নিত্যনতুন এসি আনার ধারাবাহিকতায়, এবার ওয়ালটন রিভারাইন নন-ইনভার্টার সিরিজের আরেকটি আপডেটেড মডেল নিয়ে হাজির হয়েছে। আর দেড় টনের এই এসিটির মডেল নাম WSN-RIVERINE(Pro)। সাধ্যের ভেতর দামে আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং অবকাঠামো বিবেচনায় নিয়ে ওয়ালটন বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের দেশে ভালো মানের স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনার তৈরি এবং বাজারজাত করে আসছে। বর্তমানে ওয়ালটন এর বিভিন্ন মডেলের এসি দেশব্যাপী মানুষের কাছে বহুল ব্যবহৃত এবং বেশ জনপ্রিয়ও বটে।
WSN-RIVERINE(Pro) -18C একটি ১৮০০০ বিটিইউ তথা ১.৫ টনের ইনভার্টার এসি, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪৯৯০০ টাকা।
• মডেলঃ WSN-RIVERINE(Pro) -18C
• ক্যাপাসিটিঃ দেড় টন
• ওয়াটঃ ৫২৭৫
• দামঃ ৪৯৯০০
যদি আপনার ঘরের বাতাস একদম বিশুদ্ধ রাখার চিন্তা করে থাকেন তবে এই এসিটি আপনার জন্য। রিভারাইন এর এই মডেল এর সাথে আপনি পাচ্ছেন বিশেষ আইওনাইজার প্রযুক্তি। আইওনাইজার প্রযুক্তির এসি আপনার ঘরের জন্য একটি শক্তিশালী এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি বাতাস থেকে ধূলিকণা, মাইক্রোঅরগ্যানিজমস ইত্যাদি দূর করে এবং বাতাসকে শতভাগ বিশুদ্ধ রাখার কাজ করে। এই এসি থেকে নেগেটিভ আয়ন বের হওয়ার কারনে এটি দূষিত বায়ু, ব্যক্টেরিয়া, ধুলোকনা, ধোয়া সবকিছু একদম ঘরের বাইরে নিয়ে যায়।
ঘর কতোটা এবং কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে তা নির্ভর করে এসির ভিতর থাকা ফ্যান এর অপর। এই ফ্যান যত বেশি বড় হবে, এই এসিকে এর ফলে তত বেশি কার্যকর বলা যাবে। এই এসিটিতে থাকছে তুলনামূলক বড় ক্রস ব্লো ফ্যান। আর এর ফলে বাজারের অন্য সব এসির চাইতে এই এসিটির কুলিং স্পিড হবে বেশি তাড়াতাড়ি। আর এই ক্রস ব্লো ফ্যানটি অতো বেশি নয়েসি নয়, খুবই সাইলেন্টলি এর কাজ করে যায়।
এই এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। অনেক কেবল এসি এক দিকেই বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে থাকে তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় বা অন্য কোন স্থানে থাকা কেউ বাতাস পায় না। তবে রিভারাইন এসি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার ফলে সব দিকেই প্রায় সমান শীতল বাতাস প্রবাহিত করা যাবে।
এয়ার কন্ডিশন এর অন্যতম একটি বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে এর শব্দ করাটা। ঘুমের সময় যখন সামান্য কিঞ্চিত শব্দ হলেও অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়, সেখানে তো এসির যান্ত্রিক শব্দ মেনে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে এই দিক দিয়ে রিভারাইন এসিকে পয়েন্ট দেয়া যাবে, কেননা এসিটি যা করবে একদম নিঃশব্দে। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের জন্য আর৪১০এ হল একটি মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আগে আর২২ ব্যবহার করা হত যা ছিল অজোন স্তর জন্য খুবই মারাত্তক। অন্যদিকে আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট অজোন স্তর এবং পরিবেশের সেই ক্ষতিটা করেনা।
এসি কতোটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে এই বিষয়টি বিবেচনা করা খুব জরুরী। বিদেশের সাথে বাংলাদেশ এর ইলেক্ট্রিসিটির মাত্রা একই নয়, আর সে এসিগুলো তাদের দেশের জন্য উপযোগী করে বানানো, তো সেই সব এসি আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে কিনা তা কেনার আগে বোঝার উপায় থাকে না। আর এই কারনে পরে গিয়ে ফাঁকিতে পড়তে হয়।
এসির মত উচ্চ ওয়াটএর যন্ত্রের ক্ষেত্রে কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি এসির কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স পয়েন্ট যত ভালো হবে, এসিটি ঠিক তত কর্মদক্ষতা সম্পন্ন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে। আর এই দিক থেকেও রিভারাইন এসিটি সঠিক অবস্থানে আছে।
আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।