ভিপিএস হল ভারচুয়াল প্রাইভেট সার্ভার। এটা বাক্তিগত কম্পিউটার এর মত। এবার আশাকরি।
ভিপিএস হোস্টিং কি :- এটা একটা ভারচুয়াল কম্পিউটার। এটা মূলত বাক্তিগত কম্পিউটার এর মত। আপনি আপনার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারবেন। ভিপিএস দিয়ে আপনার ইচ্ছামত ওয়েব সাইট হোস্ট করতে পারবেন। এতে আপনার ওয়েব সাইট এর লোডিং স্পিড বেড়ে যাবে। আপনার ওয়েব সাইটে যতই ভিজিটর আসুক সাইট অনলাইনে দেখাবে।
ভিপিএস হোস্টিং কেন ব্যবহার করবেন :- হ্যাঁ এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যাদের ওয়েব সাইটটা ভারি, অনেক ভারি ভারি ফাইল, ইমেজ ইত্যাদি থাকে এবং দিনে ১৫০০ এর বেশি ভিজিটর আসে, তাদের ওয়েব সাইট এর জন্য ভিপিএস খুবই জরুরি। ভিপএস ব্যবহারের ফলে ওয়েব সাইট এর ভারসাম্যতা বজায় থাকবে। dedicated সার্ভিস এর চেয়ে ভিপিএস সার্ভিস এর মূল্য কম।
কেন ভিপিএস হোস্টিং, শেয়ার্ড ও ডেডিকেটেড এর চেয়ে আলাদা :- ডেডিকেটেড সার্ভার মানে হল নিজেরই একটা সার্ভার সেবা তৈরি করা। শেয়ার্ড হল সার্ভিসটা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা। আর ভিপিএস হল বাক্তিগত ভাবে নিজের কম্পিউটার এর মত ব্যবহার করা। যাদের ওয়েব সাইট এ প্রচুর ভিজিটর আসে তাদের সাইট এর জন্য ভিপিএস বেশি প্রয়োজন। কিন্তু প্রত্যেকের আবার ডেডিকেটেড সার্ভারের প্রয়োজন হয় না। আপনি পুরো একটা সার্ভার না নিয়ে যদি শুধু প্রয়োজনীয় একটা সার্ভিস নেন, তাতে আপনার আর্থিক সাশ্রয় হবে। আবার আপনি যদি সার্ভিসটা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করেন তাতে আপনার সার্ভারের লোডিং স্পিড কমে যাবে এবং ভিজিটর কমে যাবে। তাই আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি ডেডিকেটেড বা শেয়ার্ড এর চেয়ে ভিপিএস একদমই আলাদা এবং সুবিধা বেশি।
ভিপিএস হোস্টিং কিভাবে কাজ করে:- ভিপিএস হল ভার্চুয়াল মেশিন। এই প্রোগ্রামগুলি আপনাকে একই মেশিনে কয়েকটি ভার্চুয়ালাইজ করা অপারেটিং সিস্টেম চালানোর অনুমতি দিবে। মনে করুন, আপনার ডেস্কটপ উইন্ডোজ 7 চলমান হতে পারে, তবে আপনি আপনার কম্পিউটারটি চালু করার প্রয়োজন ছাড়াই উইন্ডোজ এক্সপি বা লিনাক্সের মতো অপারেটিং সিস্টেমগুলি চালাতে পারেন। আপনার কতটুকু ডিস্ক স্পেস, RAM, cpu
প্রয়োজন সেটা ভিপিএস দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
কাদের জন্য ভিপিএস হোস্টিং বেশি প্রয়োজন:- বর্তমানে ভিপিএস এর চাহিদা বেশি। চাহিদা যতই থাক প্রয়োজন ছাড়া কেউ কোন কাজ করে না। তাই আসুন জেনে নিই কাদের জন্য ভিপিএস বেশি প্রয়োজন।
ভিপিএস হোস্টিং এর কনফিগারেশন :- আসুন সবাই মিলে ভিপিএস হোস্টিং এর কনফিগারেশন কেমন হবে দেখে নিই।
আপনাকে ভিপিএস হোস্টিং কেনার পূর্বে কনফিগারেশন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ভিপিএস হোস্টিং এর সুবিধাসমূহ :- এবার আশাকরি।
ভিপিএস কেনার পূর্বে যে বিষয় গুলো জেনে রাখা জরুরি-
RAM:- আপনার ওয়েব সাইট এ ভিপিএস ব্যবহারের জন্য কতটুকু RAM এর প্রয়োজন সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা এবং সার্ভারে সফ্টওয়্যার ইনস্টলেশনের উপর নির্ভর করে, আপনাকে সার্ভার থেকে RAM স্পেস নিতে হবে।
ডিস্ক স্পেস:- আপনার ফাইল অনুযায়ী আপনার সাইট এর জন্য কতটুকু স্পেস প্রয়োজন সেটা আপনাকে জানতে হবে এবং যে কোম্পানি থেকে সার্ভিসটা নিবেন, সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ডিস্ক স্পেস নিতে হবে। সবসময় আপনার যতটুকু স্পেস দরকার তার চেয়ে একটু বেশি স্পেস নিবেন কারণ পরে আপনার হয়ত ফাইলটা বড় করার ইচ্ছা হতে পারে।
CPU:- CPU হল Central Processing Unit। Processing এর মাধ্যমে কম্পিউটারকে সঞ্চালন করে রাখে। ভিপিএস এ CPU খুবই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আপনাকে ভিপিএস কেনার সময় CPU এর কথা মাথায় রাখতে হবে।
ব্যান্ডউইথ:- আপনার সাইট এ ভিপিএসটা যেমন জরুরি, তেমনি ব্যান্ডউইথও জরুরি। ওয়েব সাইট এ ভালো পরিমাণ ভিজিটর আসলে, ব্যান্ডউইথটাও ভালো পরিমাণ হতে হবে। এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আপগ্রেড করা যাবে কিনা জেনে রাখতে হবে।
নিরাপত্তা:- প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার সার্ভিস এ যদি নিরাপত্তা না থেকে তাহলে যে কেউ ব্যবহার করতে পারে বা যে কোন খারাপ ফলাফল হতে পারে। তাই নিরাপত্তা বাবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
মন্তব্য:- পরিশেষে বলা যায় যে, technical জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ভিপিএস ব্যবহার করলে তাতে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাই সবাই বেশি বেশি technical জ্ঞান সম্পর্কে জানুন এবং অপরকে জানান। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজ বিদায় জানাই। আল্লাহ হাফেজ। লেখিকা ইয়াসমিন আক্তার ইতি। asst. officer at MyLightHost.
আমি ইতি আক্তার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 10 টিউনারকে ফলো করি।