুত লিখেছি পাবলিশ করার লক্ষ্যে তাই প্রুফ একবার দেখেছি মাত্র। মীর এমদাদ আলী আল মাহমুদ। Email: [email protected]
আমি এমডি মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I am Md amdad ali al mahmud, Live in Dhaka, I am blogger & thinker, my five book waiting for publish in BD