প্রথমেই তথ্য-প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার বা তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
পেশাগত বা ব্যক্তিগত, যে কাজই করতে হোক না কেন, এ যুগে প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়। দিন দিন উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে এই প্রযুক্তি। অনেক কিছুই বদলাচ্ছে এর সাথে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলেও এ বিষয়ে দক্ষতা থাকা দরকার। এক সময় কম্পিউটার চালানোকেই যারা ভাগ্য মনে করেছেন সেই তারাই এখন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে ভাবতে শুরু করছেন। তাই প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে গড়ে উঠছে প্রযুক্তিনির্ভর ক্যারিয়ার। এই ক্যারিয়ার গঠনে শুধুই যে প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট থাকা প্রয়োজন, তা কিন্তু নয়। প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ও ঝোঁক থাকলে যেকোনো বিষয়ে পড়াশুনা করে তরুণ প্রজন্মের যে কেউ সহজেই প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। আইটি মানুষের জীবনের নতুন গতি এনে দিয়েছে। ফলে ইচ্ছে করে হোক কিংবা বাধ্য হয়েই হোক- আমরা আইটির ওপর খুব নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এখন প্রয়োজন এই সেক্টরে কাজ করা বা ক্যারিয়ার তৈরির জন্য সময় উপযোগী প্রশিক্ষণের। কারণ এর মাধ্যমে বিশ্বের সামনে নিজেকে তুলে ধরা যায়। অনেকেই ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে চাচ্ছেন, কিন্তু পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না থাকায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ছেন। এর পরেও থেমে নেই এ পথের পথিকের সংখ্যা। এই বিষয় নিয়েই আজকের আলোচনা। প্রযুক্তিতে দক্ষ হলে মার্কেটপ্লেস বা কোথায় কাজ করবেন সেটা কখনো বিষয় না। কারণ আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপেস বা প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেস বা দুটোতেই কাজ করতে পারবেন। তবে প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেস এ কাজ করা তুলনামূলক কঠিন।
স্বপ্নের ক্যারিয়ার আইটি
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান সেক্টর আইটি সেক্টর। চাইলে আপনিও পারেন এই স্বপ্নের ক্যারিয়ার গড়তে। এর জন্য আপনাকে CSE তেই পড়তে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আইটি ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনার যা লাগবে সেটা হলো ধৈর্য, প্রবল ইচ্ছা আর ইংরেজি ও গণিতের মোটামুটি জ্ঞান।
কেন ক্যারিয়ার গড়বেন আইটিতে?
এই সেক্টর চাকরির জন্য কখনও মামা-চাচা বা উৎকোচের প্রয়োজন হয় না। যোগ্যতা থাকলে চাকরিই আপনাকে খুঁজে নেবে। এই সেক্টরে নিজেই নিজের আয়/বেতন এর সীমা নির্ধারণকারী। বন্ধুসুলভ পরিবেশে কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পেশা হলো আইটি। কেউ চাইলে অফিসে গিয়ে বা নিজের ঘরে বসেও কাজ করতে পারেন।
আইটিতে ক্যারিয়ার গড়ার অনেকগুলো ক্ষেত্র সমূহের মধ্য থেকে সেরা ১০টি ক্ষেত্র নিয়ে ধারাবাহিক টিঊন করবো ইনশাল্লাহ।
আজ আমার টিউনটি হবে ওয়েব ডিজাইনার সম্পর্কিত।
একজন ওয়েব ডিজাইনারকে মুলত ইন্টারনেট সাইট/ওয়েব পেজ নিয়ে প্লান ও ক্রিয়েট নিয়ে কাজ করতে হয়। সে একটা নতুন ওয়েব সাইট তৈরী নিয়ে কাজ করে অথবা পুরাতন ওয়েব সাইট আপডেট করা নিয়ে কাজ করে। যার অনেকগুলোতে টেক্সটকে সাউন্ড, পিকচার, গ্রাফিক্স এবং ভিডিও ক্লিপ্সের সাথে কম্বাইন করতে হয়।
একজন ওয়েব ডিজাইনার একটা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পার্টকে যেসব কোডের মাধ্যমে কম্বাইন করা যায়, সেগুলো লেখা ও অ্যানালাইজ করার কাজ করে। গ্রাহকদের সাথে ওয়েব ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়ে বা প্রজেক্টের অগ্রগতি ও ফিডব্যাক নিয়ে আলোচনা করা।
যদি একজন ওয়েব-ডিজাইনারের জন্য যেসব স্কিলস বা দক্ষতা থাকা উচিত ঃ
যেসব জায়গায় চাকুরির সুযোগ থাকেঃ
সবার জন্য সু-স্বাথ্য কয়ামনা আজ এ পর্যন্তই, দেখা হবে অন্য কোনো টিউনে ইনশাল্লাহ।
আমি নাইমুল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।