কর্মস্থল কিংবা আবাসস্থলে প্রশান্তি আনার জন্য সর্বশেষ সংযোজন হতে পারে যে ইলেক্ট্রনিকস হোম আপ্ল্যায়ান্সটি তা হল একটি এয়ার কন্ডিশনার তথা এসি। বাজার থেকে কেবল ইয়া বড় একটি সুন্দর ডিজাইন দেখে এসি কিনলেই হবেনা, সেই এসি কতোটা বিদ্যুৎ খরচ করবে, আপনার স্পেস কতোটা তাড়াতাড়ি এবং কতোটা কার্যকর ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রন করবে তা অবশ্যই আপনাকে কেনার আগে থেকেই মাথায় রাখতে হবে।
অনেকটা সাধ্যের ভেতর দাম রেখে আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং অবকাঠামোকে বিবেচনা করে ওয়ালটন বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশেই তৈরি করছে অনেক ভালো মানের এয়ার কন্ডিশনার। বর্তমানে ওয়ালটন এর বিভিন্ন মডেলের এয়ার কন্ডিশনার পুরো দেশব্যাপী বেশ জনপ্রিয়ও বটে।
ওয়ালটন সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের একদম নতুন মডেলের একটি এয়ার কন্ডিশনার WSN-VENTURI-18A। এটি ওয়ালটন এর ভেনচুরি সিরিজের একদম নতুন সংযোজন। ভেনচুরি সিরিজে এর আগে ওয়ালটন একটি ইনভার্টার ও একটি ইনভার্টার স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে। WSN-VENTURI-18A একটি ১৮০০০ বিটিইউ তথা ১.৫ টনের নন-ইনভার্টার এসি, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪৯, ৯০০ টাকা।
● মডেলঃ WSN-VENTURI-18A
● ক্যাপাসিটিঃ দেড় টন
● ওয়াটঃ ৫২৭৫
● দামঃ ৪৯, ৯০০
যদি আপনার ঘরের বাতাস একদম বিশুদ্ধ রাখার চিন্তা করে থাকেন তবে এই এসিটি আপনার জন্য। ভেনচুরি এর এই মডেল এর সাথে আপনি পাচ্ছেন বিশেষ আইওনাইজার প্রযুক্তি। আইওনাইজার প্রযুক্তির এসি আপনার ঘরের জন্য একটি শক্তিশালী এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে। এটি বাতাস থেকে ধূলিকণা, মাইক্রোঅরগ্যানিজমস ইত্যাদি দূর করে এবং বাতাসকে শতভাগ বিশুদ্ধ রাখার কাজ করে। এই এসি থেকে নেগেটিভ আয়ন বের হওয়ার কারণে এটি দূষিত বায়ু, ব্যাক্টেরিয়া, ধুলোকনা, ধোয়া সবকিছু একদম ঘরের বাইরে নিয়ে যায়।
এয়ার কন্ডিশন এর অন্যতম একটি বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে এর শব্দ করাটা। ঘুমের সময় যখন সামান্য শব্দ হলেও অনেকের ঘুমের সমস্যা হয়, সেখানে তো এসির যান্ত্রিক শব্দ মেনে নেয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে এই দিক দিয়ে ভেনচুরি এসিকে পয়েন্ট দেয়া যাবে, কেননা এসিটি যা করবে একদম নিঃশব্দে।
এসি ঘরের সব দিকে বাতাস সমানভাবে দিচ্ছে কিনা তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধুমাত্র এসির সামনে দাঁড়ালেই ঠাণ্ডা বাতাস পাওয়া যাবে, অন্য কোথাও সরে গেলে পাওয়া যাবে না, তা ভালো এসির লক্ষণ নয়। একটি আদর্শ এসির ঘরের সব দিকে সমানভাবে একই মানের ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। আর এই জন্য, ভেনচুরি মডেলের এসিটির থাকছে আনুভূমিক এবং উলম্ব তথা মাল্টি এঙ্গেল এয়ার ফ্লো বা বাতাস প্রবাহ সুবিধা। যার ফলে ঘরের সব দিকে এসিটি সমান মাত্রায় ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহ করে দিতে পারবে।
ঘর কতোটা এবং কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে তা নির্ভর করে এসির ভেতর থাকা ফ্যানের ওপর। এই ফ্যান যত বেশি বড় হবে, এই এসিকে এর ফলে তত বেশি কার্যকর বলা যাবে। এই এসিটিতে থাকছে তুলনামূলক বড় ক্রস ব্লো ফ্যান। আর এর ফলে বাজারের অন্য সব এসির চাইতে এই এসিটির কুলিং স্পিড হবে ৪০% বেশি। আর এই ক্রস ব্লো ফ্যানটি অতো বেশি নয়েসি নয়, খুবই সাইলেন্টলি এর কাজ করে যায়।
এই এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাছাই করার রেঞ্জ। অনেক এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন।
শুধু এসি কিনলেই কি হবে? সেই এসিটি কতোটা বিদ্যুৎ খরচ করবে? আর আদৌ সেটি কতোটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে এই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। বিদেশের সাথে বাংলাদেশ এর ইলেক্ট্রিসিটির মাত্রা ঠিক নয়, আর সে এসিগুলো তাদের দেশের জন্য উপযোগী করে বানানো। ফলে সেইসব এসি আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে কিনা তা কেনার আগে বোঝার উপায় থাকে না। আর এই কারণে পরে ফাঁকিতে পড়তে হয়।
আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের জন্য আর৪১০এ হলো একটি মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আগে আর২২ ব্যবহার করা হতো যা ছিল ওজোন স্তরের জন্য খুবই মারাত্তক। অন্যদিকে আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট ওজোন স্তর এবং পরিবেশের ক্ষতি করে না। এসির মতো উচ্চ ওয়াটএর যন্ত্রের ক্ষেত্রে কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি এসির কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স পয়েন্ট যতো ভালো হবে, এসিটি ঠিক ততোটা কর্মদক্ষতা সম্পন্ন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে। আর এই দিক থেকেও ভেনচুরি এসিটি সঠিক অবস্থানে আছে।
কথায় আছে, ’আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’। ভেনচুরি সিরিজের এই এসিটি দেখতে এবং এসিটি সম্পর্কে আরো জানতে আপনি চলে যেতে পারেন আপনার পাশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজায়। ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। আরো পাবেন ৩ বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। বর্তমানে সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত ৭২টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে যেকোনো সমস্যায় খুব সহজেই সেবা পেয়ে যাবেন।
আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।