ভেঞ্চুরি সিরিজের মতই একই দামে ভিন্ন দামে ওয়ালটন এসির আরেকটি সিরিজ হচ্ছে রিভারাইন সিরিজ। এই এসির ডিজাইন একটু স্টাইলিশ এবং মডার্ন। অনেকে যারা ৭০০ থেকে ১১০০ স্কয়ার ফিট এর স্পেস এর জন্য একটি ভালো মানের স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনার বা এসি খুঁজছেন। এই আর্টিকেলএ আমি আলোচনা ওয়ালটন এর রিভারাইন সিরিজের একদম নতুন সংযোজন করব, WSN-RIVERINE(Golden) মডেল সম্পর্কে।
সাধারণত ১২০০০ বিটিইউ মানে ১ টন। রিভারাইন এসিটি ১৮০০০ বিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) সম্পন্ন, যার দরুন এসিটি দেড় টনের। আপনার ‘রুম বা স্পেস’ যেখানে এসিটি লাগাতে চাচ্ছেন, তা যদি ৭০০ স্কয়ার ফিট থেকে ১১০০ স্কয়ার ফিট এর মধ্যে হয় তবে এই এসিটি আপনার জন্য আদর্শ।
রিভারাইন এসিটি ওয়ালটন আনছে একটি বিশেষ প্রযুক্তির সাথে, যার নাম আইওনাইজার। যার মাধ্যমে এই এসিকে বলা হচ্ছে আপনার ফুসফুসের ডাক্তার। এখানে এসিটি বাতাসে নেগেটিভ আয়ন ত্যাগ করে, যা বাতাসের ভেতর বিদ্যমান অতিক্ষুদ্র ধূলিকণা, ধোয়া, ব্যক্টেরিয়া এসব এসির মাধ্যমে দূর করে। এই নন ইনভার্টার এসিটি কম পরিমানে নয়েস সৃষ্টি করে, যার ফলে রাতে ঘুমানোর সময়েও অনাকাঙ্ক্ষিত যান্ত্রিক শব্দ কানে লাগে না।
এই এসিটি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। অনেক কেবল এসি এক দিকেই বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে থাকে তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় বা অন্য কোন স্থানে থাকা কেউ বাতাস পায় না। তবে রিভারাইন এসির মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার ফলে সব দিকেই প্রায় সমান শীতল বাতাস প্রবাহিত করা যাবে।
এই এসিতে আপনি পাবেন ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাছাই করার রেঞ্জ। অনেক এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাবেন। এতে করে ব্যবহারকারি তার ইচ্ছামত তাপমাত্রায় এসিটিকে সেট করে রুমের শীতাতপকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। আর জেনারেল এর অন্যসব ব্র্যান্ড এর মতই ওয়ালটন এসি থেকে একই রকমের তাপমাত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবেন।
এসিটিতে বড় ক্রস ফ্লো কুলিং ফ্যান ব্যবহার এর কারনে এসিটি পরিবেশ ঠাণ্ডা করতে পারবে আরো দ্রুত। আর রুম তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়ার জন্য এই ফ্যান এর আকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। আর এই দিক থেকে ভেতরে বড় ফ্লো ফ্যান থাকার কারনে অনেক তাড়াতাড়ি রুমকে আপনার পছন্দের তাপমাত্রায় নিয়ে আসার জন্য ওয়ালটন এসি খুবই দারুন পারফর্মেন্স দিবে।
এসির মত যন্ত্রের ক্ষেত্রে কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি এসির কোইফিসিয়েন্ট অফ পারফর্মেন্স পয়েন্ট যত ভালো হবে, এসিটি ঠিক তত কর্মদক্ষতা সম্পন্ন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে। আর এই দিক থেকেও রিভারাইন মডেলের এসিটি সঠিক অবস্থানে আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বাংলাদেশ এর আবহাওয়া উপযোগী নিত্যনতুন সব এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। বিদেশ থেকে আমদানি করে নিয়ে আসা এসিতে সাধারণত সঠিক বিটিইউ থাকে না। সাধারণত যা ক্রেতাদের পক্ষে ধরা সম্ভব হয় না। তবে দেশেই তৈরি করছে বলে ওয়ালটন তাদের সকল এসিতে সঠিক বিটিইউ নিশ্চিত করছে। ওয়ালটন এর অন্যসব এসির মত এই রিভারাইন’এও তার ব্যাত্তয় ঘটেনি।
আমি Touhidur Rahman Mahin। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 326 টি টিউন ও 88 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভালোবাসি প্রযুক্তি নিয়ে লিখতে, ভালবাসি প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে।