সবাইকে স্বাগতম জাহাঙ্গীর ল্যাবে।
বড় বিচিত্র আমাদের এই দুনিয়া, আর বিচিত্র মানুষের আজব কিছু প্রথা নিয়ে সাজানো সিরিজ আজিব চীজ। আজ দ্বিতীয় পর্ব
আজ জানব ইউরোপ মহাদেশের নববর্ষ ও সৌভাগ্য নিয়ে সাতটি আজব প্রথা।
আশ্চর্য ৭.খাবারে সৌভাগ্য
প্রত্যেকে খাবার খেতে পছন্দ করে কিন্তু এস্তোনিয়ায় নববর্ষে সাত, নয় বা বারোবার খাবার খেয়ে থাকে যাতে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে খেতে পারে। একই কারণে বেলারুশিয়ায় ডাইনিং টেবিলভর্তি খাবার রাখে। নেদারল্যান্ডে ওলি ও বোলেননামক মিষ্টি খাবার, ফ্রান্সে প্যানকেক ও অস্ট্রিয়ায় বিশেষ রোস্টকে সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করে। স্পেনে কেউ যদি নববর্ষেরাত ১২টার পরে মুখে ১২টি আঙুর পুরতে পারে, তবে ধরে নেওয়া হয় বছরটি তার জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে। স্পেনের মত পর্তুগালেও রাত ১২টার ১২টি আঙ্গুরকে সারা বছরের সুখশান্তিরনিশ্চয়তা মনে করা হয়।
আশ্চর্য ৬.খাবারে সৌভাগ্য লোকানো
গ্রীসে সেন্ট বেসিলপিঠা বা ভাসিলোপিঠা তৈরি করা হয়। পিঠার ভেতরে রূপা বা সোনার মুদ্রা রেখে সিদ্ধ করা হয়। তারপর তা সবার মধ্যে পরিবেশন করা হয় যে ব্যক্তি মুদ্রা সহ কেকের টুকরা পায় তাঁকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। একই রকম প্রথা সুইডেনেও প্রচলিত তারা রাইস পুডিং এর মধ্যেকাঠবাদাম লুকিয়ে রাখে
আশ্চর্য ৫. অনুমান করে সৌভাগ্য
জার্মানিতে মানুষ ঠান্ডা পানির মধ্যে গলিত সিসার টুকরা ঠেলে দেয়। সিসার টুকরা কী রকম আকার নেয় তা দেখে ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা হয়। হৃদয় আকৃতি মানে বিয়ে, গোল বল মানে সৌভাগ্য, ক্রস মানে মৃত্যু, তারা মানে সুখ। ফিনল্যান্ডে একটি গ্লাসের পানিতে গলিত টিন ফেলে দেয় এবং এর আকৃতি দেখে ভবিষ্যৎঅনুমান করা হয়
আশ্চর্য ৪. পোষা প্রাণীতে সৌভাগ্য
বেলজিয়ামে কৃষকেরা পোষা ও পালিত প্রাণীদের সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করে। তাই তারা নববর্ষে পোষা ও পালিত পশুদেরও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে থাকে। তারা বিশ্বাস করে প্রাণীদের সাথে কথা বললে সৌভাগ্য আসবে। বেলজিয়ামের মত রোমানিয়ায় ও কৃষকেরা গরুর সাথে কথা বলার চেষ্টা করে থাকে।
আশ্চর্য ৩. আগন্তুকের সাথে সৌভাগ্য
রাশিয়ায় একটি পুরানো কুসংস্কার আছে যদি কোন অপরিচিত ব্যক্তি বছরের শুরুতে তাদের বাড়ীতে আসে তাহলে তাদের সারা বছরই ভালো কাটবে। বুলগেরিয়ায় বর্ষবরণের দিন হাঁচি দেয়া বেশ সৌভাগ্য ও মঙ্গলের প্রতীক। বর্ষবরণের দিন তাদের বাড়িতে আসা কোনো অতিথি যদি হাঁচি দেন, তাহলে বাড়ির কর্তা তাকে নিজের খামারে নিয়ে যান। এরপর ওই ব্যক্তির প্রথম নজর যে পশুর ওপর পড়বে, সেই পশুটি ওই ব্যক্তিকেউপহার দেয়া হয়।
আশ্চর্য ২. ভাঙ্গা প্লেট ও চেয়ার লাফ
সারা বছর ধরে, ড্যান্স তাদের পুরানো ডিশগুলি শুধুমাত্র নববর্ষে পরিবারের বন্ধুদের দোরগোড়ায় ডজনে ফেলে দেয়। রাতের শেষে যার দরজার পাদদেশে অনেক ভাঙ্গা প্লেট জমা থাকলে তাকে ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়। ডেনমার্কে লোকেরা বছরের শেষ প্রহরে চেয়ারে উঠে এবং বারোটা বাজতেই লাফ দেয় যেন তারা লাফ দিয়ে নতুন বছরে পড়ল
আশ্চর্য ১.দুর্ভাগ্য তাড়িয়ে সৌভাগ্য
সুইজারল্যান্ডে তারা মেঝেতে আইসক্রিম ড্রপ করে নতুন বছর উদযাপন করে। আয়ারল্যান্ডে তারা মন্দ আত্মার পরিত্রাণ পেতে রুটি দিয়ে দেয়ালে আঘাত করে। হাঙ্গেরিতে নববর্ষেরদিন “জ্যাক স্ট্র” নামক এক প্রকার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এই কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে দুভার্গ্যকে ছুড়ে ফেলা হয়। বছরেরশেষ দিন হাঙ্গেরিবাসী হাঁস, মুরগি বা কোনো ধরনের পাখির মাংস খান না। উড়তে পারে এমন পাখির মাংস খেলে নতুন বছরে জীবন থেকে সব সৌভাগ্য উড়ে যাবে!
ইউটিউবে দেখুন
https://youtu.be/ftAH5tL1rE0
কাদের নববর্ষের কথা আপনার বেশী ভাল লাগলো টিউমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
নতুন বছরে আর কোন আলসেমি নয় কাজে লেগে যান! সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ!
আমি জাহাঙ্গীর ল্যাব। , YouTube বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 95 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মোঃ-জাহাঙ্গীর আলম,পেশায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ল্যাব) বেড়ে উঠা নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানা সান্দিকোনা ইউনিয়নের ডাউকী গ্রামে বাবাঃ-মোঃ-আব্দুস সাত্তার মাতাঃ-মমতাজ বেগম তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ ডাউকী বেঃসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়+বিদ্যাবল্লভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিলাম ১ম স্থানে ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পাই বিদ্যাবল্লভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সান্দিকোনা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পজিশন ১-৩এর...