-
বর্তমানে মিডিয়া জগতে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদের নিজস্ব অবস্থান তৈরিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কারণ এদেশে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ ছিল না। শুরুতেই স্ব-শিক্ষিতরাই মাল্টিমিডিয়া শিল্পের সূচনা করলেও এখন এসব বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কেননা, বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতির ফলে টোটাল একটা অটোমেশন যুগের দিকে আমরা ধাবিত হয়েছি। আর এই অটোমেশন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যেকটা টেকনোলজী বিদ্যমান তার মধ্যে মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজী অন্যতম। বিজ্ঞানের গনিত, লজিক বা প্রোগ্রামিং এর সাথে নন্দনতত্ত্বের এক সৃজনশীল সংমিশ্রনের ফলাফল এই মাল্টিমিডিয়া টেকনোলজী।
বর্তমানে মাল্টিমিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ম পরিবেশও এখন অত্যন্ত চমৎকার এবং কাজের সুযোগও অনেক বেশি। এর মধ্যে আছে বিজ্ঞাপণী সংস্থা, টিউন প্রোডাকশন হাউজ, টিভি চ্যানেল সমূহ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, আর্কিটেকচারাল ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন ফার্ম, এনিমেশন এবং কার্টুন ইন্ডাস্ট্র্রি, সিমুলেশন ইন্ডাস্ট্রি এবং সফটওয়্যার ফার্ম ইত্যাদি। মাল্টিমিডিয়ার প্রসারণের সাথে সাথে গেইম ইন্ডাস্ট্রির ও উত্থান ঘটেছে আমাদের দেশে।
আমাদের দেশে এক সময় একটি বাংলা চ্যানেলই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখন বাংলা টিভি চ্যানেলের সংখ্যা প্রায় ৪০ ছাড়িয়ে গেছে। কম্পিউটার সফটওয়্যার আউট সোর্সিং এর একটি বাজার ইতিমধ্যে এদেশে তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্যের চাহিদাও প্রচুর। এর মানে দিনে দিনে প্রয়োজন হবে অনেক দক্ষ কর্মীর যারা প্রযুক্তি শিক্ষার পাশাপাশি হবে সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের প্রসারতা।
বিগত দিনগুলোতে আমাদের দেশ থেকে শত শত শিক্ষার্থী ভারতের ব্যাঙ্গালোর, পুনে ও সিলিকন ভ্যালিতে মাল্টিমিডিয়া এনিমেশন ও ক্রিয়েটিভ আটর্স-এর উপর লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতো। ভারতে মাল্টিমিডিয়া এনিমেশন ও ক্রিয়েটিভ আটর্স-এর তিন বছরের একটি কোর্সে প্রায় ১০-১২ লক্ষ রুপি খরচ হয়। অথচ এখন মাত্র ৫-৬ লক্ষ টাকা খরচ করে ঘরে বসেই এ ডিগ্রি অর্জন সম্ভব। সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ায় এ ধরনের একটা কোর্সে খরচ পড়বে ২০-২৫ লাখ টাকা বা তার চেয়েও বেশী। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ। কারণ বাংলাদেশ থেকে তারা আরও কম খরচে ভালো মানের কাজ করিয়ে নিতে পারবে। বিশেষ করে বিভিন্ন এনিমেটেড ফিল্মের লোয়ার এন্ডের কাজ করার প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হবে দেশীয় মাল্টিমিডিয়া ডেভেলপার ও এনিমেটরদের সামনে। সারা বিশ্বের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এ কথা খুব সহজেই বলা যায় মাল্টিমিডিয়া ও এনিমেশন শিল্প হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দ্রুত প্রসারণশীল শিল্প। এক জরিপে দেখা যায় এ শিল্পের বৃদ্ধির হার প্রায় ৪০%।
আর এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০১২ সালে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন নিয়ে থেকে মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিষয়ে চার বছর মেয়াদী বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ও একমাত্র অনার্স কোর্স চালু করেছে। ভিজুয়াল আর্টস এন্ড কমিউনিকেশন, 3D এনিমেশন এন্ড VFX ইঞ্জিনিয়ারিং, গেইম ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ফিল্ম ও মিডিয়া; এই চারটি সেকটর এর উপর ভিত্তি করেই সৃজনশীল দক্ষ জনশক্তি দেশকে উপহার দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। আর তাই আমাদের সকল কোর্স যুগোপযোগী ও ইন্ডাষ্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করা। চলমান টেকনোলজির সাথে তাল মিলিয়ে এই বিভাগের কোর্সে Augmented Reality (AR)/Virtual Reality টেকনোলজির অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। উন্নতমানের 3D এনিমেশন এর কাজের জন্য রয়েছে Motion Capture Device সহ অত্যাধনিক ইনডোর শুটিং ল্যাব।
ডাক্তার, প্রকৌশলী বা ব্যবসায়ী প্রসাশন ছাড়াও যে এখন মাল্টিমিডিয়া বিষয়ক সৃজনশীল কাজের জন্য যে নতুন কর্মসংস্থানের ধারা তৈরী হয়েছে তা উপরের আলোচনা থেকেই বোধ করি বোঝা যায়। ৬ বছরের এই ক্ষুদ্র সময়ে আমাদের মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগ থেকে এই পর্যন্ত ১০০ এর অধিক ছাত্রছাত্রী গ্রাজুয়েশন শেষ করে বেরিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখন নিজেরাই উদ্যোক্তা হয়েছেন, কেউ আছেন টিভি চ্যানেলে Motion Graphic Artistহিসেবে, কেউ আছেন রিয়েলষ্টেট বা বিল্ডার্স কোম্পানীতে Architectural Visualizer হিসেবে, কেউ আছেন সফটওয়ার কোম্পানীতে Programmer/ Game Developer/ UI/UX designer হিসেবে, কেউ আছেন প্রোডাকশন হাউজে 2D/3D Animator, Video Editor, Graphics Designer হিসেবে। এছাড়াও শিক্ষাকালীন সময়ের ১ম বর্ষের পর থেকেই তারা আউটসোর্স বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে থাকে। তাছাড়া এই বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা ড্যাফোডিল ফ্যামিলির আয়তাভুক্ত ড্যাফোডিল মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড সহ (ডলফিন, BSDI, Skill.jobs, Daffodil Venture Capital, DJIT)প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
মাল্টিমিডিয়া ভুবনের অসীম সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে দীর্ঘ দেড় বছর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, এনিমেশন ইন্ডাস্ট্রি, মাল্টিমিডিয়া, সফটওয়্যার, তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও সংবাদ মাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে চার বছর মেয়াদী “বি.এস.সি ইন মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি” প্রোগ্রাম শুরু করেছিল সেই ২০১২ সালে। কালে কালে ৬ টি বছর পেরিয়ে গিয়েছে, অসীম সম্ভাবনার সেই চিন্তা আজ বাস্তবে সফল হয়ে নতুন কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দিয়েছে। তাই সকলের প্রতি সাদর আমন্ত্রন রইলো এই বিভাগটিকে জানার জন্য, বোঝার জন্য।
বিস্তারিত আরো জানতে ভিজিট করুন।
http://www.daffodilvarsity.edu.bd
http://mct.daffodilvarsity.edu.bd/
ফোনঃ ০১৮৪৭১৪০০৫৬ ডিপার্টমেন্ট অফিস। ০১৭১৩-৪৯৩০৫০ এডমিশন অফিস।
https://youtu.be/DCUPv8WwvCQ
Department of Multimedia & Creative Technology, DIU
সংগ্রহীত ঃ
কেন পড়বেন মাল্টিমিডিয়া এন্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি...
Posted by Shaikh Muhammad Allayear on Sunday, October 28, 2018
আমি সাদিউর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।