ট্রাভেল পিলো যেখান থেকে এলো?

ট্রাভেল পিলো এখন আমরা অনেকি ব্যবহার করি। বেশি সময় ৫-১০ ঘণ্টার ভ্রমণে এর উপকারিতাও বেশ।

এবার যেনে নেই এর ইতিহাস, কোথা থেকে এলো এই ট্রাভেল পিলোঃ

ট্রাভেল পিলোকে অনেকে নেক পিলো বলে থাকেন। তবে এইটা ট্রাভেল পিলো নামে বেশি পরিচিত।

ইতিহাস
ধারনা করা হয় মেসোপটেমিয়াএ ৭০০০ BCE তে বালিশের ব্যবহার শুরু হয়। শুনতে অবাক হলেও সত্য এক সময় বালিশ শুধু ধনী আর বিত্তশালীরা ব্যবহার করতেন। প্রাচীন ইজিপ্টের একাধিক সমাধিতেও বালিশ পাওয়া গেছে। তবে এসব বালিশ পাথরের তৈরি। সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে বালিশ গৃহস্থালি পণ্যের স্বাভাবিক অনুষঙ্গই শুধু হয়ে ওঠেনি, চমৎকার রঙ ও সেলাই টেকনিকের অকল্পনীয় বিকাশের প্রেক্ষাপটে বালিশ নিজেই একটি শিল্পমাধ্যম হয়ে গেছে। আলঙ্কারিক বালিশের যাত্রা শুরু এখান থেকেই।

ইতিহাসে পাওয়া যায়, চায়নায় প্রথম আলঙ্কারিক বা শৈল্পিক কারুকাজের বালিশ একটি মূল্যবান পণ্যে পরিণত হয়। ইওরোপে শৈল্পিক বালিশের কদর শুরু হয় মধ্যযুগে। আর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডেকোরেটেড টেক্সটাইল ও ডেকোরেটেড বালিশ উতপাদনের দরজা খুলে দেয় শিল্প বিপ্লব। এটা ঠিক যে, সময়ের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বালিশের আকার ও উপাদানে তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। প্রাচীন গৃকের ধনী সম্প্রদায় কারুকাজ করা কুশন ও কোল বালিশে মাথা ও পা রেখে বিশ্রাম নিত। অন্য দিকে প্রাচীন ইজিপশিয়ানরা মাথাকে সিট অফ লাইফ বা জীবনের আসন জ্ঞান করতো। এ কারণে তারা মৃত ব্যক্তির মাথার নিচে দামি পাথরের বালিশ স্থাপনে সচেষ্ট থাকতো। চায়নিজদের অদ্ভুত বিশ্বাস ছিল এ রকম : নরম বালিশ দেহের জীবনীশক্তি কেড়ে নেয়। আর এ বিশ্বাস থেকে তারা প্রাচীনকালে কাঠ, চামড়া, ধাতু ও সিরামিক দিয়ে বালিশ বানাতো। কিছু বালিশের ভেতর তারা ভেষজ লতাপাতাও রেখে দিতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, এসব ভেষজ উপাদান নানা রোগ থেকে তাদের মুক্তি দেবে, সাদা চুল কালো বানাবে, পড়ে যাওয়া দাত গজাবে, এমনকি মধুর স্বপ্ন দেখতেও সহায়তা দেবে।

এই সব বিবর্তন আর পরিবর্তনের পথ পাড়ি দিয়ে আজকের এই ট্রাভেল পিলো।

Level 1

আমি প্রিন্স মাহামুদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস