কিভাবে ফ্যাক্টরীতে স্মার্টফোন তৈরি করা হয়

প্রযুক্তির দুনিয়ায় স্মার্টফোন এখন সবার হাতে হাতে। স্মার্টফোন এর ভিতরে ফ্লাগশিপ ক্যামেরা, স্ন্যাপদড্রাগন প্রসেসর, বেজেল লেস ডিসপ্লে, ওয়ারলেস চার্জার, বোকেহ ইফেক্ট আরো কত সব প্রযুক্তি। দিনের পর দিন স্মার্টফোন নির্মতা প্রতিষ্ঠান গুলো একের পর এক প্রযুক্তির চমক দিয়েই যাচ্ছে। আপনি কি কখনো আপনার স্মার্টফোনটি হাতে নিয়ে ভেবেছেন এই গুলো কিভাবে তৈরি হ?আপনার মনে যদি এই প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য। আজকে আমরা দেখাবো কিভাবে ফ্যাক্টরীতে স্মার্টফোন তৈরি করা হয়। যদি ইন্টারনেট স্পীড ভালো থাকে তাহলে স্মার্টফোন কিভাবে ফ্যাক্টরীতে তৈরির করা হয় ভিডিও আমার প্রযুক্তি বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল TechSpark BD অথবা নিচে দেওয়া ভিডিও থেকে দেখে আসতে পারেন। তাহলে এবার শুরু করা যাক।

স্মার্টফোন তৈরি সম্পর্ন করার জন্য ৩টি ধাপ অনুসরন করা হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপ হচ্ছে পিসিবি বোর্ড তৈরি করন, কম্পোনেন্ট লাগানো, সফটওয়ার ইন্সট্রোলেশন। আর এই জন্য প্রথমেই পিসিবি বোর্ড কে ভালোভাবে পরিস্কার করে নেওয়া হয় যাতে কোন প্রকার ময়লা না থাকে। এর পর পিসিবি বোর্ড কে পাঠানো হয় সার্কিট লেয়াউট প্রিন্ট করার সেকশনে। সার্কিট লেয়াউট প্রিন্ট হয়ে গেলে নিয়ে যাওয়া হয় কাটিং মেশিনে যেখানে স্মার্টফোনের সাইজ অনুসারে প্রত্যেকটা পিসিবি বোর্ড কে কাটা হয়। পিসিবি কাটা হয়ে শেষ হয়ে গেলে এগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয় ইনস্পেকশন সেকশনে, এই খানে প্রত্যেকটা পিসিবি বোর্ড কে চেক করা হয়। চেক করা হয়ে গেলে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট লেয়াউট এর উপরে রেজিস্টার, ডায়োড, সিপিইউ অর্থাৎ হার্ডওয়্যার এর ভিবিন্ন কম্পোনেন্ট লাগানোর সেকশনে। কম্পোনেন্ট গুলো লাগানোর শেষ হলে গেলে চেক করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ফাইনাল ইন্সপেকশন সেকশনে। আর এই খানে দেখা হয়ক সমস্ত কম্পোনেন্ট গুলো ঠিক মত লাগানো হয়েছে কিনা। যদি সব কিছু ঠিক থাকে তবেই নিয়ে যাওয়া হয় সোল্ডারিং সেকশনে। সোল্ডারিং করা শেষ গেলে কম্পিউটার দিইয়ে ফাইলান চেক আপের জন্য স্কেন করা হয়। সার্কিটের সিরিয়াল নাম্বার, কম্পোনেন্ট ঠিকঠাক আছে কিনা দেখা হয়। এই পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তবেই তাদেরকে নিয়ে যাওয়া সফটওয়্যার ইন্সট্রোলেশন সেকশনে। এই খানে স্মার্টফানর যে সব ফিচার থাকে যেমন ব্ললোটুথ, ওয়াইফাই ইত্যাদি গুরুত্ব পুর্ন ফিচার গুলো ধাপে ধাপে ইন্সট্রোল করা হয়য়। ইন্সট্রোল করা শেষ হয়ে গেলে চেক করে সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে এদের কে নিয়ে যাওয়া হয় ২য় ধাপে।

How to make Smartphone In Factory

২য় ধাপ স্মার্টফোন এসেম্বলি। এই ধাপে এসে মোবাইলের বিভিন্ন মডিউল সংযোগ করা হয়। এই খানে প্রত্যেকটা মডিউল আলাদা আলাদা থাকে। ব্যাক কেজ, চার্জিং পোর্ট, ক্যামেরা, পাওয়ার বাটন, সিম স্লট, এসডি কার্ড স্লট, ব্যাটারি ইত্যাদি একেক জায়গায় একেক টা লাগানো হয়। এই খানে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পুর্ন করা হয় ম্যানুয়ালী। সমস্ত মডিউল লাগানো হয়ে গেলে সব গুলো ফোনে স্কু লাগানো হয়। এর পর উপর থেকে প্রেসআর দিয়ে ব্যাক পেনেল লাগানো হয়। সমস্ত কাজ সম্পুর্ন হয়ে গেলে সব কিছু ঠিক আছে কিনা এইটা দেখার জন্য স্মার্টফোনটি অন করে এর সফটওয়ার ও হার্ডওয়্যার চেক করা হয়।

যদি সব কিছু ঠিক ঠাক থাকে তাহলে স্মার্টফোন গুলো কে টেষ্ট করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় শেষ ধাপে অথ্যাত ৩য় দাপে। এই খানে বিভিন্ন রকমের টেষ্ট করা হয়। প্রথমেই করা হয় ফোনের ড্রপ টেষ্ট। নির্দিষ্ট একটা দূরত্ব থেকে মোবাইল কে নিচের দিকে ফেলে দেওয়া হয়।

এইখানে ফোনের ইউএসবি পোর্ট টেষ্ট করা হচ্ছে যেটা দিয়ে মোবাইল চার্জিং ও ইউএসবি ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। উপর এবং নিচ থেকে প্রায় ৩ কেজি পরিমান প্রেসার দেওয়া হয়।

আর এই খানে ফোনের পাওয়ার বাটন টেষ্ট করা হচ্ছে। অটোমেটিক মেশিন ধারা অনবরত বাটনে চাপ দেওয়া হয়। পাওয়ার বাটন অন অফ এর এই প্রক্রিয়াটি ১ লক্ষ বার করা হয়।

এই খানে ইউএসবি পোর্ট এ ইউএসবি একবার লাগানো হছে আবার খোলা হচ্ছে। এই ভাবে ১০ হাজার বার ইউএসবি একবার লাগানো আবার খোলা হয়

এই খানে ফোনের ব্যাক কাভারের কালার টেষ্ট করা হছে.১০০০ থেকে ১২০০ বার এই ভাবে কাভারের উপরে ঘসা হয় এবং দেখা হইয় রঙ্গ উঠে যায় কিনা।

এই খানে ফোনের চার্জিং ক্যাবল, ঈয়ারফোনে টেনে ঘুরিয়ে পেচিয়ে টেষ্ট করা হচ্ছে।

এর পর সর্বশেষে একে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রেখে রেখে টেষ্ট করা হয়। ঠান্ডা, গরমে রেখে এদের কে পরিক্ষা করা হয়।

সমস্ত পরিক্ষায় পাশ করলেই তবে এদেরকে বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হয়। এই বার হয়তো আপনার শখের ফোনটি হাতে নিয়ে ভাবতে পারেন এত গুলো টেষ্ট করার পরে যদি ফোনটি আপনার কাছে আসে তাহলে তো ফোনের অর্ধেক লাইফই শেষ। ভয় পাবার কোন কারন নেই। এই টেষ্ট করা ফোন গুলো একটাও বাজারে ছাড়া হয় না। তারা তাদের উৎপাদিত ফোনের মধ্য থেকে কিছু ফোন নিয়ে এই টেষ্ট গুলো করে এবং নির্দিষ্ট একটা পারসেন্টেস সাক্সেস রেড হিসাবে ধরে, যদি ফোন গুলো টেষ্ট করার পর ওই সাক্সেস রেড পার করতে পারে তবেই বাকী ফোন গুলো বাজারে বিক্রির জন্য ছারে।

আজকে এ পর্যন্তই দেখা হবে আবার কোন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে। আর অবশ্যই আপনে কোন ব্যান্ডের ফোন ব্যবহার করছেন টিউমেন্ট সেকশনে জানান। টিউমেন্টে যে ব্যান্ডের ফোন ব্যবহারীর সংখ্যা বেশি হবে পরবর্তী টিউনে সেই ব্যান্ডের ফোন কিভাবে ফ্যাক্টরীতইর তৈরি করা হবে দেখানো। আর অবশ্যই নিচে দেওয়া ভিডিও টি দেখার পর লাইক, টিউমেন্ট, শেয়ার করতে ভুলবেন না। ভিডিও টি দেখে ভালো লাগলে আরো সব নতুন নতুন আপডেট পেতে আমাদের প্রযুক্তি বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।

 

ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/BOzqR0QfBf0

Level 2

আমি রাকিব সরকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস