মহাগ্রন্থ আল কুরআন। এক অপার বিষ্ময় ও মহা প্রত্যাদেশ। অবর্তীর্ণ হয়েছে শেষনবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ উপর। সময়কাল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ। পবিত্র কুরআন পথ নির্দেশ এমন এক জাতীর জন্য যারা আত্মবিশ্লেষনের মাধ্যমে নিজেদের কর্মধারা সংশোধনে বিশ্বাসী। পবিত্র কুরআন যেমন এক আলোকোজ্জল পথ নির্দেশ সেই সঙ্গে এই মহাগ্রন্থে রয়েছে অনেক বৈজ্ঞানিক ইংগিত যে সমস্ত তথ্য এক বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের মানদন্ডে উত্তীর্ণ প্রমাণিত। দ্বিতীয় বিষ্ময়কর ব্যাপার হল এই সমস্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যে পরিবেশন করা হয়েছে এমন এক সময় যখন বৈজ্ঞানিক গবেষণার তেমন কোন কাঠামো ছিল না। ছিল না গবেষণাগার ও প্রয়োগ এবং ছিল না তেমন কোন সফল বৈজ্ঞানিক পরিক্ষা। তবে সীমিত পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষনা ছিল এটা যেমন সত্য বিজ্ঞানী ছিল এই বিষয়টিও সত্য যদিও বিংশ শতাব্দীর জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতি ও উৎকর্ষতার সঙ্গে সেই সমস্ত সীমাবদ্ধ চিন্তা গবেষণার তুলনাই হাস্যকর।
আজ আমি পবিত্র কুরআনের মহাকাশ বিষয়ক এমন এক বৈজ্ঞানিক ইংগিত নিয়ে কথা বলব আজকের বিজ্ঞান যা অনেক গবেষণার পর প্রমাণ করেছে। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে “ আর প্রত্যেকে নিজ কক্ষপথে বিচরনশীল। আল কুরআন সূরা ইয়াসিন। আমরা যদি পাচশত অথবা এক হাজার পূর্বে ফিরে যাই আর যদি বিজ্ঞানীদের চিন্তা রাজ্যে ফিরে যাই তাহলে দেখতে পাই তাদের মধ্যে এ বিষয়ে অনেক মতভেদ পরিলক্ষিত হয়েছে এবং অনেকেই এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় মত পরিবর্তন করেছে তবুও তারা এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছতে পারেনি। কেউ বলেছে গ্রহ নক্ষত্র স্থির আবার কেহ বলেছে মনে হয় স্থির নয়, কেউ বলেছে সূর্য ঘুরে পৃথিবী ঘুরে না আবার কেউ বলেছে পৃথিবী ঘুরে সূর্য স্থির ইত্যাদি ইত্যাদি।
ইতিহাসের পাতায় যদি এমন বিজ্ঞানী আমরা পেয়েও যাই যার তথ্যে এ বিষয়ে কুরআনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ তবুও সহজে বিষয়টির মীমাংসা হয় না কারণ দুইটি তার একটি হল সেই বিজ্ঞানী জোরালো ও সুনিশ্চিতভাবে তথ্যে পরিবেশন হয়ত করেনি এবং কোন প্রকার প্রমাণ পেশ করেনি সেই সঙ্গে অন্যান্য বিজ্ঞানী তার তথ্যে মেনে নেয়নি এবং তারা ঐক্যমতে পৌছতে পারেনি। দ্বিতীয় কারণ হল প্রকৃতির বুকে পবিত্র কুরআনে উপস্থাপিত তথ্যের বিচরণ। এ বিষয়ে মীমাংসিত তথ্যে যা পবিত্র কুরআন বহু পূর্বে বলে দিয়েছে তাই এর দাবিদার হতে হলে পবিত্র কুরআন নাযিলের পূর্বেই বিষয়টির চুরান্তরূপ দিতে হবে অন্যথায় গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমরা ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করলে কি দেখতে পাই। পবিত্র কুরআন যখন অবর্তীণ হয়েছে সে সময় এমন কোন বিজ্ঞানী বা গবেষকের সন্ধান পাওয়া যায়নি যিনি এ বিষয়ে কোন প্রকার তথ্য পরিবেশন করেছেন এবং কুরআন নাযিলের পূর্বেও এমন একজন লোকের সন্ধান কেহ দিতে পারবে না যিদি গ্রহ নক্ষত্রের কক্ষপথ ও নিজ কক্ষে বিচরণের মৌলিক তথ্যে সুনিশ্চিতভাবে মানবজাতীকে জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা যদি পবিত্র কুরআনের এই আয়াত বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাই উক্ত আয়াতে সুনিশ্চিতভাবে বলা হয়েছে যে প্রত্যেকের একটি কক্ষপথ রয়েছে এবং প্রত্যেকে বিচরণশীল।
প্রিয় পাঠক গভীরভাবে লক্ষ্য করুন এখানে তিনটি বৈজ্ঞানিক ইংগিত রয়েছে ১। কক্ষপথ। ২। চলমান। ৩। গ্রহ নক্ষত্র উভয় অন্তর্ভুক্ত। অর্থ্যৎ প্রত্যেকেই শব্দের মাধ্যমে গ্রহ ও নক্ষত্র কিংবা যদি আরও কিছু থাকে সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত যেমন গ্যালাক্সি, ব্ল্যাকহোল ইত্যাদি। আজকের বিজ্ঞান স্বীকার করেছে যে প্রত্যেকের কক্ষপথ রয়েছে। গ্রহ এবং নক্ষত্র প্রত্যেকেই পরিভ্রমণরত। আবার একটু ভাবুন ক্ষনিকের জন্য হলেও প্রয়োজনে চোখ বন্ধ করে চৌদ্দশত পূর্বের সবুজ দুনিয়াকে কল্পনার জগতে নিয়ে আসুন কিছু সময়ের জন্য।
মরুর বুকে একজন নিরক্ষর ব্যক্তি বসে আসেন একটি মাটির ঘরে, কিংবা খেজুর ডাল দিয়ে নির্মিত ঘরে। জামা কাপড় তেমন মানসম্মত নয়, ঘরে খাবার থাকে না। কখনো পেটে পাথর বাধতে হয় ক্ষুদা নিবারনের জন্য। সেখানে কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার ছিল না। তার কোন বিজ্ঞানী উস্তাদ ছিল এমন প্রমাণও নেই। সেই জনপদে মহাকাশ বিজ্ঞানীর অস্তিত্ব পর্যন্ত ছিল না। এই পবিত্র বানী তার মুখ থেকে বের হবার পর কোন ইহুদী খৃষ্টান এ বিষয়ে কোন প্রশ্নই তুলে নি এবং এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোন প্রকার ডিবেট করার সাহস পর্যন্ত অন্য কোন ধর্মের লোক গ্রহন করেনি এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গবেষকবৃন্দ পর্যন্ত এসে এই দাবীও করেনি যে এই বৈজ্ঞানিক তথ্যের আমরা হকদার কিংবা এই মহাকাশ বিষয়ক তথ্যের মালিকানা আমাদের এমন দাবী কুরআন নাযিলের সময় থেকে নিয়ে আজকের দিন পর্যন্ত কেউ করেনি কারণ কেউ দাবী করলেও বহু ঝামেলা পোহাতে হবে এবং একবিংশ শতাব্দির বিজ্ঞানের কাছে তাকে অনেক পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এটা কোন সহজ ব্যপার নয়। প্রথম পর্ব সমাপ্ত। মাহমুদ।
আমি এমডি মাহমুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
I am Md amdad ali al mahmud, Live in Dhaka, I am blogger & thinker, my five book waiting for publish in BD