অনেকেই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। আমার আজকের লেখার মাধ্যমে আপনাদেরকে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব।
আজকাল ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগে অনেকে অনলাইনে সহজে ইনকাম, মোবাইল দিয়ে ইনকাম এসব বিভিন্ন জিনিস বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রেফারেল লিংক শেয়ার করে নিজেদের পকেট গরম করছেন আর যারা এসেছিল সহজে অনলাইনে ইনকামের আশায় তাদের শুধু দিন শেষে দশ বারটা সাইটে একাউন্টই খোলা হয় কিন্তু ইনকাম হয়না কিছুই।
তাই সঠিক তথ্য জানুন সঠিকভাবে ইনকাম করুন।
প্রথম কথা হল টাকা ইনকাম করা বড় বিষয় নয়, টাকাটা নিজের দেশে আনতে পারাটাই মুল বিষয়।
তার মানে যে সাইটে কাজ করবেন দেখতে হবে তারা বাংলাদেশে টাকা পাঠায় কি না।
আমার একটা সাইটে প্রায় চার লাখ টাকা আটকে আছে কিন্তু আনতে পারছি না কারণ তারা বাংলাদেশে টাকা পাঠায় না।
নিচে টাকা ইনকামের সাই|টগুলো ব্যাখ্যা করলাম।
১/ ফাইভার ঃ
এখানে আপনি গ্রাফিক্স, ওয়েব বা ভিডিও যেকোনো সার্ভিস দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
২/ ফ্রিলেন্সার ডট কমঃ
এখানেও আপনি গ্রাফিক্স, ওয়েব বা ভিডিও যেকোনো সার্ভিস দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে বিশাল সুবিধা হল কন্টেস্ট। আপনি চাইলে কন্টেস্টে অংশগ্রহণ করে ইনকাম করতে পারবেন।
৩/ আপওয়ার্কঃ
এখানে কাজ করতে গেলে একটু স্কিল্ড হতে হবে তাছাড়া এখানে একাউন্ট এপ্রোভ করতেও আপনাকে বেশ বেগ পেতে হবে।
৪/ ছবি বিক্রি করে ইনকামঃ
আপনি চাইলে ছবি বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে ছবি বিক্রি করে টাকা ইনকাম একেবারে সহজ নয়। এর জন্য আপনাকে ফটো তোলার ট্যাকনিক জানতে হবে। ছবি এডিট করা যাবে না। এডিট করে আপলোড দিলেই রিজেক্ট খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আমি অনেক সময় ফোকাসিং ঠিকভাবে না করার কারনেও রিজেক্ট খেয়েছি।
একটি ব্লগ সাইট খুলুন। ডোমেন কিনুন হস্টিং নিন। ভাল কন্টেন্ট লিখুন। তারপরে এডসেন্স এড করে দেখুন প্রতি মাসে বেশ ভাল একটা এমাউন্ট আপনার পকেটে আসবে। হাতখরচ নিয়ে আর চিন্তা করতে হবেনা। খুব ভাল কন্টেন্ট দিয়ে সাইট সাজাতে পারলে একটা চাকরীর চেয়ে মাসে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রশ্ন করতে পারেন কিভাবে তৈরি করব ব্লগ ও ওয়েবসাইট। আপনি খুব সহজে ইউটিউব ঘেঁটে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। তবে প্রফেশনাল ব্লগ তৈরি করতে আপনাকে অনেক বিষয় জানতে হবে নাহলে পদে পদে সমস্যায় পড়বেন। তাই ইউটিউব ঘেঁটে বিষয়গুলো আগে শিখে নিন। চাইলে আপনি একজন ফ্রিলেন্সার হায়ার করে নিতে পারেন। কিংবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা ৫ বছর ধরে বিভিন্ন ফরেন বায়ারের সাথে কাজ করে আসছি।
৬/ ড্রপ শিপিং:
দারাজ আর অনলাইন মার্কেটগুল নিশ্চয়ই চেনেন। আপনি চাইলে এরকম একটি সাইট খুলুন। কোন জিনিস কেনার দরকার নেই, নেই দরকার দোকান ভাড়া নেয়ার। কেউ অর্ডার করলে অন্য মার্কেট থেকে অনলাইনে কিনে তার এড্রেসে পাঠিয়ে দিন, বা আপনার সাইটে এগুলো আটমেটিকভাবে সেট করে দিন। ব্যাস কাজ হয়ে গেল।
৭/ এফিলিয়েট ইনকামঃ
একটা ওয়েবসাইট খুলুন, সেখান থেকে অন্য ওয়েবসাইটের প্রডাক্ট বিক্রির বিজ্ঞাপণ দিন। মানুষ য়ই ওয়েবসাইটে গিয়ে জিনিস কিনলেই তার উপর ৮ থেকে ৩০ পার্সেন্ট পর্যন্ত লাভ পাবেন আপনি। ধরুন একটি সফটওয়্যার এর জন্য আপনি আপনার সাইটে সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে তাদের লিঙ্ক ধরিয়ে দিলেন। ক্রেতা সেখান থেকে ১০, ০০০ টাকায় সফটওয়্যারটি কিনল, তার মানে আপনি পাবেন ৩০০০ন টাকা
৮/ মাইনিং করে ইনকামঃ
হা বিট কয়েন মাইনিং কর ইনকাম করত পারেন। দশ অনেকেই করছ। তবে যারা মাইনিং করে তাদের থেকে আপনি এ বিষয়ে খুব বেশি একটা জানতে পারবেন না।
চেষ্টা করলাম আমার লেখায় সংক্ষেপে সবকিছু বলার। কোন কিছু জানার থাকলে নিচে টিউমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
মুনায়েম, ফ্রিলেন্সার।
ওয়েব ও গ্রাফিক ডিজাইন
mail address:
আমি Munayem। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।