করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৪০টি পরামর্শ!

টিউন বিভাগ অন্যান্য
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয় চিন্তার কিংবা মানুসিক অস্থিরতার কোন অন্ত নেই। ব্যক্তি পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এমনকি অন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর সূদুরপ্রসারি নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করার মত। এই ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ আছে তাই বিষয়টি অনেকটাই রহস্যময়। একটি কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না আর তা হল ভয় চিন্তা বা মানসিক অস্থিরতা সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে না বরং জীবন সংকট বাড়বে। অতিরিক্ত ভয় সেটা যে বিষয়েই হউক না কেন তা শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, রোগী ইত্যাদি শ্রেনীর জন্য ক্ষতিকর। আমি জানি না আমার এই কথাগুলো মানুষের হৃদয় জগতে কতটুকু রেখাপাত করবে। আর কতজন লোক আমার লেখা পড়বে আর মানবে এই চিন্তা করে আমি আর্টিক্যাল পাবলিশ করি না। তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে সেটাই আমার সফলতা। আমি লিখেছি আমার দ্বায়বদ্ধতা থেকে তাই কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফিরে যাচ্ছি।

১। দুই হাত পরিষ্কার রাখুন। হাত পরিষ্কার রাখতে যে সমস্ত পন্যে মান সম্মত সেগুলো ব্যবহার করুন। এখানে আমি কোন পন্যের নাম বলতে চাই না।

২। হাত সমুহ ঠোটে চোখে নাকে লাগানো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

৩। আপাতত টয়লেট থেকে এসে হাত মুছতে আলাদা গামছা ব্যবহার করুন। একই গামছা সকলে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। গামছা কম থাকলে টিস্যু পেপার দিয়ে হাত শুকিয়ে নিন।

৪। একই সাবান দিয়ে সকলে গোসল করা থেকে আপাতত বিরত থাকা ভাল তবে অপরিহার্য নয়।

৫। সকলের টুথব্রাশ সমুহ একই জায়গায় না রাখা ভাল। প্রভাতে ব্রাশ ধুয়ে অতপর সেই ব্রাশ ব্যবহার করুন। বাজারের নিম্ন মানের ছাই দিয়ে দাত পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকুন। বাজারে কিছু টুথব্রাশ এসেছে যেগুলোর উপরিভাগে কাভার থাকে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারলে ভাল।

৬। একই গ্লাস দিয়ে একাধিক ব্যক্তি পানি পান করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

৭। একই কাপ দিয়ে একাধিক ব্যক্তি চা পান করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

৮। হোটেলের উম্মুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। ঠিক তেমনিভাবে চায়ের দোকানগুলোতে যে সমস্ত নিম্ন মানের কেক বিস্কুক থাকে সেই সমস্ত খাবার এরিয়ে চলুন। এবং চায়ের দোকানে চা পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৯। পানি না ফুটিয়ে সরাসরি কলের পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

১০। খাবার সমুহ ঢেকে রাখুন কিংবা ফ্রিজে রাখুন।

১১। খাবারের সম্মুখে কাশি হাচি দেওয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকুন চাই যিনি রান্না করছেন তিনি কিংবা পরিবারের অন্য সদস্য।

১২। একজনের সামনে অন্যজন হাচি কাশি দেওয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকুন।

১৩। একই খাটে একাধিক ব্যক্তি ঘুমানো থেকে সতর্কতা অবলম্বন করুন। হউক স্বামী স্ত্রী কিংবা ভাই ভাই, বোন বোন। আপাতত আলাদা থাকাই ভাল। যদি জায়গার সংকীর্ণতা থাকে তাহলে অন্যের দিকে মুখ করে হাঁচি কাশি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

১৪। সকল প্রকার বাসি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

১৫। ময়লা কাপড় পরিধান করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

১৬। আপনার জানালা যদি রাস্তার পাশে থাকে যেখান থেকে লোকজন যাতায়ত করে এবং নিচতলা যদি হয় তাহলে জানালা বন্ধ রাখা ভাল।

১৭। আপনার বাসার জানালা যদি দক্ষিণমুখী হয় এবং যদি বেশি বাতাশ প্রবেশ করে তাহলে আপাতত জানালা বন্ধ রাখাই ভাল।

১৮। শিশুদের চোখে মুখে গালে চুমু দেওয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

১৯। বিছানার চাদর বালিশ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। একই বালিশ চাদর খ্যাতা একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকুন। প্রত্যেকের বালিশ আলাদা করুন।

২০। খাবার প্লেট আলাদা করার প্রয়োজন নেই। ভালভাবে ধৌত করে নিলেই চলবে। তবে পানির গ্লাস আলাদা করে ফেলা ভাল কারণ একটু পরপরই পানি পান করার প্রয়োজন হয়। যেহেতু পানি পান করার সময় নাকের নিঃশ্বাস গ্লাসে প্রবেশ করে তাই সতকর্তা অবলম্বন করা উচিত।

২১। এন্টিঅক্সিডেন্ট খাবার সমুহ গুরুত্ব দিন কারণ ইহা প্রমানিত সত্য যে এন্টিঅক্সিডেন্ট খাবার সমুহ মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক ভুমিকা পালন করে। শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় তাহলে মানবদেহে ভাইরাসের আক্রমন কম হবে ইহা প্রমানিত আর হলেও ক্ষতির পরিমান অনেক কম হবে। এন্টিঅক্সিডেন্ট খাবারের তালিকা অনেক বড় আমি কয়েকটি উল্লেখ করছি যেগুলো আপনার হাতের লাগালে। (লেবু, হলুদ, আদা, রসুন, মধু, কালোজিরা, তেজপাতা, লবঙ্গ) ইত্যাদি। প্রতিদিন এক চা চামচ পরিমান লেবুর রস খেতে পারেন। রসুন হলুদ আদা যেহেতু তরকারীতে দেওয়া হয় তাই আলাদা খাওয়ার প্রয়োজন নেই তবে আদার চা প্রতিদিন এক কাপ খেতে পারেন। এক গ্রাম কালোজিরা রং চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে দ্বিতীয়বার খেতে পারেন। এই দুই কাপ চা আপনার জন্য যথেষ্ট। চায়ের সঙ্গে চাইলে তেজপাতা দিতে পারেন। গ্রিনটি খেতে পারেন। মধু প্রতিদিন এক চা চামচ পরিমান খেতে পারেন।

২২। প্রতিদিন একটি সিভিট চুষে খেতে পারেন কারণ ভিটামিন সি হওয়ায় সিভিট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সিভিট একটির বেশী খাবেন না। কিডনীতে যাদের পাথর আছে সিভিট না খাওয়াই ভাল।

২৩। যে সমস্ত খাবারে এবং ফলে ভিটামিন সি বেশি সেগুলো আপাতত একটু বেশি খেতে পারেন এবং কমলালেবু, মালটা, আমলকি ইত্যাদি ফলে ভিটামিন সি বেশী পরিমান থাকে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

২৪। মাস্ক ব্যবহার অপরিহার্য নয় তবে ব্যবহার করাতে কোন দোষ নেই।

২৫। তাবলীগ জামাতের লোকদের মসজিদে একসঙ্গে একই পাত্রে হাত দিয়ে সকলে মিলে খাবার খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কর্মনীতি বর্জন করাই ভাল।

২৬। আপাতত স্বামী স্ত্রীকে এবং স্ত্রী স্বামীকে আলিঙ্গন করা চুমু দেওয়া ইত্যাদি কাজ না করাই ভাল।

২৭। অন্যের হাতের খাবার যেগুলোতে হাত লেগেছে সেই সমস্ত খাবার না খাওয়াই ভাল।

২৮। বাসে ট্রেনে কিংবা যে কোন প্রকার গাড়িতে যখন যাতায়ত করা হয় সেই সময় অন্ততপক্ষে মাস্ক অপরিহার্য কারণ গাড়ির জানালা দিয়ে প্রচন্ড জোরে বাতাশ নাক দিয়ে প্রবেশ করে।

২৯। আপাতত একজন অন্যজনের সহিত হাত মিলানো বা মুসাফা করা থেকে বিরত থাকুন।

৩০। একজনের সিগারেট অন্যজন পান করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

৩১। বন্ধু-বান্ধবি একসঙ্গে আড্ডা দেওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

৩২। মদপানের অভ্যাস যাদের আছে আপাতত মদপান থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন কারণ মদপানের ক্ষতির বিষয়টি মেডিক্যাল সাইন্সে প্রমানিত।

৩৩। জৈবিক চাহিদা চরিতার্থ করার জন্য যাদের হোটেলে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে এই কর্মনীতি বর্জন করুন। মুসলিম হয়ে থাকলে রোজা রাখুন কারণ প্রবৃত্তি দমনে রোজার উপকারিতা প্রমানিত। সেটা না পারলে যে সমস্ত খাবার প্রবৃত্তিকে জাগিয়ে দেয় সেগুলো বর্জন করুন। পর্ণগ্রাফি দেখা থেকে বিরত থাকুন কারণ পর্ণ-অশ্লিল ড্যান্স প্রবৃত্তি উসকে দেয় কোন সন্দেহ নেই।

৩৪। নিয়মিত সালাত আদায় করার চেষ্টা করুন। মসজিদে আপনি যেতে না চাইলে বাসায় আদায় করুন। আর মসজিদে যদি জায়নামাজ নিয়ে যান সেটা আপনার জন্য অনেক ভাল। ইসলামের অজুর বিধানে যেহেতু হাত নাক মুখ ধৌত করার বিধান রয়েছে তাই নিয়মিত সালাত আদায় করলে আপনাকে অজু করতেই হবে আর ইহা আপনার জন্য কল্যান কোন সন্দেহ নেই।

৩৫। বাদ ফজর সুরা ফালাক ও নাস পড়ুন। এই দুই সূরার আত্মিক ও দৈহিক উভয় উপকারিতাই রয়েছে। এই দুই সূরার তাফসীর পড়লেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। সহী হাদীসে রোগ প্রতিরোধে সূরা ফাতেহার কথা এসেছে, যেহেতু এই সূরা সালাতে পড়া হয় তাই আলাদা পড়ার প্রয়োজন নেই।

৩৬। আয়াতে শিফা নামক ছয়টি আয়াত প্রতিদিন চাইলে পড়তে পারেন।

৩৭। মাদ্রাসা থেকে আবু দাউদ শরীফের যে দোয়াটি প্রচার করা হচ্ছে সেটিও পরতে পারেন।

৩৮। আপনাকে যে করোনা ভাইরাস আক্রমন করেনি সে জন্য শুকরিয়া আদায় করুন। শুকরিয়া আদায় করলে নেয়ামত বৃদ্ধি করা হবে বিষয়টি পবিত্র কুরআনে ঘোষিত।

৩৯। নিজ ভাষায় প্রার্থনা করুন আল্লাহ যেন এই করোনা ভাইরাস থেকে আপনাকে পরিবারকে এবং মানবজাতীকে রক্ষা করেন এবং যারা আক্রান্ত তাদের জন্য প্রার্থনা করুন চাই তারা হউক মুসলিম কিংবা অমুসলিম।

৪০। অসহায় দরিদ্রকে দান করুন। দরিদ্র আত্মীয়দের সাহায্য করুন এবং খোঁজ খবর নিন। এই দুইটি কাজ আল্লাহর ক্রোধকে কমিয়ে দেয়। আল্লাহর ক্রোধ কমে গেলে আপনি রিলিস এবং সবদিক দিয়ে নিরাপদ।

বর্জনীয়: কেহ সামাজিক প্রয়োজনে দেখা করতে চাইলে পৃষ্টপ্রদর্শন করবেন না ইহা এক ধরনের নৈতিক অপরাধ। আমি একজনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে দেখা করতে পারিনি। উনি হয়ত বাজারেও যান, মুদি দোকানদারের সঙ্গেও কথা বলেন আবার হোটেলে গিয়ে নাস্তা ক্রয় করেন আবার দারোয়ানের সঙ্গেও কথা বলেন। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে ইমানদারদের শুধুমাত্র আল্লাহ-রাব্বুল আলামীনকেই ভয় করা উচিত। অন্য এক জায়গায় বর্ণিত হয়েছে ইমানদারদেরকে শুধুমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা করা উচিত। ত্রিশতম পাড়ায় কোন এক জায়গায় বর্ণিত হয়েছে তোমাদের প্রচেষ্ঠায় কিছুই হয় না যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন না চান। এই তিনটি আয়াত পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে যদিও এই মুহুর্তে সূরা-আয়াত নাম্বার আমার মনে আসছে না। প্রায় পনের বছর পূর্বে আমার দুইটি পূর্নাঙ্গ তাফসীর অধ্যয়ন করা আছে সুতরাং কুরআনের বিষয়ে আমি আন্তাজ অনুমানের ভিত্তিকে কিছু বলব না বিশ্বাস রাখতে পারেন। একজন কুরআন বিশেষজ্ঞকে প্রশ্ন করলেই আয়াত সূরা নাম্বার পেয়ে যাবেন।

অবশেষে আমি বলতে চাই আমি মনে করি এবং এটা আমার দৃয় বিশ্বাস করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে ১০০ লোকও মারা যাবে না সুতরাং কেহ ভয় পাবেন না এবং মানুসিক অস্থিরতায় ভুগবেন না। যারা বলছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাবে তাদের কথা সঠিক হবার সম্ভাবনা খুবই কম। শোষোক্ত এই বিষয়ে আমার সঙ্গে সকলের একমত হওয়া জরুরী নয়। এটা আমার অনুমান মাত্র। আর করোনা প্রতিরোধে যে সমস্ত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলো অনেক ভেবে চিন্তে দেওয়া হয়েছে যদিও আমি ভুলের উর্ধ্বে নই। আমি কোন ডাক্টার নই তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনেক বইপত্র আমি পড়েছি এই বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত অধ্যয়ন রয়েছে। আমি ডায়াবেটিক এর উপর একটি বইও লিখেছি বইটি প্রকাশ হবার পথে। এটা ছাড়াও আমার লেখা আরও তিনটি বই প্রকাশ হবার পথে। লেখায় বানান কিছু ভুল থাকতে পারে বিষয়টি নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন না আশা করি। আর্টিক্যালটি খুব দ্রুত লিখেছি পাবলিশ করার লক্ষ্যে তাই প্রুফ একবার দেখেছি মাত্র। মীর এমদাদ আলী আল মাহমুদ। ঢাকা, বাংলাদেশ। Email: [email protected]

Level 1

আমি এমডি মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

I am Md amdad ali al mahmud, Live in Dhaka, I am blogger & thinker, my five book waiting for publish in BD


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Valo lago vai apnar koylthay