বিচিত্র আবহাওয়ায় একটু স্বস্তির জন্য একটি ভালো মানের এসি খুঁজছেন? তো এই ক্ষেত্রে ওয়ালটন এসি আপনার পছন্দের তলিকায় আসতেই পারে। বর্তমানে বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে মিল রেখে দেশেই ওয়ালটন প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন প্রযুক্তির উন্নত এসি বানিয়ে যাচ্ছে।
আপনার রুম বা স্পেস যদি ৭০০/৮০০- ১১০০ স্কয়ার ফিট হয় তবে আপনি ওয়ালটন এর ক্রিস্টালাইন সিরিজের ১.৫ টন এর এসি দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। ওয়ালটন সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নতুন একটি এসি যার নাম ক্রিস্টালাইন প্রো। এটি ক্রিস্টাইলাইন সিরিজেরই আরেকটি নতুন সংযোজন।
সাধারণত ১২০০০ বিটিইউ মানে ১ টন। ক্রিস্টালাইন প্রো এসিটি ১৮০০০ বিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) সম্পন্ন, যার দরুন এসিটি দেড় টনের। আপনার ‘রুম বা স্পেস’ যেখানে এসিটি লাগাতে চাচ্ছেন, তা যদি ৭০০ স্কয়ার ফিট থেকে ১১০০ স্কয়ার ফিট এর মধ্যে হয় তবে এই এসিটি আপনার জন্য আদর্শ।
ক্রিস্টালাইন প্রো একটি ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। নন-ইনভার্টার এসি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে। এখানে এসি পূর্ণ শক্তিতে চালু হওয়ার পর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক অবস্থায় এলে এসির কমপ্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। আবার ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলে, তখন চালু হয়। এভাবে বারবার এসি চালু ও বন্ধ হওয়ার কারণে, এসি বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে রুমের পরিবেশের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে এসিটি শক্তি খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে। এভাবে কম শক্তিতে চলার কারণে কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে।
ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিটিতে ব্রাসলেস ডিসি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এটি খুবই স্মুথ এবং নিঃশব্দের সাথে কাজ করতে সক্ষম। এতে করে রাতে ঘুমানোর সময় এই এসি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন কোন যান্ত্রিক শব্দ আসবে না, যা আপনার ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে। তাই এই এসিটি তার নিজের কাজ খুব ভালোভাবে করে যাবে একদম নিঃশব্দে পূর্ণ দক্ষতার সাথে।
ক্রিস্টালাইন প্রো এর কন্ট্রোলার এর সাথে থাকা টার্বো মোড এর মাধ্যমে নিমিষেই আপনি এই এসির মাধ্যমে ঘরকে ঠাণ্ডা করে ফেলতে পারবেন। আপনার ঘর ৭০০-১০০০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে হলে এই কাজটি হবে আরও দ্রুত। টার্বো মোড এর পাশাপাশি এই এসিতে পাওয়ার সেভিং এর জন্য পাবেন ইকো মোড।
এই এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। অনেক কেবল এসি এক দিকেই বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে থাকে তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় বা অন্য কোন স্থানে থাকা কেউ বাতাস পায় না। তবে ক্রিস্টালাইন প্রো এসির মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার ফলে সব দিকেই প্রায় সমান শীতল বাতাস প্রবাহিত করা যাবে।
ক্রিস্টালাইন প্রো এই এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাছাই করার রেঞ্জ। অনেক এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন। এতে করে ব্যবহারকারি তার ইচ্ছামত তাপমাত্রায় এসিটিকে সেট করে রুমের শীতাতপকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। আর জেনারেল এর অন্যসব ব্র্যান্ড এর মতই ওয়ালটন এসি থেকে একই রকমের তাপমাত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবেন।
আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের জন্য আর৪১০এ হল একটি মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আগে আর২২ ব্যবহার করা হত যা ছিল অজোন স্তর জন্য খুবই মারাত্তক। অন্যদিকে আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট অজোন স্তর এবং পরিবেশের সেই ক্ষতিটা করেনা।
এই এসিতে একটি বিশেষ মোড রয়েছে যার নাম ইকনোমি। আর আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল বাঁচানো এবং সাশ্রয় এর ক্ষেত্রে এই ইকোনমি মোড বেশ কাজে দেবে। কেবল ইকো বাটনটি চাপ দিলেই দারুন এই ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি অন্যসব নন-ইনভার্টার প্রযুক্তির এসির চাইতে ৬০% বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে।
বাংলাদেশের অবকাঠামোতে ওয়ালটন এসি বেশ কার্যকর। কেননা এই এসি বিভিন্ন ভোল্টেজ রেঞ্জে কাজ করে, এবং এতে করে এসির তেমন কোন ক্ষতিও হয় না। এসিগুলো এইভাবেই বানানো। ওয়ালটন এসি ১৪০ থেকে ২৬৪ পর্যন্ত এসি বৈদ্যুতিক ভোল্টে সমানভাবে কাজ করবে। আর আমাদের দেশে ভোল্টেজ আপডাউন অন্যতম একটি বড় সমস্যা, আর এই ক্ষেত্রে ওয়ালটন এসির এই সুবিধাটি আমাদের সুবিধা দেবে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বাংলাদেশ এর আবহাওয়া উপযোগী নিত্যনতুন সব এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। বিদেশ থেকে আমদানি করে নিয়ে আসা এসিতে সাধারণত সঠিক বিটিইউ থাকে না। সাধারণত যা ক্রেতাদের পক্ষে ধরা সম্ভব হয় না। তবে দেশেই তৈরি করছে বলে ওয়ালটন তাদের সকল এসিতে সঠিক বিটিইউ নিশ্চিত করছে। ওয়ালটন এর অন্যসব এসির মত এই ক্রিস্টালাইন প্রো’তেও তার ব্যাত্তয় ঘটেনি। তো দেশের টাকা দেশেই থাকুক, কেনো বিদেশি আমদানি করা এসি কিনে দেশের অর্থ বিদেশে পাঠাবেন?
আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।