সুখ তো আসলে মরীচিকা। চারপাশে সুখের অসংখ্য উপাদান থাকার পরেও কোনো কোনো মানুষ নিজের ভেতর নিজেই বিষিয়ে উঠেন। কোনো সম্পর্ক, কোনো অর্জন, কোনো কিছুই যেন সুখী করে না তাকে। আসলে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টা বেশ জটিল এবং মজার। ব্যক্তিজীবনে মানুষ সর্বদা পারিপার্শ্বিক চাপে থাকেন। কেউ বাড়িতে বা কেউ অফিসে বা কাজের জায়গায় নানা সময়ে নানা ভাবে চাপে থাকেন। সেইসব মানসিক চাপ মানুষকে সুখ উপভোগ করতে দেয়না, কেবল বিরক্তি বাড়িয়ে তোলে। চাইলে সেইসব মানসিক চাপ কমিয়ে সুখে থাকতে পারেন সকলেই। আসুন জেনে নিই ব্যক্তিজীবনে চাপ কমিয়ে সুখী হওয়ার বেশ কয়েকটি কৌশল।
১. মানষিক চাপ কমাতে প্রিয় মানুষের একটা মিষ্টি আলিঙ্গনই যথেষ্ট। কেউ যদি ২০ সেকেন্ড আলিঙ্গনবদ্ধ থাকেন তখন তার শরীর থেকে অক্সিটক্সিন পদার্থ নির্গত হয়। এর ফলে মানুষের নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা ও আত্নবিশ্বাস অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই যখনই চাপ বোধ করবেন তখরই প্রিয়জনের সান্নিধ্যে গিয়ে নিয়ে নিন মিষ্টি একটি আলিঙ্গন।
২. পছন্দের গান শুনুন, খোশ মেজাজে। কারণ গান শুনলে মেজাজ হালকা থাকে, মন ভালো থাকে। তাই চাপ কমানোর একটি সহজ কৌশল এটি। গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, গান মানব মস্তিষ্কের অনুভূতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই মন ভালো ও সুখে রাখতে খোশ মেজাজে শুনুন পছন্দের গান।
৩. চাপ বাড়লেই চকোলেট খান। কিন্তু কেন? এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে আসতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যখন ভালোবেসে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে তখন শরীর থেকে একটি বিশেষ হরমোন নির্গত হয়। চকোলেট খাওয়ার পরেও সেই একই হরমোন মানুষের দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। আর এই হরমোন বেরিয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের চাপ কমে যায় অনেকাংশে। তাই মনস্তাত্ত্বিক বিশেসজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ কমাতে চকোলেট বেশ কাযকরী।
মানসিক চাপ কমাতে এই ভিডিওটি দেখুন -
৪. হাসুন প্রাণ খুলে, উপভোগ করুন চারপাশের ভালোলাগার প্রকৃতি। প্রয়োজনে ঘুরে বেড়ান, বাঁধন ছিড়ে। যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হয়ে যায় এবং মানসিক চাপ কমে যায় সেসব জায়গায় ঘুরে আসুন।
৫. অতীতের সুখস্মৃতি মনে করুন। ছেলেবেলার কথা ভাবতে গিয়ে দেখবেন আনমনে হেসে ফেলেছেন। পছন্দের সাহিত্য, মজার নাটক কিংবা সিনেমার গল্প মনে করুন।
৬. সম্পর্ক তৈরি করুন। ভালোবাসায় নিজেকে জড়ান। নিজের সঙ্গীকে হাসি, খুশি ও সুখী রাখুন।
৭. দান করুন, জীবে প্রেম করুন। স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছেন, জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। যে কোনো মানুষ বা প্রাণীর জন্য ছোট্ট কোনো উপকার করতে পারলেও মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। কিপটে লোক সাধারণত অসুখী হয়। পয়সা খরচ করলে মন ভালো থাকে। তাই যখনই মন বিষিয়ে যাবে তখনই দান করুন।
আমি গোলাম জাকারিয়া। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।