এম এস হাবিবুর রহমান::- আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে অনলাইনে যে কোন ব্যবসা বা পণ্যের প্রমোশনের জন্য ফেসবুক খুবই কার্যকরী একটি মাধ্যম। যে কোন ব্যবসার ফেসবুক পেইজ মূলত একটি প্রমোশনাল টুল হলেও স্বল্প পূঁজির ক্ষুদ্র এবং মাঝারী ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রয়ের প্রথম এবং প্রাথমিক মাধ্যম হিসেবে ফেসবুক পেইজই ব্যবহার করে থাকেন।
তবে উদ্যোক্তাদের মনে রাখতে হবে অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের প্রধান মাধ্যম হলো নিজের ব্র্যান্ডের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির সাথে সাথে তাকে অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসার স্বার্থে নিজের ওয়েবসাইটের কথা চিন্তা করতে হবে। আর ফেসবুক পেইজে ব্যবসা করার থেকে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যবসা করার মধ্যে কিছু সুবিধাও আছে বৈকি। চলুন দেখে নিই।
হাজার হাজার ফেসবুক পেইজের ভীড়ে নিজের আরেকটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না। আপনার ব্যবসার জন্য ফেসবুক নিজেই একটি থার্ড পার্টি অ্যাপলিকেশন যেখানে আপনার ব্যবসার ঠিকানায় ফেসবুকও যুক্ত থাকে। আর নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই ইন্টারনেট জগতে আপনার ঠিকানা হবে একটিই, যেটি আপনার ডোমেইন নাম। বিশ্বের নামীদামী কোন ব্র্যান্ডই ফেসবুকের মাধ্যমে কেনাবেচা করে না, কারণ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে নিজস্ব ওয়েবসাইটের কোন বিকল্প নেই।
একই পণ্যের বিভিন্ন ফেসবুক পেইজ ভিজিট করে ক্রেতা সাধারণ খুব সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আর ফেসবুক পেইজ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করে দেয়া এতই মামুলি কাজ যে ক্রেতারা সবসময় সেই ফেসবুক পেইজের উপর আস্থা রাখতে পারেন না। উলটো দিকে বিক্রেতার নিজের একটি ওয়েবসাইট ক্রেতাকেও সেই বিক্রেতা সম্পর্কে পজিটিভ ভাইব দেয়, ওয়েবসাইট যেহেতু বিক্রেতার জন্য একটি বিনিয়োগ খাত, সেক্ষেত্রে বিক্রেতার সিরিয়াসনেস এবং জেনুইনটি ক্রেতার কাছে প্রকাশ পায়।
ফেসবুক পেইজে হরেক রকম পণ্য প্রদর্শনের যথাযথ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। যদিও এখন ফেসবুকের শপ ট্যাব আছে তবে তা একেবারেই পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া ফেসবুকে অনেক আগের পণ্য খুঁজে পাওয়াও মুশকিল, ফেসবুক পেইজে সবসময় নিউজফিডের শুরুর দুইএকটি টিউন বা পণ্য হাইলাইটেড থাকে। সকল ব্যবসার ফেসবুক পেইজই একই রকম দেখতে হয়। অন্য দিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরি এবং সাব-ক্যাটাগরি করে পণ্য তুলে ধরা যায়। বিভিন্ন পণ্য এবং কালেকশন ক্রেতার কাছে হাইলাইট করতে প্রচুর অ্যাড অপশন থাকে যা ক্রেতার জন্য পণ্য ব্রাউজিংয়ে খুবই সহায়ক। এছাড়া নিত্যনতুন ওয়েবসাইট থিমের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য আরো আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা যায়।
ফেসবুক পেইজে বিক্রি করলে আপনার কাস্টমার থেকে অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণ করা অসম্ভব। আর অনলাইন পেমেন্টের অপশন না থাকলে অনেক সচেতন ক্রেতাই আপনার পণ্য ক্রয়ে হতাশ হতে পারেন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই ক্রেতার কাছ থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। আর যে কোন অনলাইন পেমেন্ট ট্রান্সেকশন খুব সুন্দর ভাবে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্র্যাকিং করা যায়।
ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে যখন আপনি ব্যবসা করেন তখন প্রতিটি ক্রেতার প্রোফাইলিং করা আপনার পক্ষে সম্ভব হয় না। ক্রেতাও পেইজ থেকে কিছু কিনলে তার কোন রেকর্ড থাকেনা। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আপনি কাস্টমার ডেটাবেইজ তৈরি করতে পারেন। আবার কাস্টমারও রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নিজেদের ড্যাশবোর্ড পান যেখান থেকে তিনি সকল কেনাবেচার তথ্য দেখতে পারেন, বিক্রেতা থেকে নিয়মিত পণ্যের আপডেট পেতে পারেন।
ফেসবুক পেইজে ব্যবসা করা মানেই একটি সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল প্রসেস। পণ্যের ইনভেন্টরি থেকে শুরু করে কেনাবেচার হিসাব, পেমেন্ট, অ্যাকাউন্টস, কাস্টমার ডেটাবেইজ, অর্ডার প্রসেস, সিআরএম ইত্যাদি সবই কষ্ট করে সময় নিয়ে হাতে কলমে বা তৃতীয় কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটের ব্যাকএন্ডে এই ধরনের প্রসেসগুলো অটোমেটেড উপায়ে ম্যানেজ করা যায় খুব সহজেই। ব্যবসার সার্বিক অবস্থা অটোমেটেড রিপোর্টিং এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব ওয়েবসাইট থাকলে, এর ফলে ব্যবসার সঠিক ট্রাকিং হয়, সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়। সময় এবং কষ্ট দুটোই কম লাগে।
লেখক: এম এস হাবিবুর রহমান, সম্পাদক ও প্রকাশক নিউজ সমাহার, সিইও জোনাকি মিডিয়া গ্রুপ।
ওয়েবসাইট করতে চাইলে কল করুন: 01711113852 অথবা ভিজিট করুন: http://www.samaharsoft.com অথবা
মোবাইল: 01711113852, 01910112983
ই-মেইল :[email protected], [email protected] ওয়েবসাইট: http://www.samaharsoft.com
ঢাকা অফিস: ১৪১/বি, প্যারাগন কমপ্লেক্স(২য় তলা), সেক্টর-৮, উত্তরা, ঢাকা-১০০০
করপোরেট অফিস: সিকদার প্লাজা (১ম ও ২য় ফ্লোর) লতাপাতা বাজার, কাপাসিয়া, গাজীপুর- ১৭৩০
গাজীপুর অফিস: ১০৯/এ, হাবিব উল্লাহ সরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর- ১৭০০।
আমি এম এস হাবিবুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন লেখক। আমার জন্ম ১ নভেম্বর ১৯৮৭ সালের রবিবারে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার উত্তর খামের গ্রামে। আমি স্ব-শিক্ষিত এছাড়া প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি সার্টিফিকেট-ইন-মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, সার্টিফিকেট-ইন-মাইক্রোসফট এক্সসেল, সার্টিফিকেট-ইন-এডোবি ইলিস্ট্রেটল, সার্টিফিকেট-ইন-ফটোসপ, সার্টিফিকেট-ইন-ভিডিও এডিটং। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির অভ্যাস। কবিতা, উপন্যাস, গান, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি সাহিত্যের শাখায় প্রতিভার স্বাক্ষর রয়েছে। আমার লেখা কিছু...