আমরা কি আজিবন বেচে থাকতে পারবো? আমরা কি অমর হতে পারবো?
এই প্রশ্নের জবাব জানতে হলে আমাদের কে এটা জানতে হবে যে,
আমরা কেনো মারা যাই?
আমরা মারা যাই কারন আমাদের শরির বুড়ো হয়ে যায়,
আমাদের বডি অর্গানস দুর্বল হয়ে যায় এবং এটা এজন্য হয় কারন আমাদের শরিরের সেলস নস্ট হয়ে যায়
এমনিতে আমাদের শরিরে প্রতিদিন ই সেলস নস্ট হতে থাকে এবং নতুন সেলস জন্ম নিতে থাকে।
প্রতি ৫ বছরে আমাদের শরিরের কোষদের নববিকরন হয়ে থাকে।
এবং প্রতি ৫ বছরে আমাদের শরির একদম নতুন হয়ে যায় কারন প্রতিটি সেলস নস্ট হবার আগে
একটি নতুন সেল জন্ম দিয়ে যায়, বলা জায় একদম হুবহু নিজের কপি দিয়ে যায়
তাহলে যদি পুরোনো সেল নতুন সেল জন্ম দিয়ে থাকে তাহলে আমরা বুড়ো কেনো হই?
আজীবন বেচে থাকিনা কেনো? এটার কারন হচ্ছে টেলিফ্যাশ।
ট্যালিফ্যাশ হলো কোষের বৃদ্ধি এবং জন্ম দেয়ার কাজে নিয়োজিত শরিরের একটি অংশ,
প্রতিবার যখন একটি পুরোনো সেল একটি নতুন সেল জন্ম দেয় তখন তাদের মধ্যকার এই ট্যালিফ্যাশ
ধিরে ধিরে ছোট হতে থাকে
এবং নতুন সেল পুরোনো সেল থেকে সামান্য কম শক্তিশালি হয়,
এভাবেই একসময় এই ট্যালিফ্যাশ শেষ হয়ে যায় এবং নতুন সেল বানানোর সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে
এবং আমরা মারা যাই, তো প্রশ্ন হলো এই ট্যালিফ্যাশ কে কি শেষ হওয়া থেকে রোধ করা সম্ভব?
আনফরচুনেটলি এটার জবাব হচ্ছে না এটা সম্ভব নয়।
কিছু মানুষ বলে থাকে যে ক্যান্সারের সেল প্রতিনিয়ত নতুন সেল জন্ম দিতে থাকে
এবং এটা একদম সত্যি, ক্যান্সারের সেল শেষ হয়না এবং এর প্রতিটি সেল পুরোনো সেল এর মতোই শক্তিশালি হয়।
কিন্টু এটা সব সময়ের জন্য লাঘব হয়না
নিঃসন্দেহে ক্যান্সারের সেল আমাদের আয়ুর হিসাবে অনেক লম্বা সময় ধরে জীবিত থাকে কিন্তু তার মানে এই নয় যে
তারা আজিবন জীবিত থাকে।
যদি অনেক লম্বা সময়ের কথা বলি তাহলে এটা ও নস্ট হয়ে যায়।
এবং সেলস এর জন্মের কাজে নিয়োজিত ট্যালিফ্যাশ তো কোনো সেল নয় তাই আমরা তার শেষ হওয়া রোধ করতে পারবোনা।
কিন্তু হ্যা আমরা আমাদের সেল এর আয়ু বারাতে পারবো। এবং এটির নষ্ট হবার গতিকে কমিয়ে ফেলতে পারবো।
আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে যদিও আজিবনের জন্য নয় কিন্তু অনেক লম্বা সময় পর্যন্ত
জীবীত থাকতে পারবো। হয়তো ১০০ নয় ২০০- ৩০০ কিংবা ৪০০ বছর
তো এখন প্রশ্ন হলো এই ট্যালিফ্যাশ কে কিভাবে জলদি শেষ হওয়া থেকে বাচানো যায়?
এর জন্য আমাদের কে আমাদের সেল এর আয়ু কে বাড়াতে হবে যাতে সেলগুলো অনেক সময় ধরে বেচে থাকে
এবং নতুন সেলের জন্ম অনেক সময় পরে করতে হয়
এবং আমাদের ট্যালিফ্যাশ এর দৈরঘ ধীরে ধীরে কমে
এই ঘটনা টা এমন যে ধরেন আমাদের শরিরের সেলস এর আয়ু এক বছর এবং
এটি ১০০ বার নিজের সেলকে জন্ম দিতে সক্ষম এবং ১০০ বার নিজের কপিকে জন্ম দেয়ার পর
ট্যালিফ্যাশ শেষ হয়ে যাবে সেলস নিজের কপি জন্ম দিতে পারবেনা এবং আমরা মারা যাবো।
কিন্তু কোনোভাবে যদি আমরা আমাদের সেলস এর আয়ু ১ বছর থেকে ২ বছর করতে পারি
তাহলে সে তো নিজের কপি ১০০ বার ই করবে কিন্তু সেল এর আয়ু দ্বিগুণ হওয়াতে আমাদের আয়ু ও দ্বিগুন হয়ে যাবে
যেটা ১০০ বছর নয় ২০০ বছর হবে
কিন্তু তার উলটা যদি আপনি মেনে নেন যে আজকের আধুনিক জীবনে আপনার সেলস ১ বছরে নয়
বরং তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে ৭ মাসেই নিজেকে মাল্টিপ্লাই করে দেয় তাহলে আপনার আয়ু ৪০ % কমে যাবে
এবং আপনার আয়ু হবে মাত্র ৬০ বছর। তো এইভাবে অংক একদম সহজ যদি আমরা বেশিদিন বাচতে চাই
তাহলে আমাদের সেলস কে বেশিদিন বাচাতে হবে
তো আসুন জানা যাক সেলস এর আয়ু কিভাবে বাড়ানো যায়?
এর জন্য একটি সহজ রাস্তা হলো কম খাওয়া জি হ্যা বেশি খাবার খেলে আমাদের শরির বেশি পরিমানে বাড়তে থাকে
এবং আমাদের শরিরের অর্গান কে বেশি পরিমানে কাজ করতে হয়
যার কারনে আমাদের শরিরের সেলস ও খুব তাড়াতাড়ি শেষ হতে থাকে বা তাদের আয়ু কম হয়ে যায়
কিন্তু আমরা অধিক হারে না খেয়ে যদি কম খাওয়া শুরু করি তাহলে আমাদের সেলস এর আয়ু বেড়ে যায়
এবং এই বিষয়ে অনেক প্রানির উপর নানা গবেষনা ও প্রয়োগ করা হয়েছে
কিন্তু শুধু কম খেলেই হবেনা বন্ধুরা আধুনিক জীবনে স্ট্রেস এবং টেনশন বেড়ে গেছে।
এই টেনশন এবং স্ট্রেস এর জন্য আমাদের শরিরের সেলস তাড়াতাড়ি নস্ট হুয়।
এ জন্য যতো কম স্ট্রেস নেয়া যায় ততোই ভালো এবং যদি কাজের চাপ বেশি থাকে তাহলে স্ট্রেস কমানোর জন্য
মেডিটেশন করতে পারেন
মেডিটেশনের টেকনিক যদি না জেনে থাকেন তাহলে ইউটিউব এ সার্চ করলে
অনেক টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন সেগুলো দেখে শিখে নিতে পারেন
সেলস এর আয়ু বাড়াতে ব্যায়াম করতে পারেন।
যদি আমরা রেগুরালি রানিং এবং কিছু সময় এক্সারসাইজ করি বা ব্যায়াম এর জন্য আধা ঘন্টা ও বের করতে পারি
তাহলে আমাদের দীর্ঘ দিন বেচে থাকার চান্স বেড়ে যাবে
এবং যতোদিন ই বাচিনা কেনো হেলদি ভাবে বাচতে পারবো
তবে দুনিয়াতে কোনো জিনিস ই আজিবনের জন্য নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবেনা,
এজন্য আমরা অমর তো হতে পারবোনা কিন্তু আমরা আমাদের আয়ু অনেক পরিমানে বাড়াতে পারবো
আজকে এ পর্যন্তই
আমি মিজানুর রহমান মঞ্জু। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 28 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।