বেশ কয়েকটি প্রচলিত কুসংস্কার.!
কুসংস্কার(ইংরেজি ভাষায়: superstition) হল অযৌক্তিক যেকোনো বিশ্বাস বা অভ্যাস - যেমন, এটি অজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত হয়, বিজ্ঞান বা এর কার্যকারিতা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হওয়া, ভাগ্য বা জাদুতে ইতিবাচক বিশ্বাস অথবা যা অজানা তা থেকে ভয় পাওয়া। এছাড়াও "কুসংস্কার" বলতে ধর্মীয় বিশ্বাস বা অযৌক্তিকতা থেকে উদ্ভূত কর্মকাণ্ডকে বোঝায়। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক, আমাদের দেশে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার.
১) পরিক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরিক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে।
২) নতুন স্ত্রীকে দুলাভাইয়ের কোলে করে ঘরে আসতে হবে।
৩) দোকানের প্রথম কাস্টমার ফেরত দিতে নাই।
৪) নতুন স্ত্রীকে নরম স্থানে বসতে দিলে মেজাজ নরম থাকবে।
৫) বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ দিতে হবে।
৬) জোড়া কলা খেলে জোড়া সন্তান জন্ম নিবে।
৭) রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই।
৮) চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের নুনু লাগালে সুস্থ হয়ে যাবে।
৯) ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।
১০) ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
১১) ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
১২) ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
১৩) ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়। দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, “ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে। ”
১৪) মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
১৫) বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়।
১৬) ঘরের ভিতরে প্রবেশকৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে।
১৭) রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
১৮) ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
১৯) ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
২০) মহিলাদের পিরিয়ড চলাকালীন সময় সবুজ কাপড় পরিধান করতে হবে। তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না।
২১) বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
২২) ভাঙ্গা আয়না দিয়ে চেহারা দেখা যাবে না। তাতে চেহরা নষ্ট হয়ে যাবে।
২৩) ডান হাতের তালু চুলকালে টাকা আসবে। আর বাম হাতের তালু চুলকালে বিপদ আসবে।
২৪) নতুন কাপড় পরিধান করার পূর্বে আগুনে ছেক দিয়ে পড়তে হবে।
২৫) নতুন কাপড় পরিধান করার পর পিছনে তাকাতে নাই।
২৬) বৃষ্টির সময় রোদ দেখা দিলে বলা হয় শিয়ালের বিয়ে।
২৭) ধারনা করা হয়, আশ্বিন মাসে নারী বিধবা হলে তার আর কোন দিন বিবাহ হবে না।
২৮) খানার পর যদি কেউ গা মোচড় দেয়, তবে বলা হয়- খানা না কি কুকুরের পেটে চলে যায়।
২৯) রাতের বেলা কাউকে সুই-সূতা দিতে নাই।
৩০) খালি ঘরে সন্ধ্যার সময় বাতি দিতে হয়। না হলে ঘরে বিপদ আসে।
৩১) গোছলের পর শরীরে তেল মাখার পূর্বে কোন কিছু খেতে নেই।
৩২) মহিলার পেটে বাচ্চা থাকলে কিছু কাটা-কাটি বা জবেহ করা যাবে না।
৩৩) পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়ে যাবে।
৩৪) কোন ব্যক্তি বাড়ি হতে বের হলে যদি তার সামনে খালি কলস পড়ে যায় বা কেউ খালি কলস নিয়ে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করে তখন সে যাত্রা বন্ধ করে দেয়, বলে আমার যাত্রা আজ শুভ হবে না।
৩৫) ছোট বাচ্চাদের হাতে লোহা পরিধান করাতে হবে।
৩৬) রুমাল, ছাতা, হাত ঘড়ি ইত্যাদি কাউকে ধার স্বরূপ দেয়া যাবে না।
৩৭) হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে।
৩৮) হাত থেকে প্লেট পড়ে গেলে মেহমান আসবে।
৩৯) নতুন স্ত্রী কোন ভাল কাজ করলে শুভ লক্ষণ।
৪০) পাখি ডাকলে বলা হয় ইষ্টি কুটুম (আত্মীয়) আসবে।
৪১) কাচা মরিচ হাতে দিতে নাই।
৪২) তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
৪৩) খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
৪৪) কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
৪৫) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
৪৬) পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
৪৭) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
৪৮) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে “দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে। ”
৪৯) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
৫০) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
৫১) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।
৫২) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
৫৩) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে।
৫৪) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।
৫৫) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
৫৬) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
৫৭) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।
৫৮) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না।
৫৯) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে।
৬০) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
কুসংস্কার শব্দটি প্রায়ই একটি নির্দিষ্ট সমাজের অধিকাংশের দ্বারা অনুসরণ না করা ধর্মের কথা বলে ব্যবহৃত হয়, যদিও প্রথাগত ধর্মের মধ্যে কুসংস্কার রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই আমাদের সকলেরই উচিত এসকল কুসংস্কার অবশ্য বর্জন করা।
ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আমি ফাতিকুল ফেরদৌস আসিফ। টেকটিউনসে আমার এইটা ফাস্ট ব্লগ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সামনে আর অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি এবং আপনাদের সুন্দর সুন্দর ব্লগ উপহার দিতে পারি।
আমি ফাতিকুল ফেরদৌস আসিফ। , Munshiganj। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 9 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, আমি "ফাতিকুল ফেরদৌস আসিফ"। আমি 20 ঘন্টা 7 মিনিট আগে বিশ্বের এই সর্ববৃহৎ বাংলা প্রযুক্তির সোসিয়াল নেটওয়ার্কের এর সাথে যুক্ত হয়েছি। আমি আপনাদের দারুন আর মানসম্মত টিউন নিয়মিত উপহার দিতে পারব বলে আশা করি। I am Fatiqul Ferdous Asif. I read engineers on computer science. In an...