জনসংখ্যা অনুপাতে দেশের উচ্চশিক্ষার চাহিদার তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আসন সংখ্যা কম হওয়ায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব ছিল না। এ কারণেই মূলত সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়। জারি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৯২। ওই সময় সরকার প্রথম দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। ২০১০ সালে নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। সে আইনের মাধ্যমে আরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। দেশে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৩টি (UGC এর হিসাব অনুযায়ি)। আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জনসংখ্যা অনুপাতে দেশের উচ্চশিক্ষার চাহিদার তুলনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আসন সংখ্যা কম হওয়ায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব ছিল না। এ কারণেই মূলত সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেয়। জারি করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৯২। ওই সময় সরকার প্রথম দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। ২০১০ সালে নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। সে আইনের মাধ্যমে আরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। দেশে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৩টি। আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর সংখ্যা সেঞ্চুরী পার করলে দেশে উচ্চশিক্ষার মানের কতটা উন্নয়ন হল তা অনেক বড় প্রশ্ন। দেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সংখ্যা পাবলিক ইউনিভার্সিটির দুই গুনেরও বেশী। দেশে উচ্চশিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক বড় অংশগ্রহন এই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর। কিন্তু কি শিখছে এই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে শিক্ষার্থিরা? উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষের কি শুধু সংখ্যা বাড়ছে নাকি দেশে আশাকরির উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠে না।
বর্তমানে আমাদের যে শিক্ষা ব্যবস্থা, সেটি মূলত চলছে গতানুগতিক ধারায়। প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্ব এগিয়ে গিয়েছে অনেকখানি। অথচ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক ততটা আধুনিক হয়ে ওঠেনি। সব মিলিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে মাইলফলক পরিবর্তন আনতে পারিনি। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন। ঢালাওভাবে সব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থাকে খারাপ বলা যাবে না। তবে প্রায় সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে দেশের উন্নয়ন নয় বরং বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খুলে বসেছে তা বোধ হয় কাওকে যুক্তি দিয়ে বোঝানোর দরকার নেই। বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে হোক আর যাই হোক একটা বিষয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিৎ। তা হল তার ভবিষ্যৎ জিবনের নিশ্চয়তা। দেশের প্রতিটা শিক্ষার্থিই অনেক স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। প্রাইভেট বা পাবলিক যাইহোক ৪ বছরের গ্রাজুয়েশন শেষে একজন শিক্ষার্থীকে যেন বেকার বসে থাকতে না হয়। শুধু যে চাকরিই পেতে হবে এমন নয় সে যেন একজন সফল উদ্যোগতা হতে পারে তাকে সেই মানের স্কিল্ড করে গড়ে তুলতে হবে। ৪ বছরের শিক্ষা জিবনের মধ্য দিয়ে তার যেন এমন অভিজ্ঞতা হয় যাতে তার অভিজ্ঞতা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ইস্যু না হয়।
আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা মানে শুধু জ্ঞান অর্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া নয়, বরং এর পাশাপাশি প্রায়োগিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। কেননা উচ্চশিক্ষার প্রতিটি ধাপের শেষে যদি যথার্থ প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে শিক্ষা আদতে কোনো কাজে লাগে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঠিক সেভাবেই তৈরি করা উচিৎ, যাতে তারা পুথিগত বিদ্যার বাইরেও চাকরিক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত থাকেন।
নতুন নতুন অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনতে পাচ্ছি। সম্প্রতি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বেশ শুনতে পাচ্ছি সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনলোজি। এটি বাংলাদেশের প্রথম কারিগরি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া আরও নতুন অনুমোদন পেয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি’ এবং ‘ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি’ যেটি হবে বরিশালে। যাইহোক এই নতুন নতুন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম শুনে বা এ সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমি হতাশ নই বরং এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি একটাই কামনা তারা যেন শুধু সনদ বিক্রির বানিজ্য না করে বরং একজন শিক্ষার্থিকে তার ভবিষ্যৎ জিবনের জন্যে প্রস্তুত করে তোলে। শুধু কথায় নয় কাজের মধ্য দিয়ে প্রমান করতে হবে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব, শুধু ঝকঝকে চকচকে ক্যাম্পাস নয় চাই ঝকঝকে জিবনের নিশ্চয়তা। সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামক এই নতুন ইউনিভার্সিটির প্রচারণায় দেখলাম তারা খুব সজোরেই “Industry Driven University” বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাবে আশাকরি তারা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার প্রথাগত ট্রেডিশন ভাঙতে সক্ষম হবে।
শিক্ষা কোন পন্য নয় তাই সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা বানিজ্য বন্ধ করার অনুরোধ করছি। দেশে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে শিক্ষা, তবে দাম দিয়ে কিনলেও নেই মানের নিশ্চয়তা। সর্বসাধারনের জন্যে শিক্ষা নিশ্চিত করতে যদি না পারেন অন্তত মানের নিশয়তা দিন।
আমি শামীম আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।