এই রমজানে সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতাতিতে কি কি খাবেন আর কি কি খাবেন না তার বিস্তারিত জেনে নিন।
আসসালামু আলাইকুম!. আমার পক্ষ থেকে সবার প্রতি রইলো
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!
আশা করি সবাই ভালো আছেন.।
এবার আমাদের মুল টপিকে আশি। বেশি কথা বলে টপিক বড় করে লাভ নেই চলুন মুল বিষয় বস্তুতে আশি।
আজকের মুল বিষয় বস্তু হলো এই রমজানে সারা দিন রোজা থাকার পর কি খাওয়া উচিৎ আর কি অনুচিত সে সম্পর্কে।
তো চলুন জেনে নেয়া যাক।
এই রমজানে সারাদিন আমরা যারা রোজা থাকি তাদের প্রায় প্রত্যেকয়ের বাসায় ই সমস্ত বিকেল জুড়ে চোলতে থাকে নানা রকম ইফতারির জোগায় তার ভিতরে থাকে নানা প্রকার ভাজা। যেমনঃ-
১.ছোলা ভুলা।
২.বেগুনি চপ।
৩.আলুর চপ।
৪.পেয়াজু ভাজা।
৪.মুড়ি।
৫. চিনির শরবত।
আরো অনেক প্রকার।
তারপর বিভিন্ন বাজারে বা রাস্তার পাশের ছোটো ছোটো দোকান বসে আর দোকান গুলোতে চলে বাহারি সব ভাজা পোড়া ইফতারির আইটেম।
আর বিকেল হলেই দেখা যায় সব রোজাদারদের ভিড় অইসন দোকান গুলোতে।
আমরা যারা রোজা থাকি আশলে এই রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর আমাদের লিভার থাকে ক্ষুধার্ত আর অসুস্থ।
তাই ইফতারির সময় আমাদের উচিৎ অই সমস্ত তৈলাক্ত খাবার ত্যাগ করা।
এই রমজানে সারাদিন একজন রোজাদার সারাদিন রোজা রাখার পর কি খাবেন তার কিছুটা নির্ভর করে তার সাস্থের ও বয়সের উপর তবে।
উপরে উল্লেখিত দোকানের খাবার গুলো না খাওয়াটাই বেটার।
আমরা যারা রোজা থাকি সারাদিন রোজা থাকার পর মনে করি ইফতারিতে বেশ করে পেট পুরে মাত্রাতিরিক্ত খাবো এটাও কিন্তু সাস্থের জন্য অনুচিত।
একজন রোজাদারে জন্য ইফতারিতে খেজুর, ঘরে তৈরি বিশুদ্ধ শরবত, বুট, কচি শসা, ফরমালিন মুক্ত কচি ফল থাকা ভালো, ফলমুলে মিনারেল ও ভিটামিন পাওয়া যায় আর এতে সারদিন রোজা থাকার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও সহজে হজম হয়।
আর ইফতারিতে তেহারি বা হালিম না খাওয়াই ভালো।
অপরদিকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত জীনিশ গুলো খেলে আপনার হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য বধ হজম।
অন্যদিকে সারাদিন রোজা থাকার কারনে শরিরে পানি শুন্যতার দেখা দিতে পারে
তাই ইফতারির পর থেকে শেহরির আগ পর্যন্ত মিনিমাম ২ লিটার পানি পান কোরবেন।
যেহেতু বছরের এগারো মাসের থেকে এই রমজান মাসের খাবারের নিয়ম চেঞ্জ হয় আর সুবহে সাদিকের আগ মুহুর্ত থেকে শুরু হয় না খেয়ে থাকা তাই ভোর রাতে উঠে প্রয়োজন মত খাওয়া সেরে নিতে হয়। আর শরিরটাকে সুস্থ রাখার জন্য শেহেরি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার উপর মনে রাখতে হবে শেহেরির খারার গুলো মুখোরোচর ও সাস্থসম্মত হওয়া প্রয়োজন।
সেহেরির খাবারে অধিক ঝাল, অধিক তেল ও অধিক চর্বি জাতিয় খাবার একদম ই খাওয়া উচিৎ নয় কারন এতে গ্যাস্ট্রিক এ আক্রান্ত হতে পারেন।
সেহেরিতে ভাতের সংগে মাছ, সবজী অথবা মাংস খাবেন।
তবে অনেকই মনে করেন সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে তাই সেহেরিতে অতিরিক্ত খেতে হবে কথাটি বা ধারনাটা কিন্তু সম্পুর্ন ভুল কারন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পার হলেই খাদ্যগুলো পাকস্তলি থেকে অন্ত্রে গিয়ে হজম হয়।
তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি না খাওয়াই ভালো এতে উপকারের থেকে ক্ষতির আশংকা ই বেশি থাকে।
আবার পরিমান মত পানি পান করুন উপ্রে বলা আছে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত নিম্ম ২ লিটার পানি পান করুন।
অনেকে আছেন পানি শুন্যতা পুরনের জন্য লেমন ওয়াটার, শরবত, ভিটামিন ওয়াটার সহো বিভিন্ন ধরনের পানি পান করেন তবে বিশেষজ্ঞ দের মতে এগুলো পরিহার করা উচিৎ।
১। → ইফতারিতে বেশি ক্যালরি সম্পন্ন এবং সহজে হজম এর এমন খাদ্য গ্রহন করুন।
২। → সেহেরিতেও সহজ ও সাস্থসম্মত খাবার খান।
৩। → ভাজা পোড়া ও অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার বর্জন করুন।
এতে বুক জ্বালাপোড়া বধ হজম ও কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।
৪। → রান্নায় ডালডার ব্যবহারের পরিবর্তে সয়াবিন তেল ব্যবহার করুন।
যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করার চেস্টা করুন।
৫। → অতিরিক্ত লবনাক্ত খাবার পরিহার করুন।
কারন এটা রোজার সময় পানির পিপাষা বৃদ্ধি করে।
৬। → যাদের চা, কফি, সিকারেটের অভ্যাস আছে এগুলো যথা সম্ভব কমিয়ে আনুন।
একবারে বাদ দিলে মাথা ব্যাথা, মেজাজ খিটখিটে ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
৭। → ঘুমানোর আগে ও ও শেহেরির পরে অবশ্যই ব্রাস কোরতে ভুলবেন্ন।
এটি আপনার নিজের উপকারের জন্যই বললাম।
পোস্টটি পড়ার জন্য আমার পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যনাদ। আমাদের সাথেই থাকুন নিত্য নতুন সব প্রযুক্তির খবরাখবর নিয়ে আমরা আছি সবার সাথে।
টেক সম্পর্কিত আরো টিউন পেতে ভিসিট করুন আমার ছোট্ট ব্লগ টিঃ- আমার IccheGhuri.Com ব্লগ
আমি মেহেদী হাসান বিশ্বাস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।