ওয়েবসাইটের ট্রাফিক নিয়ে চিন্তিত? চিন্তার অবসান ঘটিয়ে জেনে নিন ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর জাদুকরী কৌশল!

অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যে ওয়েবসাইট ট্রাফিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোটা অনেকক্ষেত্রে তাদের জন্যে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়ায়। যথেষ্ট ট্রাফিক না থাকার দরুন অনেক প্রতিষ্ঠানই তাদের ক্রেতাদের হারিয়েছে। সেজন্যে প্রতিটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর জন্যে নানা কৌশল খোঁজে।

এই আর্টিকেলটি তাদের জন্যে ব্যাপক সহায়ক হবে যারা ওয়েবসাইট ট্রাফিক সম্পর্কে জানতে চান এবং কিভাবে তা বাড়াতে হয় এবং সর্বোপরি নিজেদের ওয়েবসাইটে যথেষ্ট পরিমানে ভিজিটর আনতে চান তাদের জন্যে পথ নির্দেশ হিসেবে কাজ করবে।

ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ানোর অনেক সৃজনশীল পথ রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি ভাল মানের কনটেন্ট বানাবেন, স্বাভাবিকভাবেই আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়বে। তবে এর পাশাপাশি আপনি নিচের কৌশলগুলো আয়ত্ত করতে পারেন, যেটা আপনার সাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করবে। আপনাকে চারটি কৌশল অবম্বন করতে হবে

আর্টিকেল লেখা সংক্রান্ত কৌশল
সাইটের প্রমোশন সংক্রান্ত কৌশল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার সংক্রান্ত কৌশল
ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ সংক্রান্ত কৌশল
১ আর্টিকেল লেখা সংক্রান্ত কৌশল
then-and-now-efficiently-writing-an-article-for-today-s-readers

উপযুক্ত হেডিং তৈরি করুন
বর্তমানের ব্যস্ত দুনিয়াতে মানুষ আপনার কনটেন্ট দেখার আগে আপনার হেডিং দেখবে। ফলে আপনাকে এমন হেডিং বানাতে হবে যেটা সহজেই লোকের চোখে পড়ে এবং তাদের আকৃষ্ট করে। ভালো হেডিং সমৃদ্ধ কনটেন্ট যখন স্যোসাল মিডিয়াতে শেয়ার হবে তখন সেটা লোকদের মনোযাগ আর্কষণ করবে ফলস্বরূপ আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।

সমৃদ্ধ কনটেন্টের আর্টিকেল তৈরি করুন
ভালো কনটেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র‌্যাংকিং লাভ করে। তাই আপনি নিশ্চত করুন যে, আপনার কনটেন্ট লোকদের চাহিদার উপযোগী, তারা যা চাচ্ছে সেটা যেনো আপনার কনটেন্টে বিদ্যমান থাকে। ভালো কনটেন্টে সাধারণত নিচের বৈশিষ্ট্যগুলো মাথায় রাখবেন

সহজবোধ্য ভাষা
বাহুল্যতা বর্জন করে, আপনি যা বলতে চাইছেন তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন। অন্যকারো থেকে সংগৃহীত বা কপি না করে বরং সৃজনশীলতার পরিচয় দিন। কেননা গুগল, ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনগুলো ধরতে পারে আপনি কার থেকে কপি করেছেন, তখন আপনার কনটেন্টটি সার্চ ইঞ্জিনের নিচের দিকে চলে যাবে।

ক্রেতাদের চাহিদাকে তুলে ধরুন
উপযুক্ত গ্রাহকদের চিহ্নিত করুন
ভালো সাইটের বৈশিষ্ট হচ্ছে তারা সকল গ্রাহকদের উদ্দেশ্য না করে প্রথমে তাদের গ্রাহকদের চিহ্নিত করে এবং সেসব চিহ্নিত গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে কনটেন্ট তৈরি করে। আপনি যখন আপনার ক্রেতাদের জানবেন তখন তাদের চাহিদা অনুসারে কনটেন্ট এবং উপযুক্ত হেডিং ব্যবহার করতে পারবেন।

শেয়ার-এভল কনটেন্ট তৈরি করুন
আপনার কনটেন্ট যেনো শেয়ারের উপযুক্ত হয় সে দিকটা বিবেচনায় রাখতে হবে। শেয়ার-এভল কনটেন্ট স্যোসাল মিডিয়াতে রাজত্ব করছে। আপনার কনটেন্ট যাতে সহজেই শেয়ার উপযুক্ত হয় সেটা নিশ্চিত রাখতে হবে এতে লোকজন আপনার কনটেন্ট শেয়ার করবে এবং আপনার সাইটের ভিজিট এতে বাড়বে। এর জন্যে ভালো হেডিং এবং সুন্দর ছবিযুক্ত কনটেন্ট বানান যেটা ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি শেয়ার উপযুক্ত হয়।

নিয়মিত আর্টিকেল তৈরি করুন
নিয়মিত আর্টিকেল বানালে লোকজন আপনার পন্য সম্পর্কে জানবে এবং ক্রয়ের জন্যে আপনার সাইটে ভিজিট করবে। তবে একই জিনিস না লিখে বরং বৈচিত্রতার সাথে আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে।

উপযুক্ত ট্যাগ এবং কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন
ট্যাগ, বিবরণ, মেটা-ডাটার উপর নির্ভর করছে আপনার সাইট কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শিত হবে। এক্ষেত্রে

নিশ্চিত করুন আপনার ট্যাগ ঠিক মতো আছে, আপনার লিংক ভেঙ্গে যায় নি।
সি-ই-ও বান্ধব কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
‘মেটা-ট্যাগ’ সফটওয়ার কোড ব্যবহার করুন।
উন্নত লিংক বিল্ড করুন
আপনার আগের পোষ্টগুলোর লিংক উল্লেখ করুন।
২. সাইটের প্রমোশন সংক্রান্ত কৌশল
image-01
কল-টু-অ্যাকশন ব্যবহার করুন
আপনার পাঠকদের সাথে আলাপচারিতায় যুক্ত হোন। আপনার পাঠকরা যদি নিশ্চিত হয় আপনি তাদের উপর মনোযোগী তবে তারা আপনার সাইটে বারবার ভিজিট করবে

টিউমেন্টের মাধ্যমে পাঠকদের সাথে যোগাযোগ করুন
পাঠকদের টাচে বা স্পর্শে রাখার ভালো উপায় হচ্ছে টিউমেন্ট। পাঠকদের ভালো টিউমেন্টের উত্তর দিন এবং তাদের উৎসাহিত করুন। নিয়মিত কিছুটা সময় টিউমেন্ট পর্যালোচনা করবেন এবং ভালো কমেন্টকে স্বাগত জানাবেন এবং উত্তর দিবেন।

অন্যান্য ব্লগ এবং সাইটের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন
অন্যান্য ব্লগ বা সাইটের সাথে সম্পর্ক তৈরি করুন, তাদের টিউনে টিউমেন্ট করুন এবং তাদেরকে আপনার সাইটে আসার আমন্ত্রণ জানান। আপনি অন্যদের সাইটে গেস্ট হিসেবে আর্টিকেল টিউন করুন অথবা তাদেরকে আপনার সাইটে গেস্ট হিসেবে টিউন করতে দিন। এতে আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়বে।

ফোরাম তৈরি করুন
আপনার ক্রেতা এবং পাঠকদের নিয়ে ফোরাম তৈরি করুন। তাদের সাথে মতের আদান প্রদান করুন। কার্যকরী ফোরাম আপনার সাইটটিকে জনপ্রিয় করে তুলবে।

বিজ্ঞাপণ প্রচার করুন
এইসবের পাশাপাশি আপনি বিজ্ঞাপণ প্রচার করতে পারেন। সেটা অনলাইন বা অফলাইনও হতে পারে। গুগল, ইয়াহু ইথ্যাদি বিজ্ঞাপণের নানা প্যাকেজ দিয়ে থাকে। সেগুলো থেকে আপনার পছন্দসই প্যাকেজ নিয়ে আপনার সাইটের প্রচারণা চালাতে পারেন।

৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার সংক্রান্ত কৌশল
20141117180945-right-business-wrong-social-media-culture

স্যোসাল বা সামাজিক মাধ্যম সাইটের ভিজিটর বাড়াতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। ফলে আপনি স্যোসাল মিডিয়াকে অগ্রাহ্য করতে পারেন না। তাই আপনাকে সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহারে পটু হতে হবে।

ফেসবুকে আপনার সাইটের পেজ বা গ্রুপ বানাতে পারেন এবং তাতে নিয়মিত আপডেট থাকতে হবে।
টুইটারে নতুন নতুন টিউন দিতে হবে
ফলোয়ার বাড়ানোর জন্যে থাম্ববির ব্যবহার করুন।
গুগল প্লাসে সক্রিয় হোন
পিনটারেস্টের উপযুক্ত ব্যবহার করুন।
ইন্সট্রগ্রামে আপনার চিহ্নিত গ্রাহকদের জন্যে সুন্দর ছবি তৈরি করে প্রচার করুন।
আপনার আর্টিকেলকে ‘রেডডিট’ এবং ‘ডিগ’ এ সাবমিট করুন। ‘রেডডিট’ এবং ‘ডিগ’ এর অনেক ফলোয়ার রয়েছে। সেখানে আপনার আর্টিকেলের উপস্থিতি আপনার সাইটের ট্রাফিক বাড়াবে।
৪. ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ সংক্রান্ত কৌশল
web-visitor

ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাটা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। তাদের দৃষ্টি আপনি যতটা আকর্ষণ করতে পারবেন আপনার সাইটের ট্রাফিক ততো বাড়বে। এর জন্যে আপনি নিচের পন্থা অবলম্বন করুন। দৃষ্টিনন্দন এবং দেখতে সুন্দর এরূপ ডিজাইনের সাইট তৈরি করুন, যেটা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে খাপ খায় সেই সাথে আপনার গ্রাহকদেরও আকর্ষণ করে।

পেজের ব্যালেন্স বা ভারসাম্য বজায় রাখুন
আপনার সাইটের উন্নতিকল্পে এতে বিদ্যমান পেজগুলোর ব্যালেন্স বা ভারসাম্য বজায় রাখুন। লোকে প্রথমে সাইটের উপরের বাম দিকে এবং হোভারের দিকে নজর দেয়, পরে ডান দিকে দৃষ্টি বুলায়। এক্ষেত্রে ভিজিটররা গ্রাফিক্স, ইমেজের চেয়ে আপনার টেক্সটের দিকে বেশি খেয়াল করবে, আর এখানেই ব্যালেন্স বা ভারসাম্যের গুরুত্ব। ব্যালেন্সের মাধ্যমে আপনার সাইট আরোও বেশি দৃষ্টিনন্দন হবে এবং আপনার পেজকে দেখতে এবং পড়তে সহজবোধ্য করবে। যেটা ভিজিটর বাড়াতে ব্যাপক কার্যকরী।

সাইটকে সিম্পল রাখুন
সাইটের পেজগুলো অযথা ভিজুয়াল গ্রাফিক্স দিয়ে ভরে না রেখে তাকে বরং সিম্পল রাখুন। এতে ভিজিটর আপনার সাইটে ভিজিট করতে স্বস্তি অনুভব করবে।

পরিচ্ছন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আকর্ষণীয় কালার ব্যবহার করুন
নেভিগেশন মেন্যু
সহজে নেভিগেট করার জন্যে লিংকসহ টুলবার তৈরি করুন যেটা সহজে নেভিগেট করা যায় এবং সেই টুলবারকে উপযুক্ত স্থানে রাখুন

ইনফোগ্রাফিক্স
ইনফোগ্রাফিক্স খুবই প্রভাবশালী এবং শেয়ার-এভব স্যোসাল মিডিয়া ফিড। ফলে আপনি আপনার সাইটের উপযুক্ত ইনফোগ্রাফিক্স বানিয়ে নিন।

পোডক্যাস্ট
আপনার চিন্তা চেতনা এবং মতামতকে ছড়িয়ে দেবার জন্যে পোডক্যাস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তারা যাত্রাপথে আপনার পোডক্যাস্ট শুনতে পারে এবং আপনি তা হতে আয়ও করতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল;-
আপনি আপনার সাইটের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে পারেন এবং ইউটিউবে তা আপলোড করতে পারেন। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে তা আপলোড করতে পারেন এবং সেখানের ভিউয়ারদেরকে আরোও বেশি তথ্য পেতে আপনার সাইটে আসার আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
এরকম আরো টিপস পেতে ভিসিট করুন!
আমার ব্লগ সাইট

Level 0

আমি আহমেদ পারভেজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

A Blogger Scientist by the mind and a passionate blgger by heart✌ Teach & inspire while you could & Smile while you have the teeth... “I don’t need anyone else to distract me from myself anymore, like I always thought I would.”


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস